এবছর প্রাথমিক-ইবতেদায়ী সমাপনীতে (পিইসি) পাসের হার ৯৮.৫২ শতাংশ। আর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও মাদ্রাসার জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি)'তে পাসের হার ৯২.৩৩ শতাংশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সারাদেশের একযোগে এই দুই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
এর আগে, সকাল সোয়া ১০টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার কাছে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও মাদ্রাসার জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) এবং প্রাথমিক শিক্ষা (পিএসসি) ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার।
এরপর দুপুর সাড়ে ১২টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার পিএসসির ফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি জানান, প্রাথমিক সমাপনীতে ২৮ লাখ ৩৯ হাজার ২৩৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৭ লাখ ৯৭ হাজার ২৭৪ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ২ লাখ ৭৫ হাজার ৯৮০ জন শিক্ষার্থী। অন্যদিকে, ইবতেদায়িতে পাসের হার ৯৫.১৩। ২ লাখ ৬৪ হাজার ১৩৪জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২ লাখ ৫১ হাজার ২৬৬ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৪৭৩ জন শিক্ষার্থী।
প্রাথমিক সমাপনীতে ঢাকা বিভাগে পাসের হার ৯৮.৭৪, চট্টগ্রাম বিভাগে পাসের হার ৯৮.৪১, রাজশাহী বিভাগে পাসের হার ৯৯, খুলনা বিভাগে পাসের হার ৯৮.৯৭, বরিশাল বিভাগে পাসের হার ৯৮.৩০, সিলেট বিভাগে পাসের হার ৯৬.৭৯ ও রংপুর বিভাগে পাসের হার ৯৮.৫৬।
এদিকে, দুপুর দেড়টায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ মন্ত্রণালয়ে তার সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে জেএসসি ও জেডিসির ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি জানান, জেএসসি ও জেডিসিতে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৯৬ হাজার ২৬৩জন। ৮টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৫০২ জন। অন্যদিকে মাদ্রাসা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ হাজার ৭৬১ জন শিক্ষার্থী।
জেএসসিতে গড় পাসের হার ৯২.৩১। এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৯০.৩৯ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৯৭.৪৭ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৯২.৫১ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৯৫.৪৪ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮৫.৪৮ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৯৭.২৬ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৯৩.৫৯ শতাংশ এবং দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৯১.৫২ শতাংশ।
বিডি-প্রতিদিন/৩১ডিসেম্বর, ২০১৫/মাহবুব