পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে বৈঠক গুলো হয় সেখানে সবসময় সীমান্ত হত্যা বন্ধের বিষয়টি আমরা ব্যক্ত করি। সম্প্রতি ভারতের দিল্লিতে বৈঠক হয়েছে, সেখানকার আলোচনায় দুই রাষ্ট্রই চায় সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে।
শনিবার দুপুর ১২ টায় লালমনিরহাট চার্চ অফ গড উচ্চ বিদ্যালয়ের প্লাটিনাম জুবিলী (৭৫ বর্ষপূর্তি ) উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি নিজেও সীমান্তবর্তী একটি আসনের সংসদ সদস্য। পদ্মার ওপারে ভারত আর এপারে আমার নির্বাচনী এলাকা। সীমান্তে হত্যা বন্ধের চেষ্টা অব্যাহত আছে। এছাড়া সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। দুই রাষ্ট্রের বিধিবিধান রয়েছে যাতে ভিসা পাসপোর্ট ছাড়া কেউ না যান। অংকের হিসাবে সীমান্ত হত্যা কমে এসেছে। কিন্তু একটা মৃত্যুই অনেক। তাই আমরা সীমান্তে একটা মৃত্যুও আমরা চাই না। আশা করি সামনের দিকে মৃত্যু শূন্যের কোঠায় নামবে।
এসময় তিনি আরও বলেন, পরিবারে একজন সদস্য বাংলাদেশি ও আরেকজন ভারতীয়ও এরকমও কিন্তু আছে। এ বছরে নিশ্চিত করে বলতে পারি ২০-২১ সালের চেয়ে এ বছর সীমান্তে হত্যা কম। তবে আমরা বলবো একটা মৃত্যুও চাইনা।
লালমনিরহাটের মোগলহাট স্থলবন্দরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেলেও পাকিস্তান পরবর্তী সময় থেকে মোগলহাটের রেল লাইনটি চালু ছিল। সেখান থেকে কয়লা আসতো। তবে আমরা দুই রাষ্ট্র মিলে পুরোনো যত যোগাযোগের পয়েন্টস গুলো রয়েছে তা পূণরায় চালু করবো। তবে সেখানে বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়। এখানে যোগাযোগসহ সার্বিক দিকগুলো দেখতে হয়। আমি এখানকার চেম্বারের সাথে বসবো তারা আমায় অনুরোধ করেছেন। এবং অবশ্যই যদি এখানে যথেষ্ট ব্যবসায়ীক চাহিদা থাকে আমদানি ও রপ্তানি করার তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব। এখানকার ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও জনপ্রতিনিধিরা মনে করেন এটা চালু করা সম্ভব। আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলে স্থলবন্দর চালু করার বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা জানাবো।
চার্চ অফ গড উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী (প্লাটিনাম জুবিলী) উৎযাপন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. মতিয়ার রহমান, লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজার করিম স্বপন প্রমূখ। অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন, মিশন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহিদার রহমানসহ বর্তমান সকল শিক্ষকবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষক, শিক্ষিকা ও প্রায় ৫ হাজার সাবেক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ