আগামী ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ও ৬ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর চূড়ান্ত রায়কে ঘিরে নাশকতার পরিকল্পনা ছিল দলটির।
শনিবার রাজধানীর রামপুরা বনশ্রী থেকে কোটি টাকাসহ গ্রেফতার হওয়া দলটির পাঁচ নেতা-কর্মী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা স্বীকার করেছেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে, শনিবার বিকেলে রামপুরা বনশ্রীর বি ব্লকের ৬ নং রোডের একটি বাড়ি থেকে ওই ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ এক কোটি ৪৭ হাজার ৫০০ টাকা ও জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়।
ডিএমপির উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. মারুফ হোসেন সরদার স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘আসামিরা আগামী ৫ জানুয়ারিকে সামনে রেখে এবং যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীর আপিল রায়কে কেন্দ্র করে সারাদেশে ব্যাপক নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির লক্ষ্যে এই টাকা তাদের কর্মীদের মধ্যে বিলি করার জন্য সংগ্রহ করেছিল।’
গ্রেফতার হওয়া জামায়াতের ওই ৫ নেতাকর্মী হলেন- মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫), মো. আমিনুর রহমান (৫৬), আবুল হাশেম (৩২), ওসমান গনি (৪০) ও শাহাদাতুর রহমান ওরফে সোহেল (৪৩)। এদের মধ্যে গিয়াস উদ্দিন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের চিফ অ্যাকাউন্টেন্ট ও রুকন, মো. আমিনুর রহমান কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সহকারী অ্যাকাউন্টেন্ট ও রুকন এবং আবুল হাশেম জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পিয়ন হিসেবে কর্মরত।
বিডি-প্রতিদিন/০৩ জানুয়ারি, ২০১৫/মাহবুব