কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আগে আমরা বিভিন্ন বই-পুস্তকে টিউলিপের গল্প পড়েছি। আমরা এখন দেশীয় বিভিন্ন কৃষিপণ্যের পাশাপাশি অপ্রচলিত ফসল ড্রাগন, স্ট্রবেরি, মাল্টা, কফি, কেশোনাটসহ নানা ধরনের ফল ও সবজির চাষ করছি। এখন আমাদের দেশেই টিউলিপ ফুলের চাষ হচ্ছে। আমাদের এই টিউলিপ ফুলের বাজার তৈরি করতে হবে। ইউরোপ ও পূর্ব এশিয়ার উন্নত দেশগুলোতে এই টিউলিপ রফতানি করে অর্থনৈতিক আয়ের সম্ভাবনাও রয়েছে।
শুক্রবার বিকালে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পূূর্ব খণ্ড গ্রামে কৃষক দেলোয়ার হোসেনের টিউলিপ বাগান ও বিভিন্ন বিদেশি সবজির প্লট দেখতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আগে টমেটোসহ নানা ধরনের সবজি মৌসুমি ফসল হিসেবে উৎপাদিত হলেও নানা ধরনের জাত উন্নয়নে এখন সারা বছর ধরেই টমেটোসহ নানা শাক-সবজি পাওয়া যাচ্ছে। এখন বিভিন্নভাবে আমাদের দেশে কৃষি উদ্যোক্তারা বিদেশ থেকে নানা কৃষি প্রযুক্তি ও নতুন নতুন জাত এনে উৎপাদন করে, দেশে সম্ভাবনা তৈরি করছে। বিশেষ করে টিউলিপ ফুলের সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নানামুখী কর্মকাণ্ড গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যেই আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। এখন আর আমাদের প্রধান খাদ্য চাল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় না। কৃষিকে আধুনিকরণ, যান্ত্রিকরণ ও বাণিজ্যকরণে নানামুখী কাজ চলমান আছে। এখন আমরা চালের পাশাপাশি পুষ্টিযুক্ত ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে কাজ করছি। অর্থনৈতিক ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে কৃষক যাতে অধিক আয় করে পুষ্টিযুক্ত খাবার কিনে খেতে পারে, এর নিশ্চয়তার জন্য অর্থকরী ফসল ও অপ্রচলিত কৃষি পণ্য উৎপাদনে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা সার্বিকভাবে চাচ্ছি কৃষিকে বাণিজ্যকরণ করতে।
দেশীয় কৃষি উদ্যোক্তাদের পাশে সরকারি নানা সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির কারণে এখন কৃষকদের মাত্র চার শতাংশ সুদে ঋণ দিচ্ছি। কৃষিপণ্য উৎপাদনকারী, রফনানিকারী, বাজারজাতকারী ও প্রক্রিয়াজাতকারীদের সর্বোচ্চ সহায়তা দেয়া অব্যাহত রয়েছে।
কৃষি বাগান পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংসদ ইকবাল হোসেন সবুজ, শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমান, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাসলিমা মোস্তারী, শ্রীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম মোল্লা, শ্রীপুর পৌরসভার কাউন্সিলর আমজাদ হোসেন প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ