এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মালিক হামজালাল শাহকে রাজধানী ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। মামলা হওয়ার পরে তিনি এক আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন।
আজ সোমবার র্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন লঞ্চ মালিককে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওই লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নৌ আদালতে করা মামলায় লঞ্চের চার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গতকাল রবিবার দুপুরে নৌপরিবহন আদালতের বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ জয়নাব বেগম এ পরোয়ানা জারি করেন।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রসিকিউটিং অফিসার বেল্লাল হোসাইন জানান, রবিবার দুপুরে নৌপরিবহন অধিদপ্তরে অবস্থিত নৌ আদালতে অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক শফিকুর রহমান এই মামলা করেন।
এদিকে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বিশখালি নদীতে থেকে আরও এক পোড়া মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অজ্ঞাত ওই যাত্রীর বয়স আনুমানিক ৩৫ থেকে ৪০ বছর।
স্থানীয় ও পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, গত শুক্রবার ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ‘এমভি অভিযান-১০’ নামের ওই লঞ্চের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনেক যাত্রী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়। এ মরদেহটি ওই নিখোঁজ হওয়া যাত্রীর।
রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায় বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। মরদেহটি লঞ্চের নিখোঁজ হাওয়া যাত্রী হতে পারে বলেও প্রাথমিক ধারণা করে ওসি বলেন, মরদেহের শরীরে পোড়া দাগ রয়েছে। এছাড়া মরদেহটি পানিতে ডুবে ফুলে আছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর