প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর দেখা করাটা একটি রাজনৈতিক কৌশল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি দেখা করতেই পারেন। দেখা করার অর্থ এ রকম নয় যে তিনি কালই আওয়ামী লীগে চলে আসবেন। এটি রাজনৈতিক কৌশল। আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে। রাজনৈতিক নীতির আলোকেই শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নেবেন। এটি নিয়ে এতো ভাবার কারণ আছে বলে আমি মনে করি না।
বৃহস্পতিবার বাসাইল-সখিপুরের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের) পুনরায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় তাকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি জামায়াতের মতো রাজাকার- আলবদরদের নিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। তারা বলেছিল, গত ১০ ডিসেম্বর সরকারের পতন ঘটিয়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশ পরিচালনা করবে। এতে তারা ব্যর্থ হয়ে ৩০ তারিখে গণমিছিল করবে। এতেও তারা ব্যর্থ হবে। অথচ প্রধানমন্ত্রীর দয়ায় তিনি জেলখানা থেকে নিজ বাড়িতে রয়েছেন। তিনি অতীতেও বার বার বাড়িঘরে, দোকানপাটে আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়েছেন। হরতাল অবরোধের নামে কী নৈরাজ্য তারা সৃষ্টি করেছে। আবার তারা সেই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। এমন পৈশাচিক ঘটনা এদেশে আর ঘটাতে দেব না। রাজনৈতিকভাবে আমরা এর মোকাবিলা করব।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিয়ার রহমান গাউসের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর, জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম খান, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুভাস চন্দ্র সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান সোহেল, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আমিন শরিফ সুপন, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম আহমেদসহ অনেকে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক