বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের অপহৃত স্বামী আবু বকর সিদ্দিককে উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে রাজধানীর কলাবাগান বাসস্ট্যান্ডে স্থাপিত চেকপোস্টে একটি সিএনজি অটোরিকশায় তাকে খুঁজে পায় পুলিশ।
এ ব্যাপারে আবু বকর জানান, রাতে মিরপুর আনসার ক্যাম্প এলাকায় চোখ বাঁধা অবস্থায় তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়া হয়। এ সময় তাকে তিনশ’ টাকাও দেয় অপহরণকারীরা। পরে তিনি একটি রিকশা নিয়ে সেন্ট্রাল রোডস্থ বাড়ির দিকে রওয়ানা হন। পথে কাজীপাড়ায় ওই সিএনজি অটোরিকশায় চড়েন তিনি।
এদিকে খবর পেয়ে থানায় উপস্থিত হন রিজওয়ানা হাসান। দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্বামী উদ্ধার হওয়ায় তিনি পুলিশ, সংবাদমাধ্যম এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক সদিচ্ছার কারণেই এত দ্রুত তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
তবে কে বা কারা এ অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছিলো পুলিশ এ ব্যাপারে তেমন কিছু জানাতে পারেনি।
এখন আবু বকর সিদ্দিক সেন্ট্রাল রোডের বাসায়ই আছেন। বাসার সামনে পুলিশ নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
'আমাকে সেন্ট্রাল রোডে নিয়ে যান। আমাকে অপহরণ করা হয়েছিলো' এভাবেই রাত পৌনে একটার সময় আবু বকর অটোরিকশা থামান। অটোরিকশার চালক বলেন, রিকশা করে ১০ নম্বরের দিক থেকে আসছিলেন আবু বকর। মিরপুর কাজীপাড়া থেকে তিনি তাকে তার অটোরিকশায় ওঠান।
মিরপুরের আনসার ক্যাম্প এলাকায় তাঁকে নামিয়ে দিয়ে যায় অপহরণকারীরা। এ সময় তাঁর চোখ গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল। দীর্ঘ সময় গামছা বেঁধে রাখার কারণে তাঁর নাকের ওপরে দাগ পড়ে গেছে।
কলাবাগান চেকপোস্টে কর্তব্যরত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বাবুল রহমান বলেন, রাস্তায় যানবাহন তল্লাশি চালানোর সময় তারা সিএনজি অটোরিকশাটিকে থামান। যাত্রীর পরনে ছেড়া জামা দেখে তিনি তার পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন। এ সময় আবু বকর তার অপহরণের বিষয়টি পুলিশকে খুলে বলেন। এএসআই বাবুলও তাকে শনাক্ত করতে পারেন।
পরে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) অশোক চৌহান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে থানায় নিয়ে যান।