মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি, জাতীয় চার নেতার খুনি, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনীর সদস্যদের খুনি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার বাংলার মাটিতে হবেই হবে। এই খুনির কবর জাতীয় সংসদের ওই পবিত্র আঙ্গিনায় থাকতে পারে না। বাংলার মানুষ তথাকথিত কবর সেখান থেকে সরিয়ে দিবে।
তিনি বলেন, আমি জাতীয় সংসদেও বলেছি জিয়াউর রহমানের লাশ সেখানে নেই। কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে তার কবর আছে বা তার লাশ সেখানেই কবর দেয়া হয়েছে তাহলে কোন কথাই বলবো না। তাদের কথা মেনে নেবো। কিসের না কিসের লাশ, নাকি অন্য কিছু রেখে জিয়ার কবর বলে চালাচ্ছে। আর যারা ওই জিয়ার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমরা তো আর মানুষ ফেরত দিতে পারবো না। তারা যেন খেয়ে পরে বাঁচতে পারে সেই ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
শনিবার সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে মায়ের কান্না নামক সংগঠন আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি ও মায়ের কান্না সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।
মোজাম্মেল হক বলেন, আজকের বিদেশি প্রভুদের মদদে যারা দিবাস্বপ্ন দেখছেন তাদের বলছি, বাংলার জনগণ, যারা আমরা পাক বাহিনীকে পরাজিত করে এই ডিসেম্বর মাসে আত্মসমর্পণে বাধ্য করেছিলাম তারা এখনও জীবিত আছি। যারা বিদেশি প্রভুদের ইঙ্গিতে চলছে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের দলের রাজনৈতিক কবর এই বাংলার মাটিতেই হবেই হবে। জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভের সময় যারা ভেটু দিয়েছিল। নগদ পয়সায় বঙ্গবন্ধু ৭৪ সালে চাল এবং গম কিনেছিল আমেরিকার কাছ থেকে। সেই চাল এবং গম বাংলাদেশে এসে পৌঁছায় নাই। কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ তৈরি করেছিল। তারা আবার হুমকি দিচ্ছে তারা সরকারের পতন ঘটাবে। আবার দেশকে পাকিস্তান বানানোর জন্য তারা ১০ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছে। পারে নাই, ওই খুনিরা পারে নাই, তারা পারবেও না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ১৯৭৫ সালে ৭ নভেম্বরে শহীদ কর্নেল নাজমুল হুদার মেয়ে নাহিদ এজাহার খান এমপি, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত, কুমিল্ল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলু, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ বীর বিক্রম প্রমুখ ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত