পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই আমাদের স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর এক অঙ্গুলির হেলনে জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলার আপামর জনতা রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ছিনিয়ে এনেছিল বাংলার স্বাধীনতার লাল সূর্য। একমাত্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বেই বাঙালি জাতি বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন করেছে। তার নেতৃত্বেই বাঙালি জাতির হাজার বছরের পরাধীনতার অবসান ঘটেছে। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।
শুক্রবার সকালে শরীয়তপুরের নড়িয়া বিএল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এনামুল হক শামীম আরও বলেন, কোনও মেজরের হুইসেলে এদেশ স্বাধীন হয়নি। দেশের ইতিহাস বিকৃতির জনক বিএনপি। তারাই ইতিহাসের খলনায়ক জিয়াউর রহমানকে বারবার ইতিহাসের নায়ক বানানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি জয় বাংলা স্লোগানকে বিএনপি নিষিদ্ধ করে দেয়, বন্ধ করে দেয় ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার। গণমাধ্যম থেকে পাঠ্যপুস্তক পর্যন্ত সব জায়গা থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার অপপ্রয়াস চালানো হয়। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জিয়ার পর খালেদা জিয়াও যুদ্ধাপরাধীদের এমপি-মন্ত্রী করেছেন।
উপমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানি গুপ্তচর। জিয়া অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নানাভাবে পুরস্কৃত করে। জিয়া ১৯৭৯ সালের ৯ জুলাই কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করেন। সেদিন সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মধ্যে দিয়ে তার আমলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার বাধাগ্রস্ত করা হয়। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করে জিয়া প্রমাণ করেছেন তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের রক্ষাকারী এবং এই হত্যার ষড়যন্ত্রের মূল কুশীলব।
আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দেশবিরোধী জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি মরিয়া হয়ে উঠেছে। সমাবেশের নামে দেশে নৈরাজ্য করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপি কখনো আর দাঁড়াতে পারবে না। ক্ষমতায় যেতে হলে জনগণের পাশে থাকতে হয়। পেট্টল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় আসা যায় না।
খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মারার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃপায় বাসায় থাকতে পারছেন খালেদা জিয়া, এটা ভুলে গেলে চলবে না। সুতরাং ক্ষমতায় আসতে হলে সংবিধান অনুয়ায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। আর আগামী নির্বাচনেও মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আবারও ক্ষমতায় আসবেন।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রাশেদউজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, নড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম ইসমাইল হক, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান জাকির বেপারী, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান নাজমা মোস্তফা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত