কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে ৩৩৬ দশমিক ৩০৪ মেট্রিক টন পিয়াজ খালাস করা হয়েছে। খালাসকৃত পেয়াঁজ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল সোমবার তিনটি ট্রলার থেকে ৩৩৬ দশমিক ৩০৪ মেট্রিক টন পিয়াজ খালাস হয়েছে। এ নিয়ে ভারত থেকে পিয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর গত দু'দিনে ১৯৭৪ দশমিক ৪৫৮ মেট্রিক টন পিয়াজ আমদানি হয়েছে। নাফ নদীতে পিয়াজ খালাসের অপেক্ষায় আছে আরও আটটি ট্রলারে ২০ হাজার বস্তা পিয়াজ। প্রতি বস্তায় ৪০ কেজি করে। এসব পিয়াজ স্থলবন্দর দিয়ে খালাস হওয়ার কথা রয়েছে।
এসব তথ্য রাতে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা আফছার উদ্দিন। তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে প্রতিনিয়ত পিয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। সোমবার ও রবিবার ১৯৭৪ দশমিক ৪৫৮ মেট্রিক টন পিয়াজ এসে পৌঁছে। এসব পিয়াজ ১৭ জন ব্যবসায়ী আমদানি করেছেন।
শুল্ক বিভাগ জানায়, মিয়ানমার থেকে চলতি ডিসেম্বর মাসের ৯ তারিখ পর্যন্ত ৭৪১৯ দশমিক ৬৩৬ মেট্রিক টন পিয়াজ আমদানি হয়েছে। এর আগে নভেম্বরে ২১ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন পিয়াজ আমদানি হয়। এছাড়া অক্টোবরে ২০ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন পিয়াজ আসে। সেপ্টেম্বর মাসে আমদানি হয় ৩৫৭৩ মেট্রিক টন এবং আগস্ট মাসে এসেছে ৮৪ মেট্রিক টন পিয়াজ। তবে মিয়ানমার থেকে পিয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকলে এখনো বাজারে পিয়াজের দাম কমেনি।
সীমান্ত বাণিজ্য ব্যবসায়ীরা পিয়াজের আমদানি অব্যাহত রেখেছে। মিয়ানমার থেকে এত বিপুল পরিমাণ পিয়াজ আমদানি করেও দেশের বাজারে এখনো কোন প্রভাব পড়ছে না। তবে পিয়াজ আমদানিতে সরকার রাজস্ব মওকুফ করে দেওয়ায় আগের তুলনায় রাজস্ব কম আদায় হচ্ছে। একদিকে দেশের সংকট মোকাবেলা করছে, অন্যদিকে রাজস্বে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে বলে এমনটি জানালেন সংশ্লিষ্টরা।
স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইডেট ল্যান্ড পোর্ট টেকনাফের মহাব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে আগের তুলনায় মিয়ানমার থেকে পিয়াজ আমদানি বেড়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ