সরকারের পক্ষে গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথ রুদ্ধ করে কখনোই সম্ভব হবে না। সরকার তার নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বিধি-ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতেই হবে। হয়তো হুজ্জুকি করে রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত করার চেষ্টা করতে পারে কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে তাতে কুফলই বয়ে আনবে। সরকার যতই রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুক না তাকে নির্বাচন ছাড়া ২০১৯ সালের পরে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না। আগামী জাতীয় নির্বাচন সরকার যত ছলচাতুরিই করুক না কেন তা একদিনও পিছাতে পারবে না। সে চেষ্টা করলে দেশে গণবিস্ফোরণ হবে, যার পরিণতি সরকারকেই বহন করতে হবে। তবে সরকার যে পথে হাঁটছে তাতে মনে হয় সরকার আগামী জাতীয় নির্বাচন এগিয়েও নিয়ে আসতে পারে। সরকার আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে বিএনপিকে সংগঠিত হওয়ার সুযোগ না দিয়ে সরকারের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে অন্য সব রাজনৈতিক দলকে বিশেষ করে বিএনপিকে অপ্রস্তুত রেখে জাতীয় নির্বাচন দিয়ে দিতে পারে। এ রকম আগাম সিদ্ধান্ত নেওয়ার দুটি মোক্ষম কারণ হতে পারে, যার একটি সরকারের মেয়াদের শেষ সময়ে কোনো প্রকার গণআন্দোলন বা গণঅসন্তুষ্টির অবকাশ না রাখা এবং দ্বিতীয় কারণ দেশ ও আন্তর্জাতিক মহলকে সন্তুষ্ট করা যে সরকার গণতন্ত্রে এবং নির্বাচনে বিশ্বাস করে এবং ক্ষমতা জোর করে ধরে রাখতে চায় না।
সরকার তার রাজনীতি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে দৃঢ়ভাবে আগাচ্ছে। এখন বিএনপি যদি তার আগামী পরিকল্পনা ও কার্যক্রম নির্ধারণ করে নিজেকে গুছাতে না চায় তাহলে আগামী রাজনীতিতে বিএনপি মূল ধারার রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়ে যাবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। বিএনপি এখন পোলাপানের দল হয়ে গেছে। তারা দল বেঁধে তাদের মনগড়া সিদ্ধান্ত জাতির ওপর চাপিয়ে দেয়। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কর্মসূচি নেয় কিন্তু এর বাস্তবায়ন কে বা কারা করবে তা নির্ধারণ করা হয় না। কোনো কর্মসূচি ব্যর্থ হলে দায়ী করা হয় লন্ডনের টেলিফোনকে এবং সফলতার (যদিও এখন পর্যন্ত কোনো সফলতা নেই) বেলায় সবাই কৃতিত্বের দাবিদার। বিএনপির রাজনীতি হয়ে গেছে শুধু আওয়ামী লীগ বিদ্বেষী রাজনীতি। আওয়ামী লীগকে যে যত গালি দিতে পারে সে-ই হয় বিএনপির বড় নেতা। শেখ হাসিনা সর্দিতে মারা যাচ্ছেন এই রকম খবর প্রচার করতে বা বক্তব্য দিতে পারলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হওয়া সম্ভব বলে অনেকে নাকি মনে করেন! জানি না বিএনপি আর কতকাল এ ধরনের নেতিবাচক গণ্ড মূর্খের রাজনীতি করবে। রাজনীতি একটি গতিশীল কার্যক্রম যেখানে চাল দিতে পলক মাত্র দেরি করলে রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়ে যেতে হয়। এটি চরম সত্য এবং রাজনৈতিক বাস্তবতা যে বর্তমান সরকার দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের আস্থাভাজন নয়। কিন্তু এটিও চরম বাস্তব যে সরকারবিরোধী জনগণের একক সংখ্যাগরিষ্ঠের প্রতিনিধিত্বও বিএনপি করে না। তাই বিএনপির সঠিক রাজনীতি হতো যদি সরকারবিরোধী জনগণকে সংগঠিত করে বিএনপির ছত্রছায়ায় নিয়ে আসা। ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ কারও তাঁবেদারি করে না। তাই তারা কোনো রাজনৈতিক দলে নাম লেখায় না। কিন্তু দেশ ও জাতির স্বার্থে এসব মানুষ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে রাজনৈতিক দলকে সমর্থন দেয় তখন ওই দল দেশীয় রাজনীতিতে একক জনপ্রিয় দল হিসেবে আবির্ভূত হয়। এই লোকগুলোকে বিএনপির কাছে টানা প্রয়োজন বলে অনেকে মনে করেন।
বিএনপি আন্দোলনের দল নয়। একে আন্দোলনের দল বানাতে হলে কয়েক যুগ ক্ষমতার বাইরে থাকতে হতে পারে যেটা বাস্তবিকভাবে বিএনপির হাতে এখন নেই। তাই অনেকে মনে করেন বিএনপিকে আন্দোলনের দল বানানোর দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা না নিয়ে নির্বাচনমুখী দল বানানোর স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে আগানোই সময়োপযোগী পদক্ষেপ হবে। তা ছাড়া বিএনপির মধ্যে এখন পারস্পরিক অবিশ্বাস কাজ করছে যা দিন দিন দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। দলের কোনো চেইন অব কমান্ড নেই। সবাই স্বঘোষিত নেতা এবং ম্যাডাম বা তারেক রহমানের ডান হাত! দুর্ভাগ্যজনক হলে ওইসব স্বঘোষিত নেতা ম্যাডাম ও তারেক রহমানকে প্রতিদিন প্রকাশ্যে বাজারে বেচাকেনা করছে এবং তাদের বাধা দেওয়ারও কোনো উপায় নেই। বাধা দিলে আবার প্রেস কনফারেন্স করে তাদের পক্ষে সাফাই গাওয়া হয়। এ অবস্থার সুযোগ নিয়ে সরকার পরিকল্পিতভাবে বিএনপিতে আরও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে যা আমাদের কাম্য নয়। যাই হোক দলে সবার প্রয়োজন আছে বলে সবাই মনে করে। তাই অনেকে মনে করেন দলকে জনগণের আরও কাছে নিয়ে যেতে হবে। ম্যাডামকে দলের কর্মীদের তার সামনাসামনি হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দিলে অনেক ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে বলে অনেকে বিশ্বাস করে। তাই দলকে গতিশীল ও পারস্পরিক হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশ ও শত্তি দ্ধশালী জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল হিসেবে দাঁড় করানোর লক্ষ্যে নিম্নবর্ণিত পদক্ষেপগুলো নেওয়া যেতে পারে বলে অনেকে মনে করেন :
১. ম্যাডামের সঙ্গে দলের নেতা-কর্মীদের দেখা ও কথা বলার সুযোগ। বেলা ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা এবং বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা এই দুই বেলা ম্যাডাম সপ্তাহে অন্তত চার দিন খোলা অফিস করতে পারেন যেখানে সর্বস্তরের নেতা-কর্মী ম্যাডামের সঙ্গে দেখা ও কথা বলতে পারবে।
২. দলে সম অবস্থা ফিরিয়ে আনা।
দল পুনর্গঠিত করার লক্ষ্যে এবং নতুন সবাইকে সমান সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ জেলা থেকে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত যত কমিটি আছে অবিলম্বে সব ভেঙে দেওয়া যেতে পারে। একইভাবে অঙ্গ সংগঠনের সব কমিটিও ভেঙে দেওয়া যেতে পারে। অন্তত আগামী ৬ থেকে ১২ মাস দলের কোনো কমিটি না থাকলে একদিক দিয়ে দলের নেতা-কর্মীরা সরকারের হয়রানি থেকে রক্ষা পাবেন এবং অন্যদিক দিয়ে দল সরকারের দালালমুক্ত হবে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, বর্তমান কমিটির অনেক নেতা-নেত্রীর সঙ্গে সরকারের গোপন অাঁতাত আছে। গত কয়েক বছরে সরকার খুবই পরিকল্পিতভাবে দলের মধ্যে প্রচুর ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ সৃষ্টি করছে যার ফলে নেতা-কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসে ফাটল দেখা দিয়েছে। আপাতত সব পর্যায়ের কমিটি ভেঙে দিলে সরকারের পক্ষে কাউকে ব্যবহারের সুযোগ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। তখন সরকারের গোপন মদদে দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের আর হয়রানি ও নির্যাতন করতে পারবে না। আপাতত কমিটি না থাকলে দলে নতুন মেরুকরণ ও উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হবে, যা দলে নতুন প্রাণ সঞ্চারণ করবে। বর্তমান বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে কোনো কমিটি না থাকলে দলের প্রকৃত নেতা-কর্মীরা প্রাণ ফিরে পাবেন এবং দল পুনর্গঠিত করতে সুযোগ পাবেন।
৩. নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের বাঁচাতে আইন সহায়ক কমিটি গঠন।
প্রতি উপজেলা, জেলা, মহানগর ও মহানগরের ওয়ার্ডভিত্তিক এবং জাতীয় পর্যায়ে একটি করে আইন সহায়তা কমিটি সব আইনজীবী বারের দলের সদস্যদের নিয়ে করা যেতে পারে যারা নিজেরাই তহবিল সংগ্রহ করে দলের নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের আইনি সহায়তা দেবে। নেতা-কর্মীদের সব মামলার দায়-দায়িত্ব উক্ত আইন সহায়তা কমিটির ওপর ন্যস্ত থাকবে এবং সে জন্য তারা দলের কাছে জবাবদিহি করবে। উক্ত আইন সহায়তাকারী কমিটির সম্মানিত সদস্যরা দলের ও ভবিষ্যতে দলীয় সরকারের আইনি কাঠামো হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবেন। গত কয়েক বছরে দলের আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে দলের অনেক নেতা-কর্মী সরকারের নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন। অনেক নেতা-কর্মী জেলের ভিতরে ধুঁকে ধুঁকে মরছেন, তাদের মুক্ত করে আনার মতো কেউ নেই। প্রচুর মামলা-মোকদ্দমা নিয়ে অসংখ্য নেতা-কর্মী আদালতের বারান্দা বারান্দায় ঘুরে মরছেন অথচ একটু আইনি সহায়তা পেলেই তারা মুক্ত হয়ে যাবেন। আমাদের দলে অসংখ্য ত্যাগী ও নিবেদিত আইনজীবী আছেন, যারা দলে একটু সম্মানজনক মূল্যায়ন পেলেই দলের জন্য এগিয়ে আসবেন।
৪. মিডিয়া সেল। প্রতি জেলা ও কেন্দ্রে দলের সাংবাদিক সদস্য ও ভাবাদর্শদের নিয়ে একটি করে মিডিয়া সেল করতে হবে যারা সরকারের সব হয়রানিমূলক মামলার সঠিক তথ্যাদি বের করে তা গণমাধ্যমে প্রকাশ করার ব্যবস্থা করবে। উক্ত মিডিয়া সেল দলের এবং ভবিষ্যতে দলীয় সরকারের মিডিয়া কাঠামো হিসেবে গড়ে উঠবে। সরকার দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন ও হয়রানি করছে অথচ একটু তথ্য অনুসন্ধান দিয়ে সত্য প্রকাশ করার ব্যবস্থা করলে হাজার হাজার নেতা-কর্মী অন্যায় নির্যাতন ও হয়রানি থেকে বেঁচে যায়। দলের অনেক ত্যাগী সংবাদ ব্যক্তিত্ব আছেন যারা সম্মান ও অবস্থান পেলে দলের অনেক উপকারে আসবে বলে অনেকে মনে করেন।
৫. চেয়ারপারসনের সাংগঠনিক সফর ও জেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন।
এখন থেকে তিন মাস পরে ম্যাডাম প্রতি সপ্তাহে দুই দিন বিভিন্ন জেলা সফর করার কর্মসূচি দিতে পারেন। উক্ত সফরকালে তিনি ওই জেলার সর্বস্তরের সাধারণ কর্মী সমাবেশের আয়োজন করে নিজে উপস্থিত থেকে কর্মীদের কথা শুনে এবং তাদের মতামতের ভিত্তিতে প্রতি উপজেলা ও পৌরসভা থেকে পাঁচজন করে সদস্য নিয়ে তাদের মধ্যে থেকে প্রতি উপজেলা ও পৌরসভার জন্য একজন যুগ্ম আহ্বায়ক এবং একজন গ্রহণযোগ্য কোনো নেতৃত্বকে আহ্বায়ক করে জেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা যেতে পারে, যারা পরবর্তী নয় মাসের মধ্যে সম্মেলন করে গ্রাম, মহল্লা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, উপজেলা ও পৌরসভা কমিটিগুলো সম্পূর্ণ করে সম্মেলনের মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি কেন্দ্রের সরাসরি তত্ত্বাবধানে গঠন করবে। ওই সাংগঠনিক কার্যক্রম অবশ্যই আগামী এক বছরের মধ্যে সমাপ্ত করা যেতে পারে। আগামী একটি বছর দল সংগঠিত করার কাজে ব্যস্ত থাকলে ওই সময়ের মধ্যে দল ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে অনেকে বিশ্বাস করে। সরকার ম্যাডাম এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এখন মামলা-মোকদ্দমা নিয়ে ব্যস্ত থাকবে কিন্তু দল সংগঠিত হতে পারলে মামলা-টামলা এমনিতেই হাওয়ায় উড়ে যাবে এবং তারেক রহমানের নায়কোচিত দেশে প্রত্যাবর্তনও কোনো শক্তিই ঠেকাতে পারবে না।
৬. বিএনপির জাতীয় সম্মেলন।
জেলা কমিটিগুলো হয়ে যাওয়ার পর তিন থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাহী ও স্থায়ী কমিটি গঠন করা যেতে পারে। বর্তমান স্থায়ী কমিটি ওই সময় পর্যন্ত বহাল থাকবে। আগামী সম্মেলন না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান স্থায়ী কমিটিকেই দায়িত্ব পালন অব্যাহত রেখে ম্যাডামকে সহযোগিতা করাই সমীচীন হবে বলে অনেকে বিশ্বাস করে। বিএনপি মূলত ম্যাডামের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটি দ্বারাই চালিত হয়। কাজেই সব কমিটি ভেঙে দিলেও দলের কার্যক্রমে কোনো সমস্যা হবে না।
৭. অঙ্গ সংগঠন ও ছাত্রদলের কার্যক্রমের নীতি ও সাংগঠনিক ভিত্তি।
জাতীয় নির্বাহী কমিটি না হওয়া পর্যন্ত সব অঙ্গ-সংগঠন ও ছাত্রদলের কার্যক্রম স্থগিত রাখা যেতে পারে। জাতীয় সম্মেলনের পর ৩০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে স্ব স্ব সম্পাদকগণ মহাসচিবের সঙ্গে পরামর্শক্রমে দলের চেয়ারপারসনের অনুমতিতে সংশ্লিষ্ট অঙ্গ-সংগঠন ও ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হতে পারে যাদের নেতৃত্বে পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হবে। জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে কোনো অঙ্গ-সংগঠন বা ছাত্রদলের কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় অবশ্যই সংশ্লিষ্ট উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের কমিটির অনুমোদন নিতে হবে। এ ধরনের নিয়ম বা বিধান প্রচলন করলে দলে কোন্দল হ্রাস পাবে বলে অনেকের ধারণা। বিএনপি একটি গণভিত্তিক নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দল, যার প্রধান চালিকাশক্তি হলো মূল দল। অঙ্গ-সংগঠন ও ছাত্রদল হলো সহায়ক শক্তি। কাজেই প্রথমে মূল দলকে সংগঠিত করে প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী অঙ্গ-সংগঠন ও ছাত্রদলকে গঠন করাই হবে সঠিক যা অনেকে মনে করেন। নির্বাচন ছাড়া বিএনপির সামনে এখন অন্য কোনো বিকল্প নেই এবং অপ্রিয় হলেও চরম বাস্তবতা হলো বিএনপির সুবিধাজনক অবস্থায় জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আসা বিএনপির পক্ষে আপাতত সম্ভব নয়। এ ছাড়া আন্দোলন করতে গেলে বিএনপির মধ্যে অবস্থানরত সরকারের ঘাপটি মেরে থাকা দালালরা সেই আন্দোলনকে সহিংসতার দিকে নিয়ে গিয়ে বুমেরাং করে দেবে। তাই বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে দলের সাংগঠনিক তৎপরতায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দলকে সংগঠিত করাই হবে সর্বাপেক্ষা উত্তম কাজ।
লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য।