বৈশাখ এলে আনন্দে মেতে ওঠে বাঙালি। এর থেকে বাদ যান না রাজনীতিবিদরা। তেমনি বাদ যাননি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। বৈশাখ এলেই তিনি নাকি উজ্জীবিত হন। আর এ কথা নিজ মুখেই স্বীকার করলেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি।
বাংলা বছরের প্রথম দিনে মনে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে উল্লেখ করে এরশাদ বলেছেন, ‘বৈশাখে এলেই আমি উজ্জীবিত হই।'
আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর (উত্তর) আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এরশাদ বলেন, 'আজ পহেলা বৈশাখ। বাংলা বছরের প্রথম দিন। সারা জাতি আজ উজ্জীবিত, আনন্দিত। সবাই আনন্দ করছে। আমার মনেও আজ নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে।'
জাতীয় পার্টির কর্মীদের দেখেই তার মনে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে উল্লেখ করে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, 'এই পহেলা বৈশাখ সরকারি ছুটি ছিল না। ১৯৮৭ সালে আমিই প্রথম পহেলা বৈশাখ সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছিলাম। এর আগে কেউ করেনি।'
বিলবোর্ডে বাংলা ভাষার ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে এরশাদ বলেন, ‘সম্প্রতি উচ্চ আদালত বিলবোর্ডে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা ভাষার ব্যবহার করতে হবে বলে রায় দিয়েছে। এখানে আমি বলব, ১৯৮৭ সালে আমিই কিন্তু প্রথম সাইনবোর্ডে বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক মর্মে নির্দেশ দিয়েছিলাম। আজ হাইকোর্টও একই রায় দিয়েছে। আমি উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।’
তিনি বলেন, আমাদের স্লোগান শান্তির জন্য পরিবর্তন। নতুন বছরের অঙ্গীকার হোক পার্টিকে নতুন করে সাজাব।'
এরপর তিনি পহেলা বৈশাখ নিয়ে নিজের লেখা কবিতা পাঠ করে শোনান।
জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এস এম ফয়সল চিশতীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরেও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এরশাদের রাজনৈতিক সচিব সুনীল শুভ রায় প্রমুখ।