পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘আমেরিকার সব সিদ্ধান্ত সঠিক এমন না। এর ভুরিভুরি উদাহরণ রয়েছে। আমরা আশা করি, ওই দেশে পরিপক্ব লোকজন আছেন, জ্ঞানী লোক আছেন, তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করবে। আমরা এখন সেই প্রচেষ্টাই চালাবো। তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা অব্যাহত থাকবে।’
মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কাজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সহকর্মীরা জানিয়েছেন, আমেরিকায় প্রতি বছর প্রায় ছয় লাখ লোক নিখোঁজ হয়। আর এরা বলছে, গত ১০ বছরে আমাদের দেশে নাকি ৬০০ লোক মিসিং হয়েছে। আমেরিকার তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর সেখানে হাজারখানেক লোককে পুলিশ মেরে ফেলে। আর আমাদের এখানে কালেভদ্রে একজন-দুজন মারা যায়। কিন্তু আমেরিকায় যে এত লোক মারা যায়, এ নিয়ে আমেরিকান সংবাদমাধ্যম-টাধ্যম খুব... কারণ তারা মনে করে, লাইন অব ডিউটিতে এই কাজটা করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর আমাদের দেশে যে সংস্থার ওপর এই নিষেধাজ্ঞাটা এসেছে, এই সংস্থাটি আমেরিকার যে বৈশ্বিক নীতি –সন্ত্রাস দমন– আমাদের দেশে র্যাব এই সন্ত্রাস দমনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। শুধু সন্ত্রাস না, মাদকপাচার বলেন, যেটা আমেরিকার একটা বড় ইস্যু, সেটাতেও তারা সাহায্য করছে। র্যাব ‘বাই এনলার্জ’ (সামগ্রিকভাবে), ওরা কিন্তু দুর্নীতিপরায়ণ না যে টাকা-পয়সা দিয়ে অবস্থা পরিবর্তন করাবে। এর ফলে তারা বাংলাদেশের জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। এবং আমেরিকায় তো এই যে বললাম, ছয় লাখ লোক নিখোঁজ হয়, হাজার হাজার লোক পাওয়া যায় মৃত অবস্থায়, সেই জন্য সেসব প্রতিষ্ঠানে যারা চাকরি করেন, তাদের ওপর কোনো শাস্তি আমি শুনিনি কোনোদিন। আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের সঙ্গে আলাপ করছি। আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করবো।’
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা