বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামী আবু বকর সিদ্দিক (এবি সিদ্দিক) উদ্ধার হয়েছেন। ৩৫ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষার পর তিনি উদ্ধার পেলেও জনমনে হাজারো প্রশ্ন উঠেছে। অপহরণের ঘটনায় অনেক প্রশ্নের উত্তর এখনো মেলেনি। এখন সেসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন গোয়েন্দারা। ঘটনাটি প্রকৃতই অপহরণ, নাকি কোনো নাটক? এর মধ্যে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে রীতিমতো বিস্মিত হয়েছেন খোদ তদন্ত-সংশ্লিষ্টসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাই।
এবার রহস্য দানা বেঁধেছে তাকে আটক রাখার স্থানটিকে ঘিরে। হেলিকপ্টারের পর দুটি ফেরির কথাও জানান এবি সিদ্দিক। তদন্তকারীরা বলেছেন, ওই স্থানের সন্ধান পাওয়া গেলে অপরাধীদেরও পাওয়া যাবে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি ফেরি পার হয়ে কোথায় রাখা হয়েছিল সিদ্দিককে সেই স্থানটির সন্ধানে নেমেছেন গোয়েন্দারা। এ ছাড়া তিনি সেখান থেকে হেলিকপ্টার এবং উড়োজাহাজ ওঠা-নামার শব্দ শুনেছেন বলে জানিয়েছেন। তার এই বক্তব্য ঘিরে সমীকরণ মেলানোর চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
জানা গেছে, পুলিশ এই মূহূর্তে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে অপহরণ করে আবু বকর সিদ্দিককে যে জায়গায় আটকে রাখা হয়েছিল সে বাড়িটি চিহ্নিত করার ওপর। একটি পত্রিকার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আবু বকর সিদ্দিক বলেছেন, তাকে অপহরণকারীরা বলেছে তার মতো অনেককেই এখানে এনে রাখা হয়। বাথরুমে যাওয়ার সময় চোখ খোলা হলে তিনি যে ঘরটি দেখতে পান সেখানে কেউ থাকে বলে মনে হয় না।
পুলিশ মনে করছে, যদি এ বাড়িটি চিহ্নিত করা যায় তাহলে এর সঙ্গে কারা জড়িত তাও চিহ্নিত করা যাবে। দুটি ফেরি পার হয়ে সে বাড়িটিতে যাওয়ার কথা বর্ণনা করেছেন আবু বকর সিদ্দিক। নারায়ণগঞ্জ থেকে তিন ঘণ্টার পথে দুটি ফেরি পড়ে এমন জায়গা পাওয়া কঠিন। একটি সম্ভাব্য জায়গা হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ থেকে রূপগঞ্জ ফেরিঘাট হয়ে পরে আড়াইহাজারের বিশনন্দি ফেরিঘাট পার হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাওয়া। কিন্তু বিশনন্দি ফেরিঘাট পার হয়ে কোনো জায়গায় গেলে সেখানে বিমানের বা হেলিকপ্টারের শব্দ শোনা যায় না। ফলে হেলিকপ্টার ও ফেরি রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে তার অপহরণ নিয়ে।