অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ২০৩০ সালের আগেই বাংলাদেশ সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল বা এসডিজির অনেকগুলো লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে বলে জানিয়েছেন। আজ রবিবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী মিডিয়া প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনকালে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
২০০০ সালে জাতিসংঘ মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল বা এমডিজি শুরু হয়, আর শেষ হয়ে গত বছর। এর লক্ষ্যমাত্রা ছিল আটটি৷ আর এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭টি। আর এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়ে ২০১৬ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত। কিন্তু অর্থমন্ত্রী মনে করছেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই এর অনেকগুলো পূরণ করা সম্ভব।
অর্থমন্ত্রী বলেন, "দারিদ্র্য বিমোচন বিষয়টি দীর্ঘস্থায়ী হতে হবে, চলমান হলে চলবে না। তবে আমাদের দেশের সিরিয়াস প্রবলেম ক্লাইমেট চেঞ্জ। এর ফলে উপকূলীয় এলাকায় খরা ও ভাঙ্গনের সৃষ্টি হচ্ছে। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ দ্রুততম সময়ের মধ্যেই দারিদ্র্যের সৃষ্টি করে। তবে ক্লাইমেট চেঞ্জের জন্য আমরা দায়ী না। দায়ী মূলত উন্নত দেশগুলো। চীন ও ভারত কার্বন-ডাই অক্সাইড নিঃসরণ করছে, অথচ আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।"
তিনি আরও বলেন, "জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে আমরা নানাভাবে সমস্যায় পড়ছি। অথচ সেভাবে আমরা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছি না। আমাদের নিজেদের টাকায়ই আমরা ক্লাইমেট চেঞ্জের বিষয়ে নানা ধরনের কর্মসূচি করে থাকি। ক্লাইমেট চেঞ্জ করে উন্নত দেশ আর ভিকটিম হচ্ছি আমরা।"
এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে ইন্টার প্রেস সার্ভিস এবং ইউএন ফাউন্ডেশন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, ইন্টার প্রেস সার্ভিসের মহাপরিচালক ফারহানা হক রহমান এবং আইপিএসর দক্ষিণ এশীয় বিষয়ক প্রতিনিধি শহিদুজ্জামান প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৬/ তাফসীর-১৩