নড়াইলের কালিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা গাজিপুর-মাটিডাঙ্গা গ্রামের তিন শতাধিক শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। কালেরকণ্ঠ-শুভসংঘ এর ব্যবস্থাপনায় গতকাল সোমবার কালিয়ার মহাজন-গাজিপুর এলাকায় এ কম্বল বিতরণ করা হয়। জেলায় মোট একহাজার কম্বল বিতরণ করা হবে। গাজীপুর-মাটিয়াডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কালেরকণ্ঠ-শুভসংঘ পরিচালক জাকারিয়া জামান। শুভসংঘের কেন্দ্রীয় সদস্য শামস জেবিন, শরীফ মাহাদী, আশরাফ জীবন, ইয়াসির আরাফাত রাফি উপস্থিত হয়ে শীতার্ত গরীব মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।
বসুন্ধরা গ্রুপের কম্বল পেয়ে অশ্রুসজল চোখে কালিয়ার প্রত্যন্ত মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধা আমিরোন বেগম বলেন “জীবনের প্রত্থম আমাগের কেউ কম্বল দিলো, এতদিন ধরে কতজনরে কইছি কেউ আমাগের কথা শোনে না, এই গায়ের মানুষরে কেউ দ্যাহে না, আল্লাহ আপনাগের বাঁচায়ে রাখুক”। পরে নিজ হাতে তার পাওয়া কম্বলটি যত্নে গায়ে জড়ায়ে আনন্দে ভরে ওঠে আমিরোন এর মুখ। তার মতো প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ ইসলাম শেখ কিম্বা পরান দাসের কণ্ঠে একই কথা।
প্রচণ্ড শীতের মধ্যে প্রথমবারের মতো কম্বল পেয়ে খুশি নিভৃত গ্রামের একসল গরীব মানুষ। তারা বলেন, এলাকায় সরকারি কতকিছু আসে, শীতে কম্বল আসে আমরা শুনি, কিন্তু আমাগের চেয়ারম্যান মেম্বাররা আমাদের জন্য কিছুই করে না। ঢাকা থেকে এসে গ্রামে এভাবে কম্বল দেয়ায় তারা বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানান।
শুভসংঘ পরিচালক জাকারিয়া জামান বলেন, ‘বসুন্ধরা চেয়ারম্যানের এই উপহার দেশের ৫০ হাজার মানুষের কাছে আমরা পৌঁছে দিচ্ছি। ভবিষ্যতে মানবিক সকল কর্মসূচি অব্যহত থাকবে।’