যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশকে নতুন করে জাগিয়েছেন। তিনি তার স্বল্পকালীন শাসনামলেই দেশ গড়ার প্রত্যেক ক্ষেত্রেই দক্ষ ও দূরদর্শী চিন্তার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে বঙ্গবন্ধুর হাতের ছোঁয়া নেই। শুধু তাই নয়, তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গণেও বাংলাদেশের স্বীকৃতির জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছরের সাজানো বাগানগুলোর সুফল তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার মাধ্যমে আজ আমরা পাচ্ছি।’
বুধবার বিকালে গাজীপুরস্থ ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ডুয়েট) শহীদ আহ্সান উল্লাহ মাস্টার অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এতে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলা করার জন্য ডুয়েট কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ। আরও বক্তব্য দেন পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আবু তালেব মো. কাওসার জামিল, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শামছুদ্দিন, ডুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী বিনয় ব্যানার্জী, কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. মোক্তার হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাজহারুল ইসলাম ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রোকসানা আক্তার।
স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয় ডুয়েটে।
সকালে রক্তদান কর্মসূচির মাধ্যমে মুজিব জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচি শুরু হয়। দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের দেয়ালে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। দিনব্যাপী অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিলো বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ