পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, তিস্তা নিয়ে আমাদের অনেক পরিকল্পনা আছে। কিন্তু আমরা একতরফা কিছু করতে চাই না। ভারতও একতরফা কিছু করে ফায়দা করতে পারবে না। আমার বিশ্বাস তারা এটা করতেও চাইবে না। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে আমাদের চুক্তি ইতিমধ্যে আছে। চুক্তিটি বাস্তবায়ন করাই এখন বিষয়।
বুধবার বিকেল ৪টায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোস্তফীহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে রজতজয়ন্তী উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, তিস্তা নিয়ে বিশাল একটি পরিকল্পনা ও ঘোষণা সরকারের হাতে আছে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে মিলেমিশে একমত হয়ে এ কাজটি করতে চাই।
তিনি বলেন, আমাদের সরকারের ইচ্ছা হলো যাবতীয় বিষয় বিশেষ করে পানি, নদী এগুলোর সমস্যা সমাধান করা, যাতে করে এগুলো আমাদের কৃষি ও অন্যান্য প্রয়োজনে কাজে আসে। তিস্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নদী এ অঞ্চলের জন্য। তিস্তা নিয়ে ভারতের সঙ্গে অনেক আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া লালমনিরহাটের উন্নয়নের জন্য নানামুখী উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে এবং আরো কিছু উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা আছে। দ্রুত এগুলোর বাস্তবায়নে কাজ শুরু হবে।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ও অধিক উন্নয়ন করার জন্য এই সরকারের আরো সময় ও সুযোগের প্রয়োজন আছে উল্লেখ করে আগামী সংসদ নির্বাচনেও উপস্থিত সকলের নিকট নৌকায় ভোট প্রত্যাশা করেন তিনি।
মোস্তফীহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় রজতজয়ন্তী উৎসবে গোকুন্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ সরকার টোটনের প্রধান পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, লালমনিরহাট জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোতাহার হোসেন (এমপি), লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ, লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. মতিয়ার রহমান, লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষক-শিক্ষিকা, কয়েক হাজার সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী ও সরকার দলীয় সকল সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম অংঙ্গ-সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ এবং গোকুন্ডা ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই