আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০১৬ সালের মধ্যেই বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রমনা থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি একথা বলেন। সর্বোচ্চ আদালতে যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় বহাল থাকায় প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে এবং জামায়াতের হরতালের প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের কোনো সংগঠন থাকতে পারে না। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যেমে ২০১৬ সালের মধ্যেই এ দেশ থেকে জামায়াতের রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করা হবে।”
নিজামীর রায় কার্যকর করা এখন কেবল ‘সময়ের ব্যাপার’ মন্তব্য করে আাওয়ামী লীগ নেতা কামরুল বলেন, “নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী একে একে সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন করা হচ্ছে। এর ধারাবাহিতায় নিজামীর বিচার সম্পন্ন হয়েছে। এই বিচার কর্যকর করা এখন সময়ের ব্যপার মাত্র।”
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘পাক সেনাদের প্রেমে যারা বিভোর, শহীদদের যারা অবমাননা করে, শহীদদের নিয়ে কটূক্তি করে, আগুন সন্ত্রাস চালায়, হরতালের নামে গাড়ি পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করে; আমরা পর্যায়ক্রমে তাদেরও বিচার করব।’
রমনা থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল বাশারের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ জানুয়ারি, ২০১৫/মাহবুব