পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, চাল ছাঁটাই করে আকর্ষণীয় করে মিল মালিকরা প্রতারণা করছেন। চাল পলিশিং করে মিলগুলো চালকে চিকন করে। এতে চাল ছাঁটাই করতে হয়। ফলে অনেক পুষ্টিগুণ চাল থেকে চলে যায়। একটি অগ্রসরমান অর্থনীতিতে এমন প্রতারণা মেনে নেওয়া যায় না। এটা আইন করে বন্ধ করা উচিত।
‘বায়োফর্টিফায়েড জিঙ্কসমৃদ্ধ ব্রি ধানের বাজার সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। শনিবার একটি জাতীয় দৈনিক এই গোলটেবিলের আয়োজন করে।
কোন জাতের চাল- এ বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে মিলগুলো নিজেদের মতো ব্রান্ড দাঁড় করিয়ে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে উল্লেখ করে ড. শামসুল আলম বলেন, পুষ্টির ঘাটতি রোধে সরকারের বড় বড় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে। শুধু চালের মাধ্যমে জিঙ্ক সরবরাহ করা যাবে এমন নয়। তবে যেহেতু দেশের মানুষের প্রধান খাদ্য চাল সেহেতু চালের মাধ্যমেই জিঙ্ক সরবরাহ করা সহজ। চালের মাধ্যমে এ উপাদানের সরবরাহ যথাযথ। আইন করে যেমন লবণে আয়োডিন এবং তেলে ভিটামিন থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তেমনি চালের ক্ষেত্রেও আইন করা দরকার। কেউ প্রতারণা করে চালের যেমন ইচ্ছা তেমন রূপ দেবে এমনটি হতে পারে না।
নাসিরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ থেকে ভূটানসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ জিঙ্কসমৃদ্ধ চাল নিতে চায়। কিন্তু আমরা সেটি দিতে পারছি না। তাই ধানের জাত উদ্ভাবনের পর জনপ্রিয়করণ করতে ১৫-১৬ বছর সময় লাগে, সেটি কমিয়ে আনতে হবে। আবার ধানের নাম সংখ্যাগতভাবে না দিয়ে অন্য কোনোভাবে দিয়ে জনপ্রিয় করা যায় কিনা- সেটি ভাবতে হবে। বিশেষ করে ব্রিধান৭৪ ও ৮৪ জাত অধিক পুষ্টিসমৃদ্ধ। এই জাত জিঙ্ক চাল নামে জনপ্রিয় করা যায় কিনা- দেখা যেতে পারে। কোনো কৃষক যদি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধানের আবাদ করতে চায়, তাহলে বিনা জামানতে কৃষক ঋণ পাবে। ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত এই ঋণ কৃষকরা পাবেন বলে কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দেন তিনি।