অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এবার উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে একই সঙ্গে তিনি ২০০৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এর চেয়ে ভালো হয়েছিল বলেও মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার সকালে নির্বাচন পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানাতে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকার, প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
নির্বাচনে সহিংসতা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক বাদানুবাদের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরে বিদ্রোহী প্রার্থীদের তৎপরতা কোনো কোনো ক্ষেত্রে নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে বিঘ্নিত করেছে। যা নিতান্তই অনভিপ্রেত। দেশে বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক সংকটের উত্তরণ ঘটলে এ সমস্যা থাকবে না।
মন্ত্রী বলেন, “নির্বাচনের শুরুটা ভালো হয়েছে। শেষটাও মোটামুটি ভালো হয়েছে। এই নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে করতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।”
নির্বাচনে বিএনপির কারচুপির অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, কারচুপি হলে ১৬৪টি উপজেলায় কী করে তারা জয়লাভ করেছেন?
নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের বহু মন্ত্রীর এলাকায় পর্যন্ত আমাদের প্রার্থীরা হেরে গেছেন। পীরগঞ্জে বিএনপি প্রার্থী জয়লাভ করেছে। কিশোরগঞ্জ সদরে আমাদের প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। গোপালগঞ্জে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। বগুড়ার একটি উপজেলায়ও আমরা জয়লাভ করতে পারিনি। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিষিদ্ধ জামায়াতে ইসলামীর বহু প্রার্থী জয়লাভ করেছে।
এই উপজেলা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিএনপি নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত, ভিত্তিহীন, কল্পিত মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. দীপু মনি, আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবদুস সোবহান গোলাপ, আবদুল মান্নান খান, মৃণাল কান্তি দাস, ফরিদুন্নাহার লাইলী, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, বদিউজ্জামান ভুঁইয়া ডাবলু, হাবিবুর রহমান সিরাজ, আমিনুল ইসলাম আমিন, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।