আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, নির্বাচনেই প্রমাণ হবে কারা বিজয়ী হবে আর কাদের পতন হবে। সরকার পতনের হাঁকডাক দিয়ে কোন লাভ নেই। বিএনপির মিটিংয়ে কেউ বাধা দেবে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অপেক্ষা করুন, নির্বাচনে খেলা হবে। ডিসেম্বরে খেলা হবে। বিএনপির আগুন আর লাঠির বিরুদ্ধে খেলা হবে। আগুন আর লাঠি নিয়ে এলে খেলা হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু উনারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বচ্ছন্দবোধ করছেন না। মির্জা ফখরুলের মুখে মধু আর অন্তরে বিষ। আপনাদের মিটিংয়ে কেউ বাধা দেবে না। আমরা রাজশাহীতেও বলে দিয়েছি, সেখানে যেন পরিবহন ধর্মঘট না করে। ঢাকায়ও পরিবহন ধর্মঘট হবে না নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী) বলে দিয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার পরও যদি বাড়াবাড়ি করেন, লাফালাফি করেন, আগুন নিয়ে নামেন, লাঠির সঙ্গে জাতীয় পতাকা লাগিয়ে মাঠে নামেন তাহলে খবর আছে। খেলা হবে দারুণ।
তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায়। ক্ষমতায় থেকে অশান্তি কেন আমরা করবো। মানুষকে কেন আতঙ্কে রাখবো। আমরা তো মানুষকে শান্তিতে রাখতে চাই। মানুষ কষ্টে আছে। অভাবি মানুষ সাধারণ মানুষ স্বল্প আয়ের মানুষ কষ্টে আছে। এটা শেখ হাসিনা নিজেই স্বীকার করেন। চেষ্টা করছেন তিনি। এখানো বাংলাদেশে সোমালিয়া সুদানের মতো দুর্ভিক্ষ হয়নি। এখনো আমরা অনেক দেশের তুলনায় ভালো আছি। শেখ হাসিনা ভালো থাকলে বাংলাদেশ ভালো থাকবে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, বিএনপি কোন রাজনৈতিক দল নয়। এ দলের সৃষ্টি ক্যান্টনমেন্টে। এই দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সংবিধানকে হত্যা করেছে। জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের জেল থেকে মুক্তি দিয়ে হত্যার রাজনীতি শুরু করেছিল। বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে। বেশি পাগলামী করলে পাবনায় পাগলাগারদে অথবা পাকিস্তানের করাচিতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ষড়যন্ত্রকারীরা ঐক্যবদ্ধ। তারা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন শক্তিই আওয়ামী লীগ পরাজিত করতে পারবে না।
সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক খান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
নতুন কমিটি : মাহাবুব আলী খানকে সভাপতি ও জি এম সাহাব উদ্দিন আজমকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা আওয়ামী লীগ, কাজী রিয়াকত আলী লেকুকে সভাপতি ও আবু সিদ্দিক সিকদারকে সাধারন সম্পাদক করে সদর উপজেলা কমিটি এবং গোলাম কবিরকে সভাপতি ও আলীমুজ্জামান বিটুকে সাধারন সম্পাদক করে পৌর আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করেন দলীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত