বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিনে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। মঙ্গলবার ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনে আমরা মর্মাহত। তিনি যদি আমাদের কথা শুনতেন তাহলে এভাবে শিক্ষদের নিয়ে কথা বলতেন না। তিনি আরও জানান, শিক্ষকদের নিয়ে একটি খণ্ডিত চিত্র পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যার কারণে তিনি শিক্ষকদের নিয়ে এরকম কথা বলেছেন।
এদিকে, শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতিতে অচল হয়ে পড়েছে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে ‘অর্থমন্ত্রী প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ এবং অন্যান্য অসঙ্গতি নিরসনে’ কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল একযোগে আন্দোলনে নামেন শিক্ষকরা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ডাকে সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় এ আন্দোলন কর্মসূচি। এতে সারা দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ থাকে। ফলে বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রমেও নেমে আসে স্থবিরতা। দফতরগুলোতে ঝুলতে দেখা যায় তালা। শিক্ষকরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা এ কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন।
এদিকে, অষ্টম বেতন কাঠামোয় বৈষম্য নিরসনের একই দাবিতে দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন প্রশাসন ও পুলিশ ক্যাডার ছাড়া অন্য সব ক্যাডার ও নন-ক্যাডার কর্মকর্তারাও। গতকাল দুপুর ১২টা থেকে কালো ব্যাজ ধারণ করে বেলা ২টা পর্যন্ত সব সরকারি অফিসে প্রকৌশলী, কৃষিবিদ, চিকিৎসকসহ ২৬টি ক্যাডার ও বিভিন্ন ফাংশনাল সার্ভিসের কর্মকর্তারা এ কর্মবিরতি পালন করেন। ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা এ কর্মসূচি পালন করবেন।
গত বছরের মাঝামাঝিতে অষ্টম বেতন কাঠামো প্রস্তাবের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা নানা কর্মসূচিতে নিজেদের ‘মর্যাদাহানি ও সুবিধা কমে যাওয়ায়’ আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। গত মাসে বেতন কাঠামোর গেজেট প্রকাশের পর শিক্ষকদের বিরোধিতার মুখে সরকার একটি কমিটি গঠন করে। কিন্তু এখন পর্যন্ত শিক্ষকদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি। এরই জের ধরে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ২ জানুয়ারি লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।
বিডি-প্রতিদিন/ ১২ জানুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা