পৌরসভা নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ন উৎসব মুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করেছে আওয়ামী লীগ।
বুধবার বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি কার্যালয়ে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, ৩ হাজার ৫শ ৫৫ টি কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র ৬০ টি কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে যা অতিতের যে কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচনের তুলনায় কিছুই না। এ নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু এবংশান্তিপূর্ন উৎসব মুখর ভাবে হয়েছে। এ জন্য নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, অংশ গ্রহণকারী সব রাজনৈতিক দল এবং ভোটারদেরকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ধন্যবাদ জানান তিনি।
মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, নির্বাচন, নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই বিএনপির মুল উদ্দেশ্য। তারা প্রথম থেকেই এ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন এবং এ নির্বাচনকে তারা ষড়যন্ত্র হিসেবে নিয়েছিলেন।
১৫৭ টি পৌরসভায় সরকার সমর্থকরা প্রভাব বিস্তার করেছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগের জবাবে হানিফ বলেন, এসব পৌরসভা গুলোতে নিশ্চিত পরাজয় জেনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়কে বিতর্কিত করার জন্য তারা এমন অভিযোগ করছে। এটি বিভ্রান্তিকর তথ্য, যার কোনো ভিত্তিই নেই।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে, বিএনপি যে সব যায়গায় পরাজিত হবে সে সব যায়গায় তাদের পোলিং এজেন্টদের সই না করার নিদের্শনা দিয়ে রেখেছে দলটি। শুধু তাই নয়, তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য তারা সাংবাদিকদের উপর হামলা করেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে গত মঙ্গলবার রাত থেকে নির্বাচনের ব্যালেট পেপারে সিল মারা, ছিনতাই এর সংবাদ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব সংবাদ তথ্য নির্ভর নয়, অতিরঞ্জিত ভাবে সংবাদ মাধ্যমে এসেছে। হানিফ বলেন, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ভোট কেন্দ্র থেকে আধা কিলোমিটার দুরে সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হয়। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি এটি স্থানীয় সমাজিক সমস্যার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। যার সাথে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গির কবির নানক, ড. আব্দুর রাজ্জাক, আহমদ হোসন, বিএম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ফরিদুন্ননাহার লাইলী একেএম এনামুল হক শামীম, সুজিত রায় নন্দী, লিয়াকত শিকদার, মাহমুদ হাসান রিপন প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩০ ডিসেম্বর ১৫/ সালাহ উদ্দীন