সম্প্রতি ঢাকায় পাকিস্তান দূতাবাসের কর্মকর্তা মো. মাজহার খান বাংলাদেশ বিরুদ্ধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে ধৃত হয়ে মেয়াদ পূর্তির আগেই ৩১ জানুয়ারি পাকিস্তানে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ এ খবরটি সামগ্রিক মিডিয়ায় তেমন জায়গা পায়নি, যদিও দু'য়েকটি প্রধান পত্রিকা খবরটিকে হেডলাইন করে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চলমান অস্থিরতার কারণে সবার নজরে হয়তো বিষয়টি ধরা পড়েনি। কিন্তু মাজহার খানের কর্মকাণ্ড যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় এবং তার সঙ্গে বাংলাদেশে চলমান সহিংসতার সম্পর্ক ও সংযোগ যে রয়েছে সেটি হয়তো অনেকেই তলিয়ে দেখার ফুরসত পাননি। ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখে ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে মাজহার খানকে আইএসআইয়ের (ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস- পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা) এজেন্ট হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মাজহার আলী দূতাবাসের সহকারী ভিসা অফিসারের ছদ্মবেশে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আইএসআইয়ের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছিলেন। এ পরিকল্পনার বিবরণ পরে দিচ্ছি। তার আগে এই মাজহার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। কারণ কত মাজহার যে পাকিস্তান দূতাবাসের ভিতরে এবং বাইরে আছে সেটিই এখন ভাবনার বিষয়। বাংলাদেশে মাজহার খান ছদ্মবেশে কাজ করলেন পৌনে দুই বছর। ধরা না পড়লে হয়তো আরও কিছু সময় থাকতেন।
মাজহার খানের সঙ্গী ও সহযোগী মুজিবুর রহমান নামক একজন বাংলাদেশি নাগরিক পুলিশের কাছে ধরা পড়ার পর আইএসআইয়ের অপতৎপরতার খবর নতুন করে প্রকাশ্যে আসে। তথ্য-উপাত্তে বোঝা যায় এই মুজিবুর রহমান দীর্ঘদিন যাবৎ আইএসআইয়ের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। ইতিমধ্যে মুজিবুর ২০ বার পাকিস্তানে, ১১ বার ভারতে এবং ২২ বার থাইল্যান্ডে ভ্রমণ করেছে। প্রকাশিত তথ্যে জানা যায় বাংলাদেশের কিছু অবসরপ্রাপ্ত সামরিক, পুলিশ ও বেসামরিক প্রশাসনের অফিসার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ব্যবসায়ী, রাজনীতিক এবং অন্যান্য শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মাজহারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী কিছু জেলায়ও তিনি নিয়মিত যাতায়াত করতেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- মাজহার খান ভারতীয় নকল টাকা বাংলাদেশ ও ভারতে ছড়িয়ে দিতেন এবং তার মাধ্যমে হিযবুত তাহরীর, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম এবং জামায়াত-শিবিরের অর্থের জোগানদাতা হিসেবে কাজ করতেন। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে জামায়াতের যে লোকজন জড়িত তাদের সঙ্গেও মাজহারের যোগসূত্র ছিল বলে জানা গেছে। তার কাছ থেকে যে কাগজ উদ্ধার করা গেছে সেখানে হিযবুত তাহরীর তিনজন দাগি সদস্যের পাসপোর্টের নম্বর পাওয়া গেছে। তা ছাড়া মাজহারের আগেও আরও অনেক পাকিস্তানি নাগরিক ভারতীয় নকল টাকাসহ ধরা পড়েছে। ভয়ানক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য তিনজন পাকিস্তানি নাগরিক ১০ কোটি বিদেশি টাকাসহ ২০১২ সালে ঢাকায় ধরা পড়ে। সবাই তো আর ধরা পড়ে না, সম্ভব নয়। কথায় বলে দশ দিন চোরের একদিন গেরস্থের। তাই বাকি নয় দিনের হিসাব কত বড় হতে পারে সেটি অনুমান করলে তো অাঁতকে উঠতে হয়। সেজন্যই বলছি মাজহার খানের কাহিনী কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।
এহেন মাজহার খানকে আমাদের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এত সহজে ছেড়ে দিল কেন বুঝতে পারছি না।
তাকে আটকিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বাংলাদেশকে নিয়ে আইএসআইয়ের গভীর ষড়যন্ত্র এবং এ দেশের কিছু তথাকথিত ভদ্রবেশী দেশপ্রেমিক মানুষের মুখোশ উন্মোচিত হতো। রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে এই কাজটি অপরিহার্য ছিল। কিন্তু কোথায় কে যে কী করছে তা বুঝে ওঠা মুশকিল। কার মনে কী আছে আলেমুল গায়েবই জানেন! মাজহার খানের কর্মকাণ্ডের যে বর্ণনা পাওয়া গেল তাতে এটা স্পষ্ট যে, তিনি আইএসআইয়ের এজেন্ট নন, আইএসআইয়ের নিজস্ব লোক। একটি ওপেন সিক্রেট বিষয় হলো- প্রতিটি দূতাবাসে সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থার দু'য়েকজন লোক ছদ্মবেশে কাজ করে। তাদের প্রধান কাজ নিজ নিজ দেশের নাগরিক, যারা বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশে আছে তাদের প্রতি নজরদারি অর্থাৎ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের দায়িত্ব পালন করা। তা ছাড়া অন্যান্য দেশের দূতাবাসের একই পর্যায়ের লোকজনের সঙ্গে এক প্রকার সংযোগ রক্ষা করা। হোস্ট কান্ট্রি অর্থাৎ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে নাক গলানোর কোনো বৈধ অধিকার তাদের নেই। সুতরাং মাজহার খান কূটনীতির সীমা চরমভাবে লঙ্ঘন করেছেন। এখানে আরেকটি কথা উল্লেখ করা প্রয়োজন। বাংলাদেশি কালপ্রিট মুজিবুরকে মাজহারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন মাজহারের পূর্বসূরি। অর্থাৎ মুজিবুর এই কাজে বহুদিন জড়িত। তাতে প্রমাণিত হয় পাকিস্তানের নির্ধারিত বৈদেশিক নীতির আওতায় ধারাবাহিকভাবে এ কর্মকাণ্ড করে চলেছে তাদের গোয়েন্দ সংস্থা। আইএসআইয়ের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কারও কিছু অজানা থাকার কথা নয়। তবে মাজহার খান হাতেনাতে ধরা পড়ার পর প্রকাশ্যে প্রমাণিত হলো বাংলাদেশকে ঘিরে আইএসআইয়ের তৎপরতা ব্যাপকভাবে বিদ্যমান। মাজহার খানকে ঘিরে বের হয়ে আসা তথ্যের দিকে তাকালে বাংলাদেশকে ঘিরে আইএসআইয়ের উদ্দেশ্য বোঝা যায়। তবে তাদের বৃহত্তর লক্ষ্য বোঝার জন্য আরও কিছু তথ্য এবং বিচার বিশ্লেষণ তুলে ধরছি।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর প্রথমবারের মতো পররাষ্ট্র নীতির একটি চূড়ান্ত রূপ দেন জেনারেল আইয়ুব খান। এর মধ্যে এক নম্বর নীতি হলো- পাকিস্তানের পয়লা নম্বর এবং চিরশত্রু হলো ভারত। দুই. ইসলাম রক্ষা করা এবং একমাত্র ইসলাম ধর্মই পাকিস্তানের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হতে পারে। আর তিন নম্বর হলো- ভারতকে পরাজিত করার জন্য সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করতে হবে এবং তার জন্য আমেরিকার সাহায্য গ্রহণ অপরিহার্য। আইয়ুব খানের এই নীতিকে বিশ্লেষকরা অবহিত করেছেন ট্রাইপড নীতি হিসেবে (পাকিস্তান বিটুইন মস্ক অ্যান্ড মিলিটারি- হুসেন হাক্কানি, পৃঃ ৪৩)। এই নীতি এখনো বহাল আছে। তবে একাত্তরের শোচনীয় ও চরম লজ্জাজনক পরাজয়ের পর বর্ধিত আকারে যোগ হয়, যে কোনো মূল্যে পাকিস্তানকে একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে হবে। এই নীতির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার অব্যবহিত পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো ঘোষণা দেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী উপমহাদেশে আরও অনেক বাংলাদেশ সৃষ্টির ক্ষেত্র তৈরি করলেন। এ ঘোষণার মধ্য দিয়েই পাকিস্তানের প্রতিশোধপরায়ণ কৌশলের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এই প্রতিশোধপরায়ণ কৌশলের বাস্তব রূপ দেন পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউল হক। ভারতের আউটার সার্কেলের কয়েকটি রাজ্য, যেমন- কাশ্মীর, পূর্ব পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু এবং উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্যে আঞ্চলিক ও নৃ-তাত্তি্বক জাতীয়তাবাদের অনুভূতি এই অঞ্চলগুলোর মানুষের ভিতরে প্রবলভাবে উপস্থিত। সুতরাং পাকিস্তানের কৌশল হলো- 'এই রাজ্যগুলোর আঞ্চলিক অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে সেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র বিদ্রোহের সৃষ্টি করা এবং বিদ্রোহীদের সব ধরনের সাহায্য ও সহযোগিতা প্রদান করা। তাতে কোনো একটি রাজ্য যদি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাহলে সেটাই হবে ভারতের বিরুদ্ধে একাত্তরের উপযুক্ত প্রতিশোধ। আর সেটা সম্ভব না হলে উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্যে নিদেনপক্ষে সক্রিয় বিচ্ছিন্নবাদী সশস্ত্র বিদ্রোহ জিইয়ে রাখতে পারলে অনবরত ভারতীয় সেনাবাহিনীর রক্তক্ষরণ হবে এবং পশ্চিমে কাশ্মীর ফ্রন্টে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে মোকাবিলা করা পাকিস্তানের জন্য সহজ হবে। কারণ ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরাট একটি অংশ তখন পশ্চিম থেকে অনেক দূরে উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে ব্যস্ত থাকবে। এখানে উল্লেখ্য, আইএসআই কর্তৃক প্ররোচিত বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন এ অঞ্চলে গত শতকের ষাটের দশকের শুরুতেই আরম্ভ হয়। তবে তার লক্ষ্য ছিল সীমিত। ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের প্রতিশোধ কৌশলের সঙ্গে জড়িত আছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার সংকল্প। কারণ, ভারতের বিরুদ্ধে যে প্রতিশোধপরায়ণের কৌশল, তা বাস্তবায়ন করতে হলে পাকিস্তানি ভাবাদর্শের একটা রাষ্ট্রীয় পরিবেশ বাংলাদেশে যেন থাকে তা নিশ্চিত করা পাকিস্তানের জন্য জরুরি। অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের দর্শন ব্যতিরেকে বাংলাদেশ। আর প্রতিশোধের দ্বিতীয় উপাদান হলো- উন্নয়নে সব সূচকে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ যেন পিছিয়ে থাকে। তাহলে বাংলাদেশের মানুষের আপসোস হবে এবং সেটাই হবে প্রতিশোধের পরিপূর্ণ রূপ। প্রতিশোধপরায়ণ কৌশলের আওতায় তৈরি সূত্রের ইকুয়েশনে গ্রেনেড হামলায় প্রাণ হারাতে হয় বিশ্ববরেণ্য মেধাবী ও সফল অর্থমন্ত্রী (১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে) শামস্ কিবরিয়াকে। গ্রেনেড আক্রমণের শিকার হন বঙ্গবন্ধুর মেয়ে শেখ হাসিনা। ৪৩ বছর পেরিয়ে গেলেও পাকিস্তান আজ অবধি বাংলাদেশের বাস্তবতাকে মেনে নেয়নি। তার বহু প্রমাণের মধ্যে একটি জ্বলন্ত প্রমাণ কাদের মোল্লার ফাঁসির পর পাকিস্তানের পার্লামেন্টে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ। একাত্তরে বাংলাদেশে এতবড় গণহত্যা চালাল অথচ ক্ষমা চাওয়া তো দূরের কথা, সামান্য অনুশোচনা পর্যন্ত নেই। সংযুক্ত পাকিস্তানের ২৩ বছরে পুঞ্জীভূত সম্পদের ভাগ বাংলাদেশকে এখনো তারা দেয়নি। পাকিস্তানের নাগরিক বিহারিদের আজও ফিরিয়ে নিল না। তাহলে ইকুয়েশন চিহ্নের কোনদিকে কার অবস্থান তা বুঝতে কি খুব কষ্ট হয়। সুতরাং উল্লিখিত বহুমুখী প্রতিশোধপরায়ণ কৌশলের সঠিক বাস্তবায়নের জন্য বহু আগে থেকেই পাকিস্তান তাদের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের ব্যাপক বিস্তার ঘটায় এবং শক্তিশালী নেটওয়ার্ক স্থাপন করে বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং মিয়ানমারে। উপমহাদেশে আইএসআইয়ের নেটওয়ার্ক বিস্তার ও তার লক্ষ্য সম্পর্কে একটি সরস নাতিদীর্ঘ বর্ণনা পাওয়া যায় পাকিস্তানের একজন পণ্ডিত ব্যক্তি হোসেন হাক্কানী কর্তৃক লিখিত- 'পাকিস্তান বিটুইন মস্ক অ্যান্ড মিলিটারি গ্রন্থে'। শুধু ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আইএসআইয়ের কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধা পাওয়ার জন্য পাকিস্তানের দুই প্রেসিডেন্ট যথাক্রমে জেনারেল জিয়াউল হক ১৯৮৫ সালে এবং জেনারেল পারভেজ মোশাররফ ২০০০ সালে মিয়ানমার সফর করেন। ওই সময়ে ভারতের সম্পর্ক মিয়ানমারের সঙ্গে এখনকার মতো ছিল না, খারাপ ছিল। বর্তমান সময়ে ভারত-মিয়ানমারের মধ্যে যে সম্পর্ক তাতে আইএসআই মিয়ানমারে কোনো সুবিধা আর পাচ্ছে না। ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশের অবস্থানও একই।
ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কোনো স্থান বাংলাদেশে নেই। সুতরাং বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় অবস্থান যদি আরও চার-পাঁচ বছর বর্তমান সময়ের মতো বজায় থাকে তাহলে পাকিস্তানের প্রতিশোধপরায়ণ স্ট্র্যাটেজি বা কৌশল চিরদিনের জন্য মাঠে মারা পড়বে। কিন্তু আমরা যদি একটু পেছনের দিকে তাকাই তাহলে দেখব বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের মাটিতে অন্য কোনো দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী বা সন্ত্রাসীদের স্থান ছিল না। কিন্তু ১৯৭৫-১৯৯৬ পর্যন্ত এবং পরে ২০০১-২০০৬ সময়ে বাংলাদেশের যে রাষ্ট্রীয় অবস্থান ছিল তাতে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সহজেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আশ্রয়-প্রশ্রয় পেয়েছে। তাতে কাদের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে, কারা এর পেছনে ছিল, সেটি আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ, কান টানলে মাথা আসে এবং দুইয়ে দুইয়ে চার হয়, এটাই চির সত্য। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা যেমন ভঙ্গ করতে নেই, তেমনি উপকার করতেও নেই। নিজের নাকটা অটুট রাখা আগে জরুরি। বাংলাদেশের ভিতরে কত জায়গায় কত মাজহার খানেরা বসে আজ ষড়যন্ত্রের জাল বিছাচ্ছে সে সম্পর্কে রাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্তরা নিশ্চয় সজাগ আছেন এবং ব্যবস্থা নিচ্ছেন। আর বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতিতে মাজহার খানদের কোথায় যোগ-সংযোগ এবং বিয়োগ সেটি যেন বাংলাদেশের মানুষ বুঝতে পারে। সেটাই কামনা করছি।
লেখক : কলামিস্ট ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক
[email protected]
শিরোনাম
- ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রীকে পশ্চিম তীর সফরের অনুমতি দিল না ইসরায়েল
- ট্রাম্পের অনীহা সত্ত্বেও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে চায় ইসরায়েল
- একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার
- অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের
- ‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ
- ৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়
- সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার
- আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
- শিশুসন্তানের সামনেই মাকে কোপাল সন্ত্রাসীরা, অভিযুক্ত গ্রেফতার
- সিরাজগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
- ১৬ বছরে শিক্ষা খাতকেও দলীয়করণ করা হয়েছে: খোকন
- বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে বিএনপির শুভেচ্ছা
- প্রথমে স্থানীয়, পরে জাতীয় নির্বাচন চায় জামায়াত
- স্বর্ণের দাম আবারও বেড়েছে
- শিবচরে ইয়াবা ও ককটেল উদ্ধার
- আ. লীগ নেতার চাঁদা আদায় আড়াল করতে বিএনপির নেতার নামে মিথ্যাচারের অভিযোগ
- আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
- লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকদল কর্মীর খুনিদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন
- বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
- যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
আইএসআই বাংলাদেশে কী করছে?
মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)
অনলাইন ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর