শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ০৯ জানুয়ারি, ২০১৫

বালির ট্রাকে কাক- আমি তো অবাক!

গোলাম মাওলা রনি
অনলাইন ভার্সন
বালির ট্রাকে কাক- আমি তো অবাক!

কয়েকটি অনলাইনে দেখলাম, আরও অনেকের সঙ্গে তিনিও আহত হয়েছেন। পুলিশের পিপার স্প্রে অর্থাৎ গুঁড়ামরিচের স্প্রের আঘাতে তার মুখমণ্ডল ফুলে গেছে, চোখ দুটোও মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। এমনটি জানার পর আমি তাকে ফোন করলাম। যদিও তিনি বিএনপির একজন আলোচিত নেত্রী, সাবেক সংসদ সদস্য এবং একজন বিএনপিদলীয় তিনবারের নির্বাচিত এমপির স্ত্রী তারপরও তার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের সম্পর্ক বড়ই চমৎকার। পাপিয়া মানে সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়ার সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব নিয়ে আপনজনরা প্রায়ই আশ্চর্য হয়ে ভাবে এটা কী করে সম্ভব! কারণ লোকজন পাপিয়াকে মনে করে জীবন্ত আগ্নেয়গিরির জ্বলন্ত লাভার মতো। অন্যদিকে আমি নিতান্তই চুনোপুঁটি প্রকৃতির হাবাগোবা মানুষ। নবম সংসদের সবাই আমাদের বন্ধুত্বের বিষয়টি জানতেন এবং এ নিয়ে আমাকে খুটখাট প্রশ্নও করতেন। আমাদের দলের সিনিয়র নেতারা একাধিকবার আমাকে কাছে ডেকে নিয়ে হাস্যমুখে বলতেন, আচ্ছা রনি! বল তো ব্যাপারখানা কী?

নবম সংসদের পুরোটা সময় ধরে আমাদের বন্ধুত্ব অটুট ছিল। ইদানীংকালে তেমন যোগাযোগ না হলেও আমি এবং আমার পরিবার অত্যন্ত কৃতজ্ঞচিত্তে পাপিয়াকে স্মরণ করি আমার বিপদের দিনে তার অনন্য ভূমিকার জন্য। আমি জেলে যাওয়ার পর তিনি প্রায় প্রতিদিনই আমার স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে আমার দীর্ঘদিনের বন্ধুরা যখন কোনো খোঁজ নিলেন না, আমার দলের কর্তাব্যক্তিরা যখন অজ্ঞাত কারণে আমার প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত মেলালেন সেই সময় সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর লোক হওয়া সত্ত্বেও পাপিয়ার সহানুভূতি এবং সাহায্য আমার পরিবারকে সাহসী এবং আত্মপ্রত্যয়ী হতে সাহায্য করেছিল। আমি সেই কৃতজ্ঞতাবোধ থেকেই ফোন করলাম, হ্যালো পাপিয়া! মোবাইলের অপর প্রান্ত থেকে শোনা গেল, দোস্ত! আমি শেষ! জিজ্ঞাসা করলাম, কী হয়েছে বল তো! উত্তরে সে অনেক কিছু জানাল। এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলার আগে ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকার রাজপথের কিছু বাস্তব দৃশ্য বলে নিই।

ঘটনার দিন আমি রিকশা করে অফিসে রওনা দিলাম। আমি থাকি ধানমন্ডিতে। আমার কর্মস্থল তোপখানা রোড। বাসা থেকে অফিসে আসার পথে আমি যেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর দিয়ে যাই সেদিন পথে পড়ে নীলক্ষেত মোড়, টিএসসি, শিক্ষাভবন, হাইকোর্টের সম্মুখভাগ, এর পর প্রেসক্লাব। অফিসে ঢোকার আগে পূর্বদিকে চোখ ফেরালেই দেখে নিতে পারি পুরানা পল্টন চৌরাস্তার অবস্থা। মাঝে-মধ্যে আমি অন্য রাস্তা ধরেও অফিসে আসি। সে ক্ষেত্রে সিটি কলেজ, সাইন্স ল্যাবরেটরি, এলিফ্যান্ট রোড, বাটা সিগন্যাল, শাহবাগ, মৎস্য ভবন এবং প্রেসক্লাব নজরে আসবে। যেদিন অফিস-আদালত খোলা থাকে এবং কোনো হরতাল-অবরোধ থাকে না সেদিন কমপক্ষে পৌনে এক ঘণ্টা এবং কখনো কখনো দুই আড়াই ঘণ্টাও লেগে যায়। অন্যদিকে আমি যখন ফিরি অর্থাৎ বাদ মাগরিব আমার যাত্রাপথের যানজট থাকে তীব্র। গাড়িতে দুই-তিন ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এ জন্য আমি রাগ করে প্রায়ই হেঁটে বাসায় ফিরি এবং সময় লাগে মাত্র ৪০ মিনিট।

৫ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রথমে গেলাম নীলক্ষেতের দিকে। পথে বলাকা সিনেমা হলের একটু সামনে দেখলাম জনাপঞ্চাশেক সরকারদলীয় যুবক চেয়ার পেতে বসে খোশগল্প করছে। রাস্তাঘাট বেজায় ফাঁকা। অন্যান্য হরতাল-অবরোধের তুলনায় গাড়িঘোড়া নেই বললেই চলে। লোকজন হেঁটে চলছে। সবার চোখে-মুখে ভয়-উৎকণ্ঠা আর বিরক্তি। আমার রিকশাওয়ালা মধ্যবয়সী মানুষ। বাড়ি দক্ষিণাঞ্চলে। তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, আজ এমন হলো কেন। তিনি বোধহয় রেগেই ছিলেন। আমার কথা শুনে আরও রেগে গেলেন। বললেন, এমন ওইবে না তো কেমন ওইবে? দেশটা রসাতলে গেল। মোর কোনো কিছু ভালো লাগে না। সারা দিন কাম করি- রাইতে গিয়া জননার (স্ত্রীর) লগে ইতরামি (ঝগড়া) করি। ইতরামি করমু না তো কি করমু। আমার লগে তো কেউ মাইনষের মতো আচরণ করে না। পোলার বয়সী পোলাপান তুই তাকারি কইরা ডাকাডাকি করে। পুলিশ কথায় কথায় গুয়ার ওপর বাড়ি মারে। চাক্কা ফুটা কইরা দেয়। পান থেকে চুন খসলে রাস্তার ওপর রিকশা উল্টাইয়া রাখে। আবার টাহা দিলে সব ঠিক। রিকশার মালিক কথায় কথায় গায়ে হাত তুলে। সারা দিন যা কামাই করি তা আবার মাঝে-মধ্যে হারাইয়া ফেলি। বেশ কয়েকবার হেরওইনচিরা সব কিছু কাইরা নিয়া গেছে। এ্যার পর যদি বাসায় যাইয়া জননার ক্যাট ক্যাটানি শুনি তহন মন চায় কিয়ামত ঘডাইয়া ফেলি।

আমি বেশ ভয় পেয়ে গেলাম। কারণ ভদ্রলোককে জিজ্ঞাসা করলাম কী আর তিনি কী বলতে আরম্ভ করলেন। নীলক্ষেত মোড় পার হয়ে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর না ঢুকে রিকশাওয়ালাকে বললাম কাঁটাবন-শাহবাগ হয়ে যাওয়ার জন্য। তিনি রিকশাটা ব্রেক করে ঘাড় ফিরে আমার দিকে তাকালেন। তারপর অদ্ভুত এক মুখভঙ্গি করে বললেন, ওইদিক দিয়ে যাইতে হলে দশ টাকা বেশি দেওন লাগব। আমি হেসে বললাম ঠিক আছে দেব, আপনি চালান। আমি আবার জিজ্ঞাসা করলাম, আচ্ছা আপনি তো বরিশালের লোক। তা একবার বরিশালের ভাষায় আবার ঢাকাইয়্যা ভাষায় কথা বলছেন কেন। তিনি বললেন, গ্রামের লোকরে সবাই গোমা (বোকা) মনে হরে- তাই মিলাইয়্যা ঝিলাইয়্যা কতা কই। আমাগো যা কপাল-সরকারই তো মোগো গোমা মনে করে-লোকজনকে দোষ দেই ক্যা? গত বছর এই দ্যাশে গণ্ডগোল ওইল আর সরকার কইতেছে ইলেকশন! আমাদের গ্যারামের মওজ্যার মা মাতারীও কয় ইলেকশন অয় নাই। তারে তো কেউ বিড়ি দিয়া যায় নাই- বলে নাই চাচী ভিক্ষা করণ লাগবো না- এই ন্যাও পাঁচশ ট্যাহা-ভোট দিতে যাইও!

আমাদের রিকশা শাহবাগ মোড়ে পৌঁছে গেল। মোড়ের বামদিকে ১০-১২ জন ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলেন। আমাকে দেখে সালাম দিলেন। তারা হাত নেড়ে আমাকে থামতে বললেন। আমি যথারীতি থামলাম। একজন এগিয়ে এসে বললেন, আমরা সবাই ডাক্তার। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম এবং দেশের অবস্থা নিয়ে আলাপ করছিলাম। আপনার সঙ্গে কথা বলার অনেক দিনের ইচ্ছে। আজ আপনাকে পেয়ে আশা পূর্ণ হলো। ইতিমধ্যে অন্যান্য ডাক্তার এগিয়ে এলেন এবং আমার সঙ্গে করমর্দন করতে করতে আমার লেখা, টকশো, এমপিকালীন কর্মকাণ্ড ইত্যাদি নিয়ে প্রশংসাসূচক নানা কথা বললেন। অন্যান্য দিন হলে আমি হয়তো ওসব প্রশংসা শুনে লজ্জা পেতাম কিংবা দাঁড়াতামই না। কিন্তু ঘটনার দিন আমি চাচ্ছিলাম বিভিন্ন স্থানে থেমে লোকজনের বক্তব্য শোনার জন্য। যাতে করে আমি বুঝতে পারি লোকজন আসলে ৫ জানুয়ারি নিয়ে কী ভাবছে!

শাহবাগ মোড়ে আড্ডারত ডাক্তারদের সবাই ছিলেন সরকার সমর্থক এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সদস্য। তারা একে একে নিজেদের পরিচয় দিলেন এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আমার বক্তব্য জানতে চাইলেন। আমি যথাসম্ভব বিনয় প্রকাশ করে বললাম, আমার মতামত তো আপনারা কমবেশি সবাই শুনেছেন এবং পত্রপত্রিকায় পড়েছেন। ফলে নতুন করে আমার কিছু বলার নেই। তার চেয়ে আপনারাই বরং বলেন, যাতে করে আমি দু'কলম লিখতে পারি। তারা অনেক কথাই বললেন এবং শেষমেশ অনুরোধ করলেন আমি যেন সব কিছু না লিখি এবং তাদের কারও নাম যেন প্রকাশ না করি। আমি মুচকি হেসে তাদের কথায় সায় দিলাম এবং মনোযোগসহকারে তাদের সব কথা শুনতে লাগলাম। তাদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত তরুণ এক ডাক্তার বললেন, আওয়ামী লীগ কেন যে ৫ তারিখের লোকদেখানো নির্বাচন করতে গেল তা আমার মাথায় ঢুকে না। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন তো আমরা এখনো মেনে নিতে পারি না। বিএনপির কোনো মানুষ একবারও বলতে আসে না যে, আমি ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে এমপি হয়েছিলাম। অথবা বিএনপি যখন বক্তৃতা-বিবৃতিতে বলে, খালেদা জিয়া তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী তখন আমরা ঘৃণায় মুখ বাঁকা করে ফেলি। অথচ একটি জাতীয় ঐকমত্য এবং সমঝোতার লক্ষ্যেই বিএনপি ১৫ ফেব্রুয়ারির একক নির্বাচন করেছিল কেবল বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক দাবিটি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য। অথচ সেই নির্বাচনটিকে যদি আমরা আজ অবধি এতটা ঘৃণার চোখে দেখি তাহলে ২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন, একতরফা জোরজবরদস্তিমূলক নির্বাচন নাটক নিয়ে জনগণের ঘৃণা যে কতটা প্রবল তা সহজেই অনুমান করা যায়।

তরুণ ডাক্তারের মতে, বর্তমান সরকার বেঁচে আছে রোবোটিকভাবে। ডাক্তারি ভাষায় একে বলে লাইফ সাপোর্ট। পুলিশ, বেসামরিক প্রশাসন, রাষ্ট্রযন্ত্রের অন্য শক্তিসমূহ সরকারের দেহ থেকে সরিয়ে ফেলা হলে পরিস্থিতি যে কী হবে তা রাস্তার পাগলেও বলে দিতে পারে। মানুষের যেমন একটি সুস্থ ও নীরোগ দেহ দরকার এবং সেই দেহকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য দরকার সুষম খাদ্য-পানীয় এবং আলো-বাতাস। তেমনি একটি রাজনৈতিক সরকারের জন্য দরকার শক্তিশালী বিরোধী দল, কার্যকর সংসদ, সচেতন সিভিল সোসাইটি, সার্বজনীন ভালোবাসা ও সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের সমর্থন, সংবাদপত্র এবং বিচার বিভাগের নিরঙ্কুশ স্বাধীনতা। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, বর্তমান সরকারের এসব উপাদানের কয়টি আছে তা খুঁজে দেখতে হবে। সরকার যখন হম্বিতম্বি করে কথায় কথায় প্রতিপক্ষকে হেয় করে এবং অত্যাচারকে আত্মরক্ষার উপাদান মনে করে তখন বুঝতে হবে ডাল মে কুচ কালা হ্যায়!

তরুণ ডাক্তার কিছুতেই ভেবে পান না, ক্ষমতাসীনরা তারেককে কেন এত গুরুত্ব দিয়ে সর্বশক্তি নিয়োগ করছেন। কেনইবা তারা প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে ছলেবলে কৌশলে নিজেদের তল্পিবাহক বানাতে চাচ্ছেন অথবা রাজনীতির ময়দান থেকে নির্মূল করতে চাচ্ছেন। কেন তারা গাজীপুরের সমাবেশ বন্ধ করল এবং কেনইবা ৫ জানুয়ারির ঘটনায় ঘৃতাহূতি দিতে গেল? টেলিভিশন এবং সংবাদপত্র শিল্পের সবাই তো সরকারদলীয় লোক। তাদের কেন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে? কেনইবা অনেক সংবাদ ব্লাক আউট হয়ে যাচ্ছে? এসব কীসের আলামত? একটি সরকার কখন এবং কোন মুহূর্তে এসব করে? এসব করে কারও কি কোনো দিন শেষ রক্ষা হয়েছিল?

আমি বারবার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ডাক্তারদের বোঝাতে চাচ্ছিলাম, আমার তাড়া রয়েছে। তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে পুনরায় রিকশায় চড়ে বসলাম। প্রেসক্লাব অতিক্রম করতে গিয়ে দেখলাম শত শত পুলিশ সেখানে লাইন ধরে সতর্ক অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে, অনেকটা অ্যাটেনশনের কায়দায়। প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় শখানেক চেয়ার পেতে সরকার সমর্থক কিছু যুবক মাথায় রঙিন ফিতা পেঁচিয়ে বসে আছে। তাদের ভাবসাব দেখে মনে হলো গুরুত্বপূর্ণ কিছু একটা করার জন্য তারা সেখানে বসে আছে। অফিসে ঢুকে যথারীতি কাজ করছিলাম। দুপুরের সময় হঠাৎ করেই ইত্তেফাক ও ইনকিলাবের দুজন সিনিয়র সাংবাদিক ফোন করে জানালেন, তারা আমার অফিসে আসতে চান একটু সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য। আমি হাঁ বলার ১০-১২ মিনিটের মধ্যেই তারা এসে হাজির হলেন। দুপুরের খাবার খেতে খেতে তারা অনেক দুঃখের কথা বললেন। দুজনই কট্টরপন্থি সরকার সমর্থক এবং কর্মজীবনে বহুবার শেখ হাসিনার সঙ্গে দেশ-বিদেশের বহু জায়গায় গিয়েছেন। খানারত অবস্থায় তাদের একজন স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম সাহেবের ফোন পেলেন এবং দ্রুত খাওয়া-দাওয়া শেষ করে প্রেসক্লাবে চলে গেলেন। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর শুনতে পেলাম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেবকে কেন্দ্র করে প্রেসক্লাবে মারামারি হচ্ছে।

সার্বিক পরিস্থিতির কারণে কোনো কিছু ভালো লাগছিল না। ইন্টারনেট ঘেঁটে অনলাইন পোর্টালগুলোর হালনাগাদ খবরাখবর দেখছিলাম। সারা দেশের মারামারি, ফাটাফাটি, অগ্নিসংযোগ এবং খুনখারাবির সঙ্গে সঙ্গে বেগম জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের ভেতর পুলিশের পিপার স্প্রের কিছু ছবি দেখতে গিয়ে পাপিয়ার ছবি দেখলাম। তাকে ফোন করতেই সে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করল। বলল, দোস্ত এসব কী শুরু করেছ। একটি তালাবদ্ধ বাড়ির মধ্যে ৭০ বছর বয়স্ক একজন সম্মানিত মহিলা এবং আমাদের মতো ৪-৫ জন অসহায় রমণীকে শায়েস্তা করার জন্য পিপার স্প্রে কেউ করে? পাপিয়া আমাকে একজন আওয়ামী লীগার মনে করায় আমি ভারি মজা পেলাম। তাই আমার দলের বড় বড় নেতার মতো উল্টাপাল্টা রংরস শুরু করলাম। বললাম, লোকে যে যাই বলুক! তুমি কিন্তু আওয়ামী লীগকে গালি দিয়ো না। বেগম জিয়ার বাড়িতে তালা না মারলে কিংবা পিপার স্প্রে না করলে তুমি তো লাইমলাইটে আসতে পারতে না। এই সুযোগে ম্যাডামের কাছাকাছি পৌঁছে যাও এবং নম্বর বাড়িয়ে নাও।

আমার কথা শুনে পাপিয়া কী বুঝল বলতে পারব না। সে পাল্টা প্রশ্ন করে বলল, আচ্ছা দোস্ত! ইলি বিলি চিলি শা- ইকি বিকি পিকি শা অর্থ কি? ওরা পিপার স্প্রে করছিল এবং ওইসব দুর্বোধ্য শব্দগুলো বলছিল। কী যে যন্ত্রণা তোমাকে বোঝাতে পারব না। মনে হচ্ছিল মরে যাই। আমরা কয়েকজন মেয়ে তো মাথা ঘুরে পড়ে গেলাম। আমি বললাম শব্দগুলোর অর্থ আমি জানি না। মনে হচ্ছে, জাদুটোনার কোনো মন্ত্রটন্ত্র হবে। তবে তোমাদের কষ্টের জন্য খুবই খারাপ লাগছে। ভয় হচ্ছে, আগামীদিনে আমরা বিরোধী দলে গেলে তোমরা তো নিজ হাতে আমাদের ওপর পিপার স্প্রে করবে। পাপিয়া বলল, অবশ্যই করব। একদম আসল জায়গায় এক ঘড়া পিপার স্প্রে করে দেব।

আমি বোকার মতো জিজ্ঞাসা করলাম, আচ্ছা আসল জায়গাটা কী? সে যা উত্তর করল তা আমি লিখতে পারব না। পাপিয়ার কথা শুনে আমার কান গরম হয়ে গেল। কোনো কথা না বলে আমি আমতা আমতা করতে লাগলাম। এমন সময় পাপিয়া হঠাৎ হেসে উঠল এবং বলল, দোস্ত! আমরা যা করতে পারিনি ২-৩টি কাক তা করে দেখিয়েছে। পুলিশ যখন স্প্রে করছিল তখন ২-৩টি কাক ওয়ালের ওপর বসে তামাশা দেখছিল। পিপার তাদের চোখে-মুখে লাগার সঙ্গে সঙ্গে তারা প্রচণ্ড শব্দে যন্ত্রণায় কুঁকড়ে ওঠে এবং কা কা শুরু করে। তারা উড়ে গিয়ে বালির ট্রাকে বসার আগে কয়েকবার মল ত্যাগ করে গেটের বাইরের অনেকের কাপড়-চোপড় নষ্ট করে দেয়। কাকগুলোর ডাকাডাকিতে আরও কয়েকশ কাক এসে জড়ো হয়। তারা বালির ট্রাকের ওপর বসে তাদের আহত আত্মীয়কে সেবাযত্ন করার পাশাপাশি প্রচণ্ড বেগে কা কা শব্দ করে আমাদের বোঝাচ্ছিল, তোমরা যত সহজে অন্যায়কে মেনে নাও, কাকেরা কিন্তু তা কোনো দিন করে না।

লেখক : কলামিস্ট।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
সর্বশেষ খবর
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে যেমন হতে পারে বাংলাদেশের একাদশ
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে যেমন হতে পারে বাংলাদেশের একাদশ

এই মাত্র | মাঠে ময়দানে

হুতির হামলায় সবচেয়ে অত্যাধুনিক ২০টি ড্রোন হারিয়ে বিপাকে যুক্তরাষ্ট্র
হুতির হামলায় সবচেয়ে অত্যাধুনিক ২০টি ড্রোন হারিয়ে বিপাকে যুক্তরাষ্ট্র

১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রীকে পশ্চিম তীর সফরের অনুমতি দিল না ইসরায়েল
ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রীকে পশ্চিম তীর সফরের অনুমতি দিল না ইসরায়েল

১৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফের হাজারো মানুষের বিক্ষোভ
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফের হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

১৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের অনীহা সত্ত্বেও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে চায় ইসরায়েল
ট্রাম্পের অনীহা সত্ত্বেও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে চায় ইসরায়েল

২২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৮ ঘন্টায় ৯০ জনেরও বেশি নিহত
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৮ ঘন্টায় ৯০ জনেরও বেশি নিহত

৫২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার
একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার

৫৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ এপ্রিল)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ এপ্রিল)

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজনৈতিক বিষয়ে নববী প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা
রাজনৈতিক বিষয়ে নববী প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ে জীবনের বিপর্যয়
বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ে জীবনের বিপর্যয়

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ছেলেদের সামনের চুল বড় রাখা
ছেলেদের সামনের চুল বড় রাখা

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

হাজার বছরের যে প্রাচীন নগরী জয় করেন খালিদ (রা.)
হাজার বছরের যে প্রাচীন নগরী জয় করেন খালিদ (রা.)

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

কাঁচা আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা
কাঁচা আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা

৪ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের
অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ
‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার
বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন
তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন

৬ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা
আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা

৭ ঘণ্টা আগে | পরবাস

গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর
গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর

৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!
যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়
৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের
দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার
সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান
পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক
যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত
আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত

৯ ঘণ্টা আগে | পরবাস

শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা
শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’
‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির
ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন
গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন

২০ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ
ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান
‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী
মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী

১৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান
সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি
কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি

১৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল
জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি
নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০
এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বকাপ নিয়ে পরিকল্পনা জানালেন মেসি
বিশ্বকাপ নিয়ে পরিকল্পনা জানালেন মেসি

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন

রকমারি

সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি
সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি

রকমারি

সুফল মেলেনি ট্রানজিটে
সুফল মেলেনি ট্রানজিটে

পেছনের পৃষ্ঠা

জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের  সংসার
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের সংসার

রকমারি

সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র
সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র

প্রথম পৃষ্ঠা

ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি
ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে
হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার

রকমারি

মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট
মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট

নগর জীবন

নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন
নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে
আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে

রকমারি

১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট
১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট

প্রথম পৃষ্ঠা

শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা
শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে
স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে

নগর জীবন

অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ
অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ

শোবিজ

সিনেমা হলের এ কি হাল?
সিনেমা হলের এ কি হাল?

শোবিজ

আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’
আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’

শোবিজ

প্রশংসিত নায়িকা বুবলী...
প্রশংসিত নায়িকা বুবলী...

শোবিজ

রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা
রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা

মাঠে ময়দানে

মেহজাবীনের চাওয়া
মেহজাবীনের চাওয়া

শোবিজ

সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে
সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে

মাঠে ময়দানে

শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য
শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য

নগর জীবন

ঋতুপর্ণার চ্যালেঞ্জ
ঋতুপর্ণার চ্যালেঞ্জ

শোবিজ

স্বাধীনতা কাপ ভলিবল
স্বাধীনতা কাপ ভলিবল

মাঠে ময়দানে

ঢাকায় হুনানের গভর্নর
ঢাকায় হুনানের গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

জটিল সমীকরণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ
জটিল সমীকরণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে