করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। এখন বিদেশফেরত যাত্রীদের সবাইকেই নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, এখন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা আছে ২ হাজার ৫০ জনের। এর মধ্যে আশকোনা হজ ক্যাম্পে ৪৫০ জন এবং দিয়াবাড়িতে ১,৬০০ জন থাকতে পারবেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে এই ব্যবস্থা পর্যাপ্ত বলে মনে করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এই পর্যাপ্তের ব্যাখ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস (ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিসটেম) শাখার পরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা যেমন বিদেশে যাত্রী পাঠানোর ক্ষেত্রে সনদগুলো দিয়ে দিচ্ছি, তারাও যেন আমাদের দেশে আসার আগে নেগেটিভ সনদ নিয়ে আসে। এই ব্যবস্থা যখন গ্রহণ করব, তখন দেখা যাবে কোয়ারেন্টাইন করার মতো লোক নেই। আমাদের যে দুই জায়গায় ব্যবস্থাপনা আছে, তা এই মুহূর্তে যথেষ্ট।’
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ থেকে বাঁচতে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন বাড়ানো দরকার। সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. বে-নজীর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাসায় কোয়ারেন্টাইন হয় না। সবচেয়ে ভালো হয়, আমরা যদি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন করি। সেক্ষেত্রে আমাদের জায়গা আরও বাড়ানো দরকার। এমন হতে পারে প্রত্যেকটা উপজেলায় কোয়ারেন্টাইনের জন্য জায়গা থাকবে, জেলায় থাকবে। আমাদের রাজধানীতে অনেক জায়গা দরকার।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ