‘কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিস্থিতি-২০১৯’ শীর্ষক সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক বছরে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ৯৪৫ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে ২৬৬ জন। এর মধ্যে পরিবহন খাতে সর্বোচ্চ ২৯৪ জন নিহত হয়েছে।
নির্মাণ খাতে নিহত হয়েছে ১৫৬ জন শ্রমিক, পোশাক শিল্পে নিহত হয়েছেন ৪০ জন, কৃষিশ্রমিক ৯৮ জন এবং দিনমজুর মারা গেছেন ৪৯ জন। এছাড়া জাহাজ ভাঙা শিল্পে কর্মরত ২৩ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। বাকিরা অন্যান্য সেক্টরে কাজ করতে গিয়ে নিহত হন।
রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে মঙ্গলবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনের এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশ অক্যুপেশনাল সেফটি, হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ফাউন্ডেশন (ওশি) নামের একটি বেসরকারি সংস্থা ‘কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিস্থিতি-২০১৯’ শীর্ষক এই সমীক্ষা প্রতিবেদন তৈরী করে। দেশের শীর্ষস্থানীয় ১৫টি জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর এবং সংগঠনের মাঠ পর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এ সমীক্ষা তৈরি করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
প্রতিবেদনে হতাহতের কারণ হিসেবে কর্মস্থলে আসা-যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া, অগ্নিকাণ্ড, ভবন বা স্থাপনা থকে পড়ে যাওয়া, বজ্রপাত, বয়লার ও সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, গৃহ শ্রমিকদের ক্ষেত্রে শারীরিক নির্যাতন এবং ধাতব আঘাতের কথা বলা হয়েছে।
কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নয়নে হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ শ্রম আইন (সংশোধিত ২০১৮) ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ এর আলোকে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে নজরদারি বাড়ানো, বয়লার পরিদর্শকের সংখ্যা বৃদ্ধি, বয়লার পরিদর্শন দফতরকে অধিদফতরে রূপান্তর, কর্মস্থলে শ্রমিকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ ব্যবহার নিশ্চিত, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ইউনিট চালু করার দাবি জানিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল