রাজধানীর সন্নিকটে টঙ্গী তুরাগ নদের তীরে শীত, ধুলা-ময়লা উপেক্ষা করে খোলা আকাশের নিচে লাখ লাখ মুসল্লি অবস্থান নিয়েছেন। ময়দানে স্থান সংকুলান না হওয়ায় তারা ময়দানের পাশে রাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন। এই প্রথম এতো মুসল্লি ইজতেমায় শরিক হওয়ার জন্য ময়দানে এসেছেন। হাজার হাজার মুসল্লি ময়দানে জায়গা না পেয়ে নিজ এলাকায় ফেরত গেছেন। ময়দানে জায়গা না পাওয়া মুসল্লিরা বিভিন্ন রাস্তায় সামিয়ানা টানিয়ে কোন মতে অবস্থান নিয়েছেন। প্রচণ্ড শীতেও তারা স্থান ত্যাগ করেননি। কষ্ট যত বেশি হবে আল্লাহ তা’আলা তত বেশি খুশি হবেন এমটাই মনে করছেন।
আজ রবিবার দুপুরের পূর্বে ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে আখেরি মোনাজাতের মধ্য শেষ হবে আলমী শুরাদের তিনদিন ব্যাপী ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে লাখ লাখ মুসল্লির স্রোত এখন ময়দানমুখি। পায়জামা আর টুপি পরা মানুষ আর মানুষ। যে দিকে তাকাই সেদিকেই মুসল্লি।
আগামী ১৭ জানুয়ারি সা’দ অনুসারীদের ইজতেমা শুরু হবে, শেষ হবে ১৯ জানুয়ারি। প্রথম পর্বের আয়োজক কমিটির লোকজন মোনাজাতের পরপর মাঠ বুঝিয়ে দিবেন প্রশাসনের হাতে এবং ময়দান খালি করে দিবেন। পরে সা’দ অনুসারীরা ময়দানে প্রবেশ শুরু করবেন।
আজ আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে টঙ্গী ও আশপাশ এলাকায় পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করেছেন কর্তৃপক্ষ। এর ফলে সাধারণ মুসল্লিরাও ছুটছেন ময়দানের দিকে। পাপ ও গুনাহ মুক্তির আশায় মোনাজাতে শরিক হওয়া। টঙ্গী নদী বন্দর এলাকার একটি কারখানার মালিক মাহাবুব রব্বানি বলেন, লাখ লাখ মুসল্লির সাথে মোনাজাতে শরিক হলে আল্লাহ তা’আলা কারও না কারো উছিলায় মাফ করে দিবেন। এই কারণে সবাই মোনাজাতে শরিক হন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা