বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তিনি। মৃত্যকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর।
জানা গেছে, শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে গত শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী বিএসএমএমইউতে ভর্তি হন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পি নবম ও দশম সংসদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এদিকে, বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পির দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে রাষ্ট্রপতির পক্ষে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পির কফিনে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পির কফিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে মরহুমের কফিনে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির কফিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
এছাড়াও ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এবং আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনসমূহের পক্ষ থেকে বাপ্পির কফিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
জানাজায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, হুইপ ইকবালুর রহিম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রমুখ শরিক হন।
মরহুমের সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত পাঠ করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। পরে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মোনাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী শরিক হন। এছাড়াও জাপান গার্ডেনে মরহুমার প্রথম এবং সুপ্রিম কোর্টে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। সূত্র: বাসস
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব