আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করলেন দলটির সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তিনি।
সম্মেলন উদ্বোধনের পর ২৫ মিনিটের একটি উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করা হয়। সেখানে তুলে ধরা হয় আওয়ামী লীগের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং সরকারের উন্নয়ন ও সাফল্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন। শোকপ্রস্তাব উত্থাপন করবেন দলের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন ওবায়দুল কাদের। স্বাগত বক্তব্য দেবেন অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক শেখ ফজলুল করিম সেলিম। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষ হবে।
বিকাল ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শুরু হবে কাউন্সিল অধিবেশন। এ অধিবেশনে দলের সভানেত্রী ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হবে। টানা দশমবারের মতো সভানেত্রী নির্বাচিত হবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সাধারণ সম্পাদকসহ বড় পদগুলোয় কোনো পরিবর্তনের আভাস আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কাছ থেকে মেলেনি। টানা দুই মেয়াদে দায়িত্বে থাকা ওবায়দুল কাদের হ্যাটট্রিক করে নতুন চমক সৃষ্টি করবেন নাকি অন্য কেউ আসছেন- তা গত রাত পর্যন্তও ছিল আলোচনার শীর্ষে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার রানিংমেট হিসেবে ওবায়দুল কাদেরের থেকে যাওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নতুন কেউ আসতে পারেন- এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সবকিছু নির্ভর করছে জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার ওপর। কারণ কাউন্সিলররা সাধারণ সম্পাদকসহ নেতা নির্বাচনের জন্য দায়িত্ব তাঁর ওপর ছেড়ে দেন। কাউন্সিল অধিবেশনে দলীয় সভানেত্রী ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও প্রেসিডিয়াম, সম্পাদকীয়, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য, স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যের অধিকাংশ নামই ঘোষণা করা হতে পারে আজ।
বিডি প্রতিদিন/কালাম