জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য দিতে ২২ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) আদালতে হাজির না হলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করবেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু আহমেদ জামাদার এ নির্দেশ দেন। এ সময় আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার।
ওই আদালতে খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য দেওয়ার জন্য দিনটি ধার্য ছিল। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে ব্যস্ত থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় খালেদা জিয়া তার আইনজীবীদের মাধ্যমে সময়ের আবেদন দাখিল করেন। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত প্রথমে নির্দেশ দেন রবিবার হাজির হতে হবে খালেদা জিয়াকে। পরে তারা আরও সময়ের আবেদন জানালে আদালত প্রথমে সোমবার ও পরে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় মঞ্জুর করেন।
খালেদার আইনজীবী ব্যরিস্টার জমিরউদ্দীন আহমেদ সময়ের আবেদনের শুনানিতে বলেন, খালেদা জিয়া নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে ব্যস্ত রয়েছেন।
অপরদিকে মামলাটি হাইকোর্টে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। দুদকের আইনজীবী মোশররফ হোসেন কাজল বলেন, আইনগতভাবে আবেদনটির কোনো ভিত্তি নেই। তাই আবেদনে আমার আপত্তি রয়েছে।
এর আগে, ৮ ডিসেম্বর এ আদালত পুনর্বিবেচনার আবেদন মঞ্জুর করে খালেদার অসমাপ্ত বক্তব্য দেওয়ার জন্য ১৫ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
পুনর্বিবেচনার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত বৃহস্পতিবার চ্যারিটেবল মামলার রাষ্ট্রপক্ষের ৩২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য বাতিল করে পুনরায় নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত আবেদনটি নামঞ্জুর করায় হাইকোর্টে একটি রিভিশন আবেদন করেছি। তা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। তাই আমরা খালেদা জিয়ার পক্ষে মামলাটির আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য মুলতবি রাখার জন্য সময়ের আবেদন দাখিল করেছি। ১ ডিসেম্বর ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দারের আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে বেগম খালেদা জিয়া উপস্থিত হন। এ সময় বিচারক তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ও ৩২ সাক্ষীর জবানবন্দি পড়ে শোনান।
বিডি প্রতিদিন/ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬/এনায়েত করিম