দেশের মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটিগুলোতে জঙ্গিবাদের মদদদাতা ও যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থক রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সদর দফতরে ওলামা মাশায়েখদের সঙ্গে ‘জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে ইসলামের ভূমিকা: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
সভায় শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ অভিযোগ করে বলেন, “আমার জানামতে, অনেক মসজিদ কমিটি আছে, যেখানে জঙ্গিবাদের মদদদাতা ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সমর্থকরা মোট অঙ্কের টাকা দিয়ে কমিটিতে ঢুকে পড়ছে।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের অনেক মসজিদে আমার ছাত্ররা ইমামতি করছেন, তারা আমার কাছে অভিযোগ করেছেন, জঙ্গিবাদ নিয়ে কিছু বললে কৌশলে নানা অপবাদ দিয়ে তাদের চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”
এই পর্যবেক্ষণের জবাবে আইজিপি বলেন, যেসব মাদ্রাসা ও মসজিদ কমিটি জঙ্গিবাদে মদদ দেয় তাদের চিহ্নিত করা হবে। এজন্য দেশের প্রতিটি থানায় জঙ্গিবাদবিরোধী কমিটি গঠন করা হবে। পুলিশ ও ওলামাদের সমন্বয়ে এই কমিটি গঠন করা হবে।
জুম্মার দিনে মূল আরবি খুতবার আগে কিংবা পরে বাংলায় জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য দেওয়ার জন্য ওলামা মাশায়েখদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেছুর রহমান, ড. জাভেদ পাটোয়ারি (এসবি), ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম, জমিয়াতুল উলামায়ের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসুদসহ শতাধিক ওলামা-মাশায়েখ।
বিডি-প্রতিদিন/১৭ ডিসেম্বর, ২০১৫/মাহবুব