দেশের সব আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ছাত্রলীগের বহু কর্মী নিজেদের জীবন দিয়ে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে গেছে।
শনিবার বিকালে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে, বেলা আড়াইটার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজনস্থলে আসেন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক অভিভাবক, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উত্তরীয় পরিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শেখ হাসিনাকে বরণ করে নেন ছাত্রলীগের নেতারা। পরে জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীতের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়। এরপর বাজানো হয় দেশাত্মবোধক গান।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, একটা নীতি ও আদর্শ নিয়ে ছাত্রলীগকে পরিচালিত হতে হবে। এর মাধ্যমেই আগামীতে দেশ পরিচালনায় যোগ্য নেতৃত্ব পাওয়া যাবে। আগামী দিনের নেতৃত্ব যেন প্রজন্মের পর প্রজন্মের একটি ধারাবাহিকতায় আসে। আর এ নেতৃত্ব যেন ছাত্রলীগের মধ্য দিয়ে তৈরি হয়, সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিতে হবে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, আদর্শ ও নীতি ছাড়া কোনোদিন নেতৃত্ব তৈরি হয় না। নীতি ছাড়া কেউ কোনোদিন মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারে না। জাতিকে কিছু দিতে পারে না। নীতি ও আদর্শ ছিল বলেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের জন্য অবদান রাখতে পেরেছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাঙালির প্রতিটি অর্জনে ছাত্রলীগের বড় ভূমিকা আছে। শহীদদের তালিকা যদি করি, তাহলে সেখানেও আছেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। জাতির যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে ছাত্রলীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব