রাজধানীতে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে নজরদারিতে রেখেছে র্যাব। তাদের মধ্যে দু’জন ভাসমান অপরাধী, যারা ভাড়াটে হিসেবে বিভিন্ন অপকর্ম করেন। অপর দু'জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তারা রাজনৈতিক দলের কর্মী হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব–৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্য ও তদন্তের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন হিসেবে চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের নাম–ঠিকানা–ছবি আমাদের কাছে রয়েছে। এরই মধ্যে তাদের নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে। এখন তাদের অপরাধ সংশ্লিষ্টতা যাচাই–বাছাই করে দেখা হচ্ছে। আগুনের ঘটনায় তাদের কার কী ভূমিকা ছিল তা জানার চেষ্টা চলছে। সব নিশ্চিত হলে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।’
র্যাব জানায়, সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করা হয়নি। বরং প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে তাদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। কিছু লোক তাদের ট্রেনে উঠতে–নামতে দেখেছেন। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, তারা বিমানবন্দর বা আশপাশের কোনো স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠেন এবং তেজগাঁও এলাকায় নেমে যান। তাদের মধ্যে ভাড়াটে দু’জন মাদকসেবী। মাদকের টাকা সংগ্রহের জন্য অর্থের বিনিময়ে তারা অপরাধে জড়িয়ে থাকতে পারেন।
এর আগে, গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ অধিনায়ক বলেন, ‘রেলের নিরাপত্তা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের টিম রেলের বগিগুলো (কোচ) স্ক্যান করবে। সাধারণভাবে ও ডগ স্কোয়াড দিয়ে তল্লাশি করা হবে। বাড়ানো হবে গোয়েন্দা নজরদারি। রেল পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
বিডি-প্রতিদিন/শফিক