রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় দখল করতে গিয়ে ছাত্রদলের ধাওয়া খেয়ে পালিয়েছে ‘আসল বিএনপি’র কর্মীরা। এসময় আসল বিএনপির কয়েকজনকে মারধর করে যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। শনিবার বেলা ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ফকিরাপুল মোড় থেকে জাতীয় পতাকা হাতে আসল বিএনপির ৫০/৬০ কর্মী 'জিয়ার সৈনিক এক হও, লড়াই কর’ স্লোগান দিতে দিতে বিএনপির কার্যালয়ের দিকে আসেন। মিছিলটি নয়াপল্টনের কড়াই গোশত রেস্টুরেন্টের কাছে এলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থাকা ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা ধাওয়া দেয়।
এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীদের পিটুনির মুখে তাঁরা পালিয়ে যান। এতে একজন সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় ককটেলের বিস্ফোরণ এবং পুলিশের ফাঁকা গুলি ছোড়ার ঘটনাও ঘটে।
এদিকে, এ ঘটনাকে সরকারের গভীর ষড়যন্ত্রের নীল নকশা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। শনিবার বিকেলে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিজভী বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র করছে সরকার। কার্যালয়ের সামনে হামলায় ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ১৬ নেতাকর্মী আহত হন। নেতাকর্মীদের ওপর যে হামলা হয়েছে এটা সরকারের ষড়যন্ত্রের নীল নকশার একটি অংশ।
তিনি আরও বলেন, আগামী ৫ জানুয়ারি বিএনপির যে সমাবেশ করার কথা সে সমাবেশকে ভণ্ডুল করার একটি ষড়যন্ত্র এই হামলা।
অন্যদিকে, এ ঘটনায় আসল বিএনপির দাবিদার কামরুল হাসান নাসিম বলেন, ‘আমি গত এক বছর ধরে বিএনপি পুনর্গঠন নিয়ে কাজ করছি। গেল ২৬ নভেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জনতার একটি নিম্ন আদালত করেছিলাম। সেখানে দুই রায় পেয়েছিলাম। একটা হচ্ছে, আমাদের দলের গঠনতন্ত্র স্থগিত। আরেকটা হচ্ছে, জনতার উচ্চ আদালত বসবে নয়াপল্টন কার্যালয়ে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের কর্মীরা কার্যালয়ে গিয়ে উচ্চ আদালত কবে বসবে সেটার জন্য কথাবার্তা বলতে চেয়েছে। তারা যে নাশকতার রাজনীতি নিয়েছিল আজও তার প্রমাণ করেছে। বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে যাওয়া ছেলেদের মিছিলের ওপর ককটেল চার্জ করেছে। এখানেই খালেদা জিয়া ও কামরুল হাসান নাসিমের পার্থক্য।’
এ কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে উল্লেখ করে নাসিম আরও বলেন, ‘উচ্চ আদালত বসবে এবং নয়াপল্টনেই বসবে। সেটা অহিসংভাবেই বসবে। আমরা সহিংসতাকে প্রশ্রয় দিব না।’
বিডি-প্রতিদিন/০২ জানুয়ারি, ২০১৫/মাহবুব