আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হচ্ছে কি-না তা পর্যবেক্ষণ করতে কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় মনিটরিং সেল গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই কমিটি জেলা-উপজেলার নেতার প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেবে।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ২০মিনিটে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, লে জে মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্রিগেডিয়ার জে. অব. আ স ম হান্নান শাহ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সারওয়ারি রহমান, ড. আবদুল মঈন খান উপস্থিত ছিলেন।
ফখরুল জানান, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে পৌর নির্বাচনে নানা অসঙ্গতি নিয়ে ক্ষোভ-বিস্ময় প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি বলেন, দলীয় প্রতীকে তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে। আগে নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা করলেও এবার করেনি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে গণহারে বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। গত ১ মাসে এই সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার। নেতাকর্মীদেরকে মুক্তি না দিলে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে না বলেও মন্তব্য সদ্য কারামুক্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
ফখরুল বলেন, নির্বাচনের দায়িত্বে ইওএনওকে নিয়োগ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। কারচুপির চিন্তা করে সরকারি কর্মকর্তাদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। স্থায়ী কমিটির সভা এসব বিষয়ের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অনিয়ম পরিহার করে সুষ্ঠু নির্বাচন করার আহ্বান জানিয়েছে।
তিনি বলেন, বিধিনিষেধ থাকার পরও মন্ত্রী-এমপিরা নির্বাচনী প্রচার করছেন। এজন্য কয়েকজনকে শোকজ করা হয়েছে। তবে শোকজ যথেষ্ট নয়। নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অবাধ করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সভা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করেছে বিএনপি প্রার্থীদেরকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের চাপ দেয়া হচ্ছে। সভা এও আশঙ্কা করছে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তারপরও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের স্বার্থে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
বিডি-প্রতিদিন/১০ ডিসেম্বর, ২০১৫/মাহবুব