জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও লিঙ্গ নির্বিশেষে দক্ষিণ এশিয়ার জনগোষ্ঠী বৈষম্যের শিকার। এই বৈষম্যগুলো সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক কারণেই সৃষ্টি হয়েছে। ধনী, অভিজাত ও বৃহৎ বহুজাতিক করপোরেশনগুলো জলবায়ুকে ধ্বংস করছে। নারী, শ্রমিক ও আদিবাসী জনগণের অধিকারগুলো ছিন্ন করতে মুনাফা এবং শক্তি প্রয়োগ করছে। দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাসকারী দরিদ্র লোকের সংখ্যা ২৪৮.৮ মিলিয়ন হ্রাস পেলেও বিগত ৩০ বছর ধরে এই অঞ্চলে বৈষম্য বেড়েই চলেছে। মাত্র ৩০০ জন ধনীর আয় বিশ্বের অর্ধেক জনগোষ্ঠীর আয়ের সমান। এ বিষয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ, লজ্জাকর।
শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
‘বৈষম্যহীন দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তুলতে সকলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দাবি’তে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ‘সাউথ এশিয়ান অ্যালায়েন্স ফর পভার্টি ইরাডিকেশন (স্যাপি)-বাংলাদেশ চ্যাপ্টার। এতে সভাপতিত্ব করেন স্যাপি’র সদস্য ও বিএমএ’র সাবেক সভাপতি ডা. রশিদ-ই-মাহবুব।
বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ, জননেতা পঙ্কজ ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরী, ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি)-র নির্বাহী পরিচালক নূমান আহম্মেদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তানজিমউদ্দীন খান, অক্সফামের কমুনিকেশন ম্যানেজার মঞ্জুর রশিদ প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনসিডিন বাংলাদেশ’র পরিচালক মুশতাক আলী। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন