আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে একমাত্র আওয়ামী লীগ অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চা করে। সংগঠনের গঠনতন্ত্র মেনে নিয়মিত সম্মেলন করে, অন্য কোনো দল আছে কি না, জানা নেই।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা দেশের মানুষকে স্বতঃস্ফূর্ত এ বার্তা দিতে চাই, আমরা জনগণের পাশে আছি, পাশে থাকবো। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করবো।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলীয় কার্যালয়ে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ রুলিং পার্টি, একাধারে টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় কিছু সমস্যা থাকে। যেমন- যিনি নেতৃত্বে আছেন তিনি থাকতে চান আবার নতুন কেউ পদে আসার আকাঙ্ক্ষা থাকতে পারে। দুই মিলে অনেক সময় কনফ্লিক্ট তৈরি হয়ে যায়। কিছু কিছু জায়গায় সমস্যা হয়।’
তিনি বলেন, বিএনপি ২৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত করতে কর্মসূচি দিয়েছিল। তাদের শুভবোধের উদয় হয়েছে। কর্মসূচি পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর নিয়েছে। তবে, তারা তাদের কর্মসূচি থেকে সরে গেছে মনে করার কারণ নেই।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শত সেতু, শত সড়ক উদ্বোধন হয়েছে। মেট্রোরেল, টানেল আসছে। আমাদের রূপপুর, পায়রা এগুলো তাদের মনের জ্বালা বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। যে দল আন্দোলনে ব্যর্থ, সেই দল নির্বাচনেও ব্যর্থ হবে।’
তিনি বলেন, ‘শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলন শুরু হবে। সম্মেলন মঞ্চে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা বসবেন। বিকেল ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হবে।
সম্মেলনের শুরুতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এছাড়া ৭৮টি সাংগঠনিক জেলা ইউনিটের সভাপতি-সম্পাদক নির্ধারিত জায়গায় দাঁড়িয়ে পতাকা উত্তোলন করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ