শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১২ জুলাই, ২০১৫

খালেদা-তারেক ছাড়া কি বিএনপি চলতে প্রস্তুত?

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
খালেদা-তারেক ছাড়া কি বিএনপি চলতে প্রস্তুত?

৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট করে বলেছেন, পেট্রলবোমা মেরে মানুষ হত্যার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার দলের নেতা-কর্মীদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার হবে। ঘোষণা কার্যকর হলে এর পরিণতি বেগম জিয়ার জন্য কী ভয়াবহ হতে পারে তা সহজেই অনুমান করা যায়। প্রকৃত অর্থেই বিএনপি একটি সংকটকাল অতিক্রম করছে। এ বছরের জানুয়ারি-মার্চ তিন মাসের আন্দোলন হঠকারী পথে বাঁক নিয়ে সম্পূর্ণ ব্যর্থ না হলে দলটি আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে পারত। লীগ সরকার কঠোর পন্থায়, ক্ষেত্রবিশেষে নিষ্ঠুরভাবে মোকাবিলা করে সে আন্দোলন গুঁড়িয়ে দিয়েছে। যে কোনো রাজনৈতিক দলে এমন পরিস্থিতিতে দলীয়ভাবে আলোচনা-পর্যলোচনা করা হয়, ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান করা হয়। বিএনপিতে তেমন কিছু হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। বহুদিন পর ৭ জুলাই রাতে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে পার্টি চেয়ারপারসনের মাত্র ঘণ্টা দুয়েকের যে সভাটি অনুষ্ঠিত হয় তার যে বিবরণ বাংলাদেশ প্রতিদিনে ৮ জুলাই ছাপা হয়েছে তাতে বোঝা যায়, দলটি তাদের এতদিনের অনুসৃত পথ ধরেই চলবে। সমালোচকদের জবাবে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, তারা কোনো ভুল করেননি। 'দল শহীদ জিয়ার পথ ধরে চলছে না বা এই বিএনপি দিয়ে হবে না, জিয়ার বিএনপি লাগবে কিছু করতে হলে'- দলের যেসব প্রবীণ নেতা এমন সব কথা বলেছেন এবং সর্বস্তরের নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীরাও যে কারণে হতাশ হয়ে পড়েছেন, তাদের ধমকে দিয়ে সর্বত্র 'প্রতিরোধের' ভয় দেখানো হয়েছে সে সভায়। সরকারের বিরুদ্ধে মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণের অভিযোগ করে দলের অভ্যন্তরে সত্যভাষীর কণ্ঠরোধ বিস্ময়করই বটে! সমালোচনা ও আত্দসমালোচনা একটি দলকে প্রাণবন্ত ও উজ্জীবিত রাখে। যে দলে নানা বিষয়ে মতাদর্শগত লড়াই নেই, সেই দল স্রোতহীন একটি মরা নদীর মতো। সব ভিন্নমত বা সমালোচনা গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতা রাষ্ট্রে যেমন, একটি দলেও তেমন বিদ্যমান থাকা জরুরি। এটা গণতন্ত্রের শর্ত। কারও মতের সঙ্গে দ্বিমত হলেই তাকে দল থেকে বেরিয়ে যেতে বলা বা প্রচ্ছন্নভাবে শায়েস্তা করার হুমকি স্বেচ্ছাচারিতা, স্বৈরমানসিকতারই প্রকাশ। নেতা বা নেত্রীর এ ধরনের মানসিকতার সুযোগ নেয় কিছু অযোগ্য, অথর্ব ও স্বার্থবাজ চাটুকার, তাতে দলের সামগ্রিক কোনো লাভ হয় না, বরং অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। বিএনপির ক্ষতি অনেক হয়েছে।

সংসদে না থাকলেও দেশে-বিদেশে সবাই স্বীকার করেন যে, এখন বিএনপিই হচ্ছে বাংলাদেশে সরকারবিরোধী প্রধান রাজনৈতিক দল। এ দলটির কাছ থেকে জনগণের প্রত্যাশা অনেক। কিন্তু জনগণের সে প্রত্যাশা পূরণে বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে দলটি। ফলে দলের নিষ্ঠাবান কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে দিন দিন হতাশা বাড়ছে। নির্দ্বিধায় বলা যায়, এ হতাশা সৃষ্টির জন্য দায়ী মূলত দলটির মূল নেতৃত্ব। দলে নীতিনির্ধারণী কমিটি, সহ-সভাপতিমণ্ডলী, একপাল উপদেষ্টামণ্ডলী এবং সম্পাদকমণ্ডলীসহ প্রায় ৩০০ জনের নির্বাহী কমিটির এক বিশাল বহর থাকলেও বলা হয় সব নামকাওয়াস্তে। দলের নীতিনির্ধারণ, কর্মসূচি প্রণয়ন এবং দল পরিচালনায় এদের কোনো ভূমিকাই চোখে পড়ে না। সমালোচকরা বলেন, বিএনপি এখন একটা 'করপোরেট হাউসে' পরিণত হয়েছে। এর মালিক 'জিয়া পরিবারের' নামে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান। অন্যরা সব তাদের স্টাফ অফিসারের মতো। যতক্ষণ মালিকের সন্তুষ্টি অনুযায়ী কাজ করতে পারেন তো চাকরিটা থাকে, নতুবা বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুতি। এই স্টাফ অফিসারদের মধ্যে আবার 'ইওর অবিডিয়েন্ট সার্ভেন্ট' জাতীয় কিছু ব্যক্তি আছে 'হাউসের' মালিকদের অতি বিশ্বস্ত। নিম্নমান ও নিম্নস্তরের লোকগুলোই আবার বড় বড় পদাধিকারী- যেমন স্থায়ী কমিটির সদস্য, সহ-সভাপতি, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এবং অঙ্গদলের নেতাদের ওপর ছড়ি ঘোরায়। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান অফিস ঘুরে আসা লোকজনের বর্ণনায় স্পষ্ট হয় ওইসব কর্মচারীদের দৌরাত্দ্য।

খালেদা জিয়া ১৯৮৩ সালে যখন দলের নেতৃত্বে আসেন পরিস্থিতিটা তখন এমন ছিল না। দলে অনেক প্রবীণ ও অভিজ্ঞ নেতা ছিলেন। ছিলেন মির্জা গোলাম হাফিজ, অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী, জেনারেল মাজেদুল হক, শেখ রাজ্জাক আলী, কর্নেল (অব.) মুস্তাফিজুর রহমান, কে এম ওবায়েদুর রহমান, ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদার, আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার মতো প্রবীণ ও অভিজ্ঞজনরা। খালেদা জিয়া দলে ছিলেন নবাগত। তারেক রহমান তখন 'মাটির সঙ্গে' কথা বলতেন। খালেদা জিয়া সিনিয়রদের কথা শুনতেন, পরামর্শ মানতেন। বেশ কজন ছিলেন খালেদা জিয়াকে প্রয়োজনে কোনো বিষয়ে 'না' বলতে পারতেন। ফলে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করে সরকার গঠনে সক্ষম হয়েছিল বিএনপি। খালেদা জিয়ার ১৯৯১-৯৬ সালের প্রথম সরকারের সাফল্য যেমন ছিল, দুর্নামও হয়েছিল কম। আবদুল মান্নান ভূঁইয়া যখন দলের মহাসচিব হন, তখন তারেক রহমান বেশ 'ডাঙর'। দলীয় রাজনীতিতে হাত-পা ছুড়তে শুরু করেছেন। অনেক প্রতিকূলতাকে ডিঙিয়ে শেখ হাসিনার ১৯৯৬-২০০১ সালের সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির 'ডিঙিকে' বেগম জিয়ার সাহসী নেতৃত্বে অনেকটা নিরাপদে কূলে ভিড়ানোর অন্যতম দক্ষ নাবিকের পরিচয় দিয়েছিলেন মান্নান ভূঁইয়া। তখন দলের ভিতর সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী গংয়ের নেতৃত্বে তথাকথিত এক কট্টরপন্থি গ্রুপের উদ্ভব হয়েছিল। তারা তখনো ২০১৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ তিন মাসের হঠকারী আন্দোলনের মতো 'বিপ্লব' করতে চেয়েছিলেন। মান্নান ভূঁইয়া দলের প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্রীদের সহায়তায় (বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধা নেতা-কর্মীদের) তা প্রতিহত করার কাজে বেগম জিয়াকে যথার্থ সহযোগিতা করেছিলেন। মান্নান ভূঁইয়াকে বলা হয়েছিল উদারপন্থি, আপসকামী, সরকারের দালাল এমনকি ভারতের দালাল। দৈনিক ইনকিলাবের পাতা ভর্তি করে তখন 'বিপ্লবের' তত্ত্ব দিতেন কয়েকজন 'হঠাৎ-জাতীয়তাবাদী' বিদ্যান। ওই চক্রটির গুলশান অফিসের ক্ষমতাধর কর্মচারীদের ওপর অনেক প্রভাব রয়েছে বলে শোনা যায়। ২০১৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ হঠকারিতার পেছনে তাদের কুবুদ্ধিও বেশ কাজ করেছে বলে অনেকে মনে করেন।

বিএনপির দুর্বলতা ঠিকই চিহ্নিত করতে পেরেছে সরকারি দল। সরকারের কাছে তথ্য পাচারের অভিযোগও আছে কারও কারও বিরুদ্ধে। সরকার তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কঠোরভাবে মোকাবিলা করে নির্বাচন করে নিয়েছে। নির্বাচন প্রতিহত করার নামে যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া, জনগণ তো বটেই, তার দলের লোকজনও তাতে সাড়া দেয়নি। অথচ এই কর্মী-সমর্থক-শুভানুধ্যায়ী এবং জনগণ এরশাদবিরোধী তীব্র আন্দোলনে খালেদা জিয়া এবং বিএনপির সঙ্গে ছিল, শেখ হাসিনার প্রথম সরকারের (১৯৯৬-২০০১) আমলে আন্দোলনেও ছিল; কিন্তু এবার তিনবার তিনি ডাকলেন- একবার হেফাজতের সমর্থনে মাঠে নামতে বললেন, দ্বিতীয়বার 'মার্চ ফর ডেমোক্রেসি'তে অংশ নিতে ডাকলেন এবং শেষবার ৫ জানুয়ারি ২০১৫ আবার মহাসমাবেশ ডাকলেন; কেউ সাড়া দিল না। কেন দিল না? জবাবটা বেশ কর্কশই হবে। জনগণ কেন নামবে? জনগণের স্বার্থ কী? এর আগে বিএনপি যত আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়েছে সবই খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের ব্যক্তিগত বিষয়-আশয় নিয়ে দিয়েছে। শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট, বিদ্যুৎ-পানির সংকট, কৃষক-শ্রমিকের দুঃখ- কত ইস্যু এলো গেল, ওসব নিয়ে বিএনপি কোনো আন্দোলন করেনি। আন্দোলন করেছে একদম ব্যক্তিগত বিষয়াদি নিয়ে, যার সঙ্গে রাজনীতি-আদর্শ-দলীয় স্বার্থ এবং জনগণের কোনো স্বার্থ ছিল না। আবেগতাড়িত হয়ে যারা সাড়া দিয়েছিল তারা নানা দুর্ভোগ সহ্য করেছে; কিন্তু তাদের কোনো খবরও রাখেনি দল। কর্মী-সমর্থকরা মাঠে নেমেছে, 'নেতারা' নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়েছেন। পরবর্তীকালের তিন আন্দোলন কর্মসূচিতেও 'নেতা' তকমাধারীদের কাউকে মাঠে দেখা যায়নি। ফলে কর্মী-সমর্থক-জনতাও আগের মতো আর ঝুঁকি নিয়ে মাঠে নামেনি। স্রেফ গদি দখলের এ লড়াইকে আর দলের লোকরাও সমর্থন করছে না। রাজনীতিহীন, আদর্শহীন এবং জনগণের স্বার্থহীন এমন গদি দখলের লড়াইয়ে জনগণের সম্পৃক্ত না হওয়ার কারণও আছে। শহীদ জিয়াউর রহমান একটি সুনির্দিষ্ট আদর্শ ও দর্শনের ভিত্তিতে বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক একটি আত্দনির্ভর আধুনিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ ছিল তার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন থেকে বিএনপি এখন অনেক দূরে সরে গেছে। 'ঐতিহাসিক মুক্তি সংগ্রামের সোনালি ফসল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আমাদের পবিত্র আমানত ও অলঙ্ঘনীয় অধিকার। প্রাণের চেয়ে প্রিয় মাতৃভূমির এই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সুদৃঢ় ও সুরক্ষিত করে রাখাই হচ্ছে আমাদের কালের প্রথম ও প্রধান দাবি'- দলের ঘোষণাপত্রের শুরুর এই যুগান্তকারী ঘোষণার প্রতি বর্তমান বিএনপি অটল আছে বলে মনে হয় না। তারা এখন বিচ্যুত এই অবস্থান থেকে। ঐতিহাসিক মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা করা হবে সেই মুক্তিসংগ্রামের প্রত্যক্ষ বিরোধিতাকারী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নিয়ে? হেফাজতে ইসলামীর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে অর্জিত হবে এই মহান লক্ষ্য? যারা অন্তর দিয়ে বিএনপি করেন, তারা জামায়াত-হেফাজতপ্রীতির এ সর্বনাশা নীতি সমর্থন করে না বলেই এখন আর আগের মতো নেত্রী ডাক দিলেই সব কিছুতে সায় দেয় না। শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে সব ধরনের আধিপত্যবাদী আগ্রাসনের আশঙ্কা সম্পর্কে সতর্ক ছিলেন; কিন্তু তার ভারতনীতি ছিল খুবই মার্জিত ও যুক্তিনির্ভর। খালেদা জিয়া জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে গাঁটছাড়া বাঁধার পর এমন এক ভারতনীতি অনুসরণ করছিলেন যা ছিল অযৌক্তিক, অনেকটা সাংঘর্ষিক এবং দল ও দেশের জন্য ক্ষতিকর। (সম্প্রতি তিনি তার সে অবস্থান থেকে সরে এসেছেন বলে প্রমাণ করতে চাচ্ছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠক করে বিজয়ীর হাসি হাসছেন, সে দেশের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে প্রাণনাশের হুমকিতে সাক্ষাৎ করতে পারেননি বলে কৈফিয়ৎ দিচ্ছেন) দলের রাজনীতি ও আদর্শসচেতন ব্যক্তিবর্গ দলের আগের অবস্থান সমর্থন করেনি। অপরদিকে এদের আশঙ্কা, সরকারবিরোধী আন্দোলন করে যদি বিএনপিকে আবার ক্ষমতায় নেওয়া যায় তাহলে কাদের নিয়ে সরকার গঠিত হবে? প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, খালেদা জিয়া নাকি তারেক রহমান? খালেদা জিয়ার ব্যাপারে সবাই সম্মত হলেও তারেক রহমানের ব্যাপারে মানুষের সংশয় কাটেনি। মন্ত্রী হবেন কারা? আগে যারা ছিলেন তারা, বা তাবিথ আউয়ালের মতো ব্যক্তিরা- বসন্তের কোকিলরা? ভেবে অাঁতকে ওঠেন অনেকে। এরাই তো ডুবিয়েছে দলকে, সরকারকে। এদের বিরুদ্ধে নিখিল বাংলাদেশ লুটপাট সমিতি গড়ার যে অভিযোগ আছে, তা তো তারা খণ্ডন করতে পারেননি। ওয়ান-ইলেভেনের পর দুর্নীতির দায়ে যারা জেল খেটেছেন তা কি খামাখা? দলের লোকজনই তা 'খামাখা' মনে করে না। প্রায় নিঃস্ব মানুষগুলোর এত সম্পদ, বিত্তবৈভব মাত্র ক'বছরে হলো কী করে? কার বাবার কী ছিল তা তো মানুষ জানে। এরাই যদি আবার মন্ত্রী, মিনিস্টার, এমপি, অ্যাম্বাসেডর হন তো এবার আরও ভয়ঙ্কর ব্যাপার হবে। আন্দোলনের ডাকে সাড়া না মেলার পেছনে এসবই কারণ বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকরা।

রেকর্ডের আরেকটি পিঠও আছে। দেশে বর্তমানে যে শাসন চলছে তাও মানুষ পছন্দ করছে না। বাংলাদেশের মানুষ সর্বদাই স্বাধীনচেতা ও গণতন্ত্রপ্রিয়। মানুষ এখন তা ভোগ করতে পারছে না। শক্তিশালী একটি বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে সরকার অনেক স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তেলে মাথায় তেল ঢালা হচ্ছে। গরিবের কষ্ট বাড়ছে। বাড়ছে ধনী-গরিবের অর্থনৈতিক বৈষম্য। প্রতিপক্ষের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করছে প্রতিপক্ষের কাছে তাদের প্রতিহত করার শক্তি নেই বলে। নির্বাচন ছাড়াই এক ধরনের 'সমঝোতার গণতন্ত্রের' অদ্ভুত ধারণার প্রচলন করেছে তারা। এ অবস্থা থেকে মানুষ পরিত্রাণ চায়। জনগণ গণতন্ত্র, সুশাসন চায়, নিজের ভোটে নিজের সরকার গঠন করতে চায়, আইনের শাসন, অর্থনৈতিক-ব্যবসায়িক স্বাধীনতা চায়, সম্পদের সুরক্ষা চায়, যা এখন অনুপস্থিতই বলা চলে। শত সমালোচনার পরও এ জন্য মানুষ নির্ভর করতে চায় বিএনপির ওপর। আমাদের দেশের বর্তমান দ্বিদলীয় ব্যবস্থায় বিএনপির কাছে ঠকে মানুষ আওয়ামী লীগের কাছে আশ্রয় খোঁজে, আবার আওয়ামী লীগের দ্বারা প্রতারিত হয়ে বিএনপির কাছে প্রতিকার চায়। যেহেতু তৃতীয় কোনো 'ত্রাতা' শক্তি রাজনৈতিক পাল্টা পক্ষ হিসেবে দেশে এখনো আবির্ভূত হয়নি, তাই এবার বিএনপিরই পালা। হয় তারা পারবে, নতুবা ইতিহাসের অাঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।

পারতে হলে তাদের মনোযোগী হতে হবে রাজনীতির প্রতি, সংগঠনের প্রতি এবং সময়োপযোগী কর্মসূচির প্রতি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠাই হওয়া উচিত মূল রাজনীতি। জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয় বিবেচনা করতে হবে দ্রুত। দলে গণতন্ত্রের চর্চা করতে হবে। দল পুনর্গঠনের যে হাঁকডাক দেওয়া হচ্ছে, সে কাজে হাত দেওয়ার আগে মনে রাখতে হবে, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমাননির্ভর চিন্তাভাবনা থেকে আপাতত সরে আসতে হবে দলটিকে। খালেদা জিয়া আর আগের মতো শক্ত-সামর্থ্যবান নন। শোনা যায়, তিনি অসুস্থ। বয়সও হচ্ছে। সবচেয়ে বড় আশঙ্কা, সরকার তাকে নির্বাচনে অযোগ্য করার পথ খুঁজছে বলে মনে হয়। জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় যদি তাকে জেলে যেতে হয়, তিনি না পারবেন দলের নেতৃত্ব দিতে, না পারবেন নির্বাচন করতে। তারেক রহমান বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে আসতে পারছেন না। ঝুঁকি নিয়ে আসার সাহসও নেই তার। বিএনপি ছাড়া অন্য কেউ ক্ষমতায় এলেও তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারবেন বলে মনে হয় না। বিলাতে বসে তিনি বাংলাদেশের বিএনপির নেতৃত্ব দিতে পারবেন না। এটা সম্ভব নয়। যেসব পদাধিকারী এবং অফিস কর্মচারীর ওপর তৃণমূলের ক্ষোভ, অবিশ্বাস, তাদের বাদ দিয়ে সৎ, আদর্শবাদী ও সাহসী তরুণদের ওপর নির্ভর করার চিন্তা করতে হবে। সৎ, অভিজ্ঞ ও প্রবীণ ক্যারিয়ার রাজনীতিবিদদের অবহেলা, অবজ্ঞা না করে তাদের মূল্য দিতে হবে, দল থেকে কাউকে বের করে দেওয়া নয়, নানা কারণে যেসব নেতা-কর্মী দলের বাইরে আছেন, তাদের সসম্মানে দলে ফেরত আনতে হবে। দলের নীতিনির্ধারণ ও অন্যান্য নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞদের মূল্য দিতে হবে, বি. চৌধুরী, কর্নেল (অব.) অলিদের ফিরিয়ে আনার কথা ভাবতে হবে, নবীন-প্রবীণের সমন্বয় ঘটিয়ে দলে গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা অনুসরণ করতে হবে। বেশি গুরুত্ব দিতে হবে যৌথ নেতৃত্বের ওপর। খালেদা জিয়া দেশে থেকেও নানা কারণে যদি সরাসরি নেতৃত্ব দিতে না পারেন এবং তারেক রহমান যদি দেশে আসতে না পারেন বা না আসেন, তাহলে দল চলবে কী করে? বিএনপি কি এ জন্য প্রস্তুত? তেমন পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যৌথ নেতৃত্বই বিএনপিকে রক্ষা করতে পারে। মুরবি্বদের তত্ত্বাবধানে তারেক রহমানের মেধাবী স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা যেতে পারে তেমন একটি যৌথ নেতৃত্ব কাঠামো। শক্তিমান, সামর্থ্যবান একটি বিএনপিই আওয়ামী লীগের বিকল্প হতে পারে- যে বিএনপি হবে প্রকৃত জাতীয়তাবাদী দল, 'জামায়াতিয়তাবাদী' দল নয়।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

ই-মেইল :  [email protected]

 

এই বিভাগের আরও খবর
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
সর্বশেষ খবর
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে যেমন হতে পারে বাংলাদেশের একাদশ
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে যেমন হতে পারে বাংলাদেশের একাদশ

এই মাত্র | মাঠে ময়দানে

হুতির হামলায় সবচেয়ে অত্যাধুনিক ২০টি ড্রোন হারিয়ে বিপাকে যুক্তরাষ্ট্র
হুতির হামলায় সবচেয়ে অত্যাধুনিক ২০টি ড্রোন হারিয়ে বিপাকে যুক্তরাষ্ট্র

১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রীকে পশ্চিম তীর সফরের অনুমতি দিল না ইসরায়েল
ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রীকে পশ্চিম তীর সফরের অনুমতি দিল না ইসরায়েল

১৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফের হাজারো মানুষের বিক্ষোভ
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফের হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

১৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের অনীহা সত্ত্বেও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে চায় ইসরায়েল
ট্রাম্পের অনীহা সত্ত্বেও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে চায় ইসরায়েল

২২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৮ ঘন্টায় ৯০ জনেরও বেশি নিহত
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৮ ঘন্টায় ৯০ জনেরও বেশি নিহত

৫২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার
একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার

৫৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ এপ্রিল)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ এপ্রিল)

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজনৈতিক বিষয়ে নববী প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা
রাজনৈতিক বিষয়ে নববী প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ে জীবনের বিপর্যয়
বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ে জীবনের বিপর্যয়

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ছেলেদের সামনের চুল বড় রাখা
ছেলেদের সামনের চুল বড় রাখা

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

হাজার বছরের যে প্রাচীন নগরী জয় করেন খালিদ (রা.)
হাজার বছরের যে প্রাচীন নগরী জয় করেন খালিদ (রা.)

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

কাঁচা আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা
কাঁচা আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা

৪ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের
অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ
‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার
বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন
তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন

৬ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা
আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা

৭ ঘণ্টা আগে | পরবাস

গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর
গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর

৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!
যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়
৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের
দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার
সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান
পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক
যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত
আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত

৯ ঘণ্টা আগে | পরবাস

শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা
শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’
‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির
ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন
গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন

২০ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ
ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান
‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী
মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী

১৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান
সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি
কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি

১৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল
জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি
নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০
এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বকাপ নিয়ে পরিকল্পনা জানালেন মেসি
বিশ্বকাপ নিয়ে পরিকল্পনা জানালেন মেসি

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন

রকমারি

সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি
সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি

রকমারি

সুফল মেলেনি ট্রানজিটে
সুফল মেলেনি ট্রানজিটে

পেছনের পৃষ্ঠা

জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের  সংসার
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের সংসার

রকমারি

সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র
সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র

প্রথম পৃষ্ঠা

ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি
ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে
হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার

রকমারি

মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট
মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট

নগর জীবন

নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন
নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে
আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে

রকমারি

১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট
১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট

প্রথম পৃষ্ঠা

শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা
শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে
স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে

নগর জীবন

অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ
অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ

শোবিজ

সিনেমা হলের এ কি হাল?
সিনেমা হলের এ কি হাল?

শোবিজ

আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’
আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’

শোবিজ

প্রশংসিত নায়িকা বুবলী...
প্রশংসিত নায়িকা বুবলী...

শোবিজ

রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা
রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা

মাঠে ময়দানে

মেহজাবীনের চাওয়া
মেহজাবীনের চাওয়া

শোবিজ

সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে
সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে

মাঠে ময়দানে

শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য
শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য

নগর জীবন

ঋতুপর্ণার চ্যালেঞ্জ
ঋতুপর্ণার চ্যালেঞ্জ

শোবিজ

স্বাধীনতা কাপ ভলিবল
স্বাধীনতা কাপ ভলিবল

মাঠে ময়দানে

ঢাকায় হুনানের গভর্নর
ঢাকায় হুনানের গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

জটিল সমীকরণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ
জটিল সমীকরণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে