ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) জানিয়েছে, বিভিন্ন সমস্যার কারণে দেশের প্রায় ৪৭ শতাংশ সমবায় সমিতি অকার্যকর।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর হোটেল অবকাশে টিআইবি আয়োজিত 'সমবায় সমিতি ব্যবস্থাপনা: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়' শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
টিআইবি'র প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সালের ১০ মার্চ থেকে ২০১৪ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত ২১টি বহুমুখী সঞ্চয় ও ঋণদান সমিতির ৯ লাখ সদস্য-গ্রাহকের বিনিয়োগকৃত ৯ হাজার ৭০ কোটি টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও সমিতিগুলোর বিভিন্ন সমস্যার কারণে দেশের প্রায় ৪৭ শতাংশ সমবায় সমিতি অকার্যকর।
টিআইবি জানায়, শধু সমবায় দিবস ছাড়া বছরের অন্য কোনও সময় সমবায় সম্পর্কে অবহিত করা হয় না। সমবায় সমিতির অনিয়ম ও দুর্নীতির ব্যাপারে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় না। কারণ অভিযোগ করলেও কোনও শাস্তি হয় না। কিছু সমিতি রাজনৈতক উদ্দেশে গঠিত হয়। সরকার সম্পাদক দখল করার জন্যই এসব সমিতি গঠিত হয়।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৮০ কোটি মানুষ সমবায় সমিতির সদস্য এবং বিশ্বব্যাপী সমবায়ের মাধ্যমে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ১০ কোটি মানুষের। বাংলাদেশে মোট ২৯ ধরনের নিবন্ধিত সমবায় সমিতি রয়েছে ১ লাখ ৮৬ হাজার ১৯৯টি। এসব সমবায় সমিতির সদস্য রয়েছে ৯৩ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫৭ জন। এর মাধ্যমে কর্মসংস্থান হয়েছে ৪ লাখ ৪২ হাজার ১৯২ জনের। সমিতিগুলোর মূলধন রয়েছে ৫ হাজার ৪৪৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা। সম্পদ রয়েছে ৬ হাজার ২৩৭ কোটি ৬২ লাখ টাকার। দেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) সমবায় সমিতির অবদান ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
টিআইবি'র ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের সভাপত্বিতে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- টিআইবি'র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপ-নির্বাহী পরিচালক ড. সুমাইয়া খায়ের।
সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন টিআইবি'র গবেষক নিহার রঞ্জন রায় ও মোহাম্মদ হোসেন। সমবায় সমিতিকে অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত রাখতে টিআইবি'র পক্ষ থেকে কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়।