শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:০৯, শনিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০১৫

তাহের ও গণবাহিনী যা চেয়েছিলেন

জাফর ওয়াজেদ
অনলাইন ভার্সন
তাহের ও গণবাহিনী যা চেয়েছিলেন

কী ঘটেছিল ৩ নভেম্বর ১৯৭৫ সালে? একদিকে জেলহত্যা, অপরদিকে খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে অভ্যুত্থানের ঘটনা। রক্তপাত পরিহার করার উদ্দেশ্যে আপস আলোচনা নামে কালক্ষেপণ করে খুনি খন্দকার মোশতাক আহমেদ চক্র। খালেদ মোশাররফের বিরোধী অন্যান্য শক্তি দেশের বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্টে দ্রুত যোগাযোগ করে পাল্টা অভ্যুত্থানের জন্য চেষ্টা করতে থাকে।  জেনারেল ওসমানী সেনাবাহিনীতে কর্মরত সাবেক মুক্তিবাহিনীর প্রাক্তন সদস্যদের, চাঁটগার সেনা কর্মকর্তা বাচ্চু করিমের নেতৃত্বে পাকিস্তান প্রত্যাখ্যাত পাকিস্তানপন্থি সিপাহিদের, কর্নেল তাহের সেনাবাহিনীতে জাসদপন্থি সিপাহিদের এ জাতীয় অভ্যুত্থানের ব্যাপারে সংঘবদ্ধ চেষ্টা চালাতে থাকেন। এ সময় মার্কিন, গণচীন ও পাকিস্তানপন্থি শক্তিগুলো সর্বাত্মক অপপ্রচার তৎপরতায় লিপ্ত হয়েছিল। জাসদও এ প্রচারাভিযানে শামিল হয়। ঢাকা এবং দেশের অন্যান্য শহরে ও বন্দরে তারা একটার পর একটা প্রচারপত্র বিতরণ করতে থাকে যে, ভারতের প্ররোচনা ও অর্থায়নে খালেদ মোশাররফ সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে। এমনও প্রচার করা হয় যে, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ‘বাকশাল’ নেতারা ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ অভ্যুত্থানের ব্যবস্থা করেছেন। ঢাকা থেকে পাঠানো খবরের বরাত দিয়ে মার্কিন ও ব্রিটিশ পত্র-পত্রিকা প্রচার করতে থাকে যে, নিহত হওয়ার আগে জেলখানায় আটক নেতারা খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে অভ্যুত্থান ঘটানোর পাশাপাশি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ডেকে এনে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছিলেন। লন্ডনের অবজারভার পত্রিকায় প্রকাশিত এক সংবাদে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে মুজিব হত্যার পেছনে কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ জড়িত ছিল না। কিন্তু ৩ নভেম্বরে খন্দকার মোশতাকবিরোধী অভ্যুত্থানে বিদেশি হস্তক্ষেপ ছিল। এবং এই অভ্যুত্থানের সমর্থনে ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশের চার মাইল ভেতরে ঢুকে গিয়েছিল।’ বিভিন্ন বিদেশি পত্র-পত্রিকা প্রকাশিত এসব খবরাখবর বিবিসি এবং ভয়েস অব আমেরিকার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।

দেশি-বিদেশি সুপরিকল্পিত এসব প্রচারাভিযানের মোকাবিলায় রাজনৈতিক লক্ষ্য ও সম্পর্কহীন খালেদ মোশাররফ এবং তার সমর্থকদের কার্যকরী কোনো প্রচার তৎপরতা ছিল না। ফলে জনগণ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে একতরফা প্রচারণায় স্বভাবতই সৃষ্টি হয় মারাত্মক বিভ্রান্তি। এ বিভ্রান্তির সুযোগে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের সুপরিকল্পিত উদ্যোগ নিয়ে মঞ্চে ও নেপথ্যে সর্বাত্মক তৎপরতায় ঝাঁপিয়ে পড়ে জাসদ। জাসদের গণবাহিনীর প্রধান কর্নেল তাহেরের সহায়তায় তারা সেনাবাহিনীতে ‘শ্রেণি সংগ্রাম ও বিপ্লবের’ মন্ত্র ছড়িয়ে দেয়।

কী চেয়েছিলেন কর্নেল তাহের? কী ছিল তার কথিত বিপ্লব? চেয়েছিলেন চীনা গণবাহিনীর ধাঁচে সামরিক জান্তার অধীনে জনগণকে শাসন করবে। তাই দেখা যায়, ১৯৭৪ সালেই জাসদের কথিত বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের আদর্শে তিনি সেনাবাহিনীর মধ্যে ‘বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা’ নামে সশস্ত্র একটি সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন। তাদের ইচ্ছা ছিল বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ব্রিটিশ অথবা পাকিস্তানি সেনাদের মতো হবে না। হবে গণবাহিনী। কোনো অফিসার থাকবে না। সেনাবাহিনীর মধ্যে তাহের ও তার গণবাহিনী ‘শ্রেণি সংগ্রাম ও বিপ্লবের’ মন্ত্র ছড়িয়ে দেয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর মধ্যে রাজনীতির অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে তারা চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিলেন।

বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীতে, বিশেষত সিপাহিদের মধ্যে সে সময় যেসব অভাব-অভিযোগ এবং অর্থনৈতিক দাবি-দাওয়া ছিল তাহেরের গণবাহিনী তারই পূর্ণ সুযোগ গ্রহণ করেছিল। সিপাহিদের অবহেলিত অনুভূতিকে উসকে দিয়ে তাদের কাজে লাগানোর জন্য দেশের বিভিন্ন সেনাছাউনি ও ব্যারাকে প্রচারপত্র বিলি করে তাদের প্রতি সংগ্রামের আহ্বান জানিয়েছিল। গণবাহিনীর এ প্রচারপত্রে সিপাহিদের তাদের ঊর্ধ্বতনদের প্রতিও ক্ষুব্ধ করে তোলে। এমন একটি প্রচারপত্র বা লিফলেটে বলা হয়েছিল, ‘অফিসাররা ক্ষমতা ও পদের লোভে অভ্যুত্থান ঘটাচ্ছে। আর প্রাণ দিচ্ছে সাধারণ সিপাহিরা। নিগৃহীত, অধিকারবঞ্চিত সিপাহিরা আর কামানের খোরাক হবে না। সিপাহি-জনতার ভাগ্য এক। তাই সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমেই ক্ষমতা দখল করতে হবে। সুতরাং বিপ্লবের জন্য, শ্রেণি সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হউন।’ পাকিস্তান প্রত্যাগত সিপাহিরা এতে উদ্বুদ্ধ হয়। পাকিস্তানে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত কর্মরত থাকা অবস্থায় তারা যে বিলাসী সুযোগ-সুবিধা পেত তা বাংলাদেশে এসে না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ ছিল। তারা রাজনীতি বিযুক্ত হলেও তাদের মধ্যে রাজনীতির অনুপ্রবেশ ঘটানো হয়। ২ নভেম্বর রাতে খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সেনা অভ্যুত্থান ঘটে। তিনি ক্ষমতা নিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু নিজের উদ্দেশ্যে সম্পর্কে নিশ্চিত ছিলেন না। এমনকি ক্ষমতা পুরোপুরি ব্যবহার করার বিষয়েও দোটানায় ছিলেন। তার অভ্যুত্থান ঘটানো বা ক্ষমতা দখল বিষয়ে রেডিও টিভিতে কোনো ভাষণ বা ঘোষণা দেননি। খালেদ মোশাররফ যখন ক্ষমতা নিয়ে মোশতাকের সঙ্গে দরকষাকষি করছিলেন তখন মোশতাক ও তার সহযোগী আত্মস্বীকৃত খুনিরা জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে। এর পরপরই ক্ষমতাচ্যুত হন মোশতাক। আর খুনিদের দেশ ছেড়ে পালানোর পথ করে দেওয়া হয়। সেনাবাহিনীর মধ্যে বিশৃঙ্খলার সুবাদে এবং ভারত ভীতিকে কাজে লাগান জাসদের নেতারা। এতে নেতৃত্ব দেন সিরাজুল আলম খান ও অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবু তাহের। তাদের বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার পক্ষে ৪ নভেম্বর থেকে সেনাদের মধ্যে নানা দাবির স্লোগান তুলে পোস্টার ছড়ানো হয়। পাকিস্তান প্রত্যাগত সিপাহিরা এ কাজে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এ পোস্টারে ছিল বারো দফা দাবি। যেমন- ‘যাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই, এমন রাজবন্দীদের মুক্তি দিতে হবে। সেনাসদস্যদের মধ্যে এত র‌্যাংক থাকবে না। বেতন বাড়াতে হবে, থাকা ও খাওয়ার উন্নতি করতে হবে ইত্যাদি দাবির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় দাবি ছিল ‘ব্যাটম্যান প্রথা লোপ’। তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়াসংবলিত এ পোস্টার সিপাহিদের আকৃষ্ট এবং উত্তেজিত ও ক্ষুব্ধ করে তোলে।

খালেদ মোশাররফদের অভ্যুত্থান যে ভারতের সহায়তায় ঘটেছে এবং সে যে ভারতের দালাল তা প্রচার করে তার বিরুদ্ধে সিপাহিদের খেপিয়ে ও লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বিদেশি গণমাধ্যমেও ঢাকার এক সাংবাদিকের বরাত দিয়ে প্রচার করা হয় যে, খালেদ মোশাররফের সহায়তায় ভারতীয় সেনারা বাংলাদেশে আসছে। যা সিপাহিদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ জাগিয়ে তোলে। দেশের বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্ট থেকে হাজার হাজার সিপাহি খালেদ মোশাররফকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ঢাকামুখী হয়।

মুসলিম লীগসহ ডানপন্থি দলগুলোও ‘বিপ্লবী গণবাহিনী’ নাম দিয়ে একটি পোস্টার প্রচার করে ওই সময়। ডান চরমপন্থিদের এ পোস্টারে সৈনিকদের দাবি-দাওয়া ছাড়াও খালেদ মোশাররফ যে ভারতের দালাল তা খুব জোরেশোরে বলা হয়। এই ডান ও বামের মিলন সেনাদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। বিশেষত তাহের এবং সিরাজুল আলম খান সেনাবাহিনীতে রাতারাতি যে সাম্যবাদ চালু করতে চান, তা সাধারণ সেনাদের মধ্যে ‘স্বর্গপ্রাপ্তি’ ধরনের অনুকূল সাড়া জাগিয়েছিল। এটা সম্ভব হয়েছিল সেনাবাহিনীতে তাহেরের অনুগত মুক্তিযোদ্ধা ও পাকিস্তান প্রত্যাগত বহু সদস্য থাকায়। তারা তাহেরকে ‘স্বপ্নপূরণের দ্রষ্টা’ হিসেবে বিশ্বাস করেছিল। মধু এবং দুধের নহর বয়ে যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর করেছিলেন তাহের তাদের। তাই এ সিপাহিরা স্লোগান তুলেছিল- ‘সেপাই সেপাই ভাই ভাই, অফিসারদের রক্ত চাই।’ তারা সর্বোচ্চ পদ চেয়েছিলেন সুবেদার। তার উপরে আর কোনো পদ থাকবে না। ৬ নভেম্বর মধ্যরাতের পর সাধারণ সেনারা অফিসারদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যান। এমনকি তারা তাদের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরিয়ে এসে বিশৃঙ্খলভাবে গুলি ছুড়তে শুরু করে। এদের মধ্যে ১৫ আগস্টের খুনি ফারুক ও রশিদের অনুগত ল্যান্সার ও দ্বিতীয় ফিল্ড আর্টিলারির জওয়ানরাও ছিল। পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণভার সাধারণ সিপাহিদের হাতে চলে যায়। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের সিপাহিদের সঙ্গে যোগদান করে অন্যান্য ক্যান্টনমেন্ট থেকে আগত সিপাহিরা। এমনকি খালেদ মোশাররফের সমর্থনে রংপুর থেকে আসা সেনারাও তার বিরোধী সিপাহিদের সঙ্গে যোগ দেন। সেনাছাউনি থেকে ট্যাংকগুলো পুনরায় বেরিয়ে আসে। ১৫ আগস্টে এগুলো ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোতায়েন ছিল। তিন নভেম্বর ক্যান্টনমেন্টে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সেগুলো রাজপথে নামার সঙ্গে সঙ্গে সিপাহিরাও নেমে আসে। ঢাকা শহরজুড়ে তখন গোলাগুলির শব্দ। বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে এসে খালেদ মোশাররফ ও তার সঙ্গীরা শেরেবাংলানগরে রংপুর থেকে আসা সেনা ইউনিটে আশ্রয় নেন। ভোরে ফারুক ও রশীদের অনুগত ল্যান্সার ও আর্টিলার বাহিনী সেখানে আসে। তারা প্রথমেই হত্যা করে খালেদ, কে এন হুদা, এ টি এম হায়দার- তিন বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে। এরা ক্যান্টনমেন্টে একজন মহিলা ডাক্তারসহ (আবু ওসমান চৌধুরী সেক্টর কমান্ডারের স্ত্রী), ১৩ জন সেনা অফিসারকে হত্যা করে। রাতেই ফারুক-রশীদের অনুগত ল্যান্সার বাহিনী ক্যান্টনমেন্ট গিয়ে জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দী অবস্থা থেকে উদ্ধার করে। তারা স্লোগান দেয়, ‘সিপাহি বিপ্লব জিন্দাবাদ, জিয়াউর রহমান জিন্দাবাদ। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।’ ৬ নভেম্বর মধ্যরাতের পর ভারী ও হালকা সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রের অবিরাম গোলাগুলি বর্ষণ করতে করতে সিপাহিরা শহরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। বিনা বাধায় তারা ঢাকা বেতার কেন্দ্র দখল করে নেয়। গণবাহিনী প্রধান তাহের সাময়িকভাবে বেতার ভবনের কর্তৃত্বভার গ্রহণ করেন। যখন গোলাগুলি চলছিল, তখন পাকিস্তানপন্থি উল্লসিতরাও সমানে ‘জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিয়ে রাজপথে নেমে আসে। ৭ নভেম্বরের ক্ষমতার পটপরিবর্তনকে পরাধীনতার পরিসমাপ্তি হিসেবে অভিহিত করে এনায়েতুল্লাহ খান সম্পাদিত সরকারি পত্রিকা বাংলাদেশ টাইমস শিরোনাম দেয়, ‘বাংলাদেশ উইনস ফ্রিডম।’

গণবাহিনী পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি। শিখণ্ডী হিসেবে জিয়াউর রহমানকে সামনে নিয়ে আসার পর সিপাহিরা তার নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। তাহেরের অনুরোধে সিপাহিদের সমাবেশে কোরআন শরিফ ছুঁয়ে জিয়া প্রতিজ্ঞা করেন যে, তাদের গুরুত্বপূর্ণ দাবিগুলো মেনে নেবেন। যেমন রাজবন্দী হিসেবে জলিল-রবদের মুক্তি এবং ব্যাটম্যান প্রথা লোপ। প্রথম দাবিটি তিনি কার্যকর করলেও বাকিগুলো আর কার্যকর করেননি।

তাহের ও সিরাজুল আলম খানের কথিত ‘সিপাহি-জনতা বিপ্লব’ থেকে রব-জলিলসহ রাজবন্দীদের মুক্তি ছাড়া আর কিছুই অর্জিত হয়নি। সিপাহিদের কোনো দাবিই আর পূরণ হয়নি। প্রাণ দিয়েছে অযথাই বহুজন। তাহের ও সিরাজুল আলম খানের চাওয়া কী ছিল? প্রথমত তারা শেখ মুক্ষুজিব সরকারকে উৎখাত করতে চেয়েছিলেন। ১৯৭৩ থেকে তাই তারা সশস্ত্র সামরিক সংগঠন গণবাহিনী গড়ে তোলে। দেশজুড়ে গুপ্তহত্যা, থানা ফাঁড়ি ও অস্ত্র লুট, পাট ও খাদ্য গুদামে অগ্নিসংযোগ, রেললাইনে নাশকতা সৃষ্টিসহ নানা ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ অব্যাহত রেখেছিল। গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথ ছেড়ে তারা সশস্ত্র রাজনীতির পথ ধরে নকশালসহ আরও চৈনিকপন্থি সশস্ত্র সংগঠনের পাশাপাশি অবস্থান নেয়। তারা চেয়েছিলেন বাংলাদেশে চীনের গণবাহিনীর মতো শ্রেণিহীন একটি সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে। যে বাহিনীতে সাধারণ সৈনিকদের সঙ্গে অফিসারদের পার্থক্য হ্রাস পাবে। সেনারা দেশ গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান আরও উন্নত হবে। তাদের এ বিপ্লবী চাওয়ার মধ্যে জনগণের কোনো অবস্থান ছিল না।

তাহেরদের বিদ্রোহ বা বিপ্লব ব্যর্থ হওয়ার কারণ জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকা, পাকিস্তানপন্থিদের ওপর নির্ভর করা, রাজনৈতিক কর্মসূচি না থাকাসহ আরও নানাবিধ কারণে। বরং জাসদের কাঁধে চড়ে ক্ষমতার মসনদে আসীন হয়ে মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে তাহেরসহ তার সহযোগীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় জিয়া। ক্ষমতায় বসার ক’দিনের মধ্যে জিয়া তার শপথ থেকে সরে আসেন। তখন তাহেররা নতুন করে বিপ্লব করার আহ্বান জানিয়ে পোস্টার লিফলেট বিতরণ করেন সেনাবাহিনীর সিপাহিদের মধ্যে। শুধু তাই নয়, ২৪ নভেম্বর একটি পাল্টা অভ্যুত্থানের পরিকল্পনাও তারা করে। কিন্তু জিয়া তা কঠোরভাবে দমন করেন। ২৩ ও ২৪ নভেম্বর তাহেরসহ জাসদের অন্য নেতাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সরকার উৎখাতের জন্য রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়। তাহেরকে মুক্ত করার জন্য ২৬ নভেম্বর ভারতীয় হাইকমিশনার সমর সেনকে অপহরণ করে জিম্মি করার ব্যর্থ চেষ্টা চালায় তাহেরের ভাইসহ সশস্ত্র অনুগতরা। ঘটনাস্থলে তাহেরের এক ভাই মারাও যায়। তাহের ও সিরাজুল আলম খানরা যা চেয়েছিলেন, অর্থাৎ সামরিক বাহিনীর অধীনে জনগণের শাসন। আর তাই করেছেন জিয়াউর রহমান এবং পরবর্তীতে এরশাদ। শুধু অবিচারে মৃত্যুবরণ করেন তাহের। জিয়ার ‘পথের কাঁটা’ হিসেবে তাকে সরে যেতে হয়। তাহেরের রোমান্টিক এডভেঞ্চারের মাশুল জাতিকে আজও দিতে হয়।  সেদিনের ‘সিপাহি-জনতা ভাই ভাই’ স্লোগান বুমেরাং হয়ে ফিরেছিল দেশজুড়ে। তাহের ও তার গণবাহিনী ‘বিপ্লব’র নামে অবিপ্লবী কর্মকাণ্ড করে দেশকে পাকিস্তানি চেতনার দিকে ফিরিয়ে নিয়েছিলেন।  যার রেশ এখনো রয়েছে।

লেখক : সাংবাদিক


বিডি-প্রতিদিন/ ০৭ নভেম্বর, ২০১৫/ রশিদা

এই বিভাগের আরও খবর
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
সর্বশেষ খবর
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে যেমন হতে পারে বাংলাদেশের একাদশ
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে যেমন হতে পারে বাংলাদেশের একাদশ

এই মাত্র | মাঠে ময়দানে

হুতির হামলায় সবচেয়ে অত্যাধুনিক ২০টি ড্রোন হারিয়ে বিপাকে যুক্তরাষ্ট্র
হুতির হামলায় সবচেয়ে অত্যাধুনিক ২০টি ড্রোন হারিয়ে বিপাকে যুক্তরাষ্ট্র

১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রীকে পশ্চিম তীর সফরের অনুমতি দিল না ইসরায়েল
ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রীকে পশ্চিম তীর সফরের অনুমতি দিল না ইসরায়েল

১৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফের হাজারো মানুষের বিক্ষোভ
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফের হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

১৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের অনীহা সত্ত্বেও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে চায় ইসরায়েল
ট্রাম্পের অনীহা সত্ত্বেও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে চায় ইসরায়েল

২২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৮ ঘন্টায় ৯০ জনেরও বেশি নিহত
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৮ ঘন্টায় ৯০ জনেরও বেশি নিহত

৫২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার
একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার

৫৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ এপ্রিল)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ এপ্রিল)

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজনৈতিক বিষয়ে নববী প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা
রাজনৈতিক বিষয়ে নববী প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ে জীবনের বিপর্যয়
বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ে জীবনের বিপর্যয়

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ছেলেদের সামনের চুল বড় রাখা
ছেলেদের সামনের চুল বড় রাখা

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

হাজার বছরের যে প্রাচীন নগরী জয় করেন খালিদ (রা.)
হাজার বছরের যে প্রাচীন নগরী জয় করেন খালিদ (রা.)

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

কাঁচা আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা
কাঁচা আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা

৪ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের
অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ
‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার
বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন
তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন

৬ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা
আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা

৭ ঘণ্টা আগে | পরবাস

গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর
গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর

৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!
যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়
৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের
দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার
সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান
পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক
যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত
আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত

৯ ঘণ্টা আগে | পরবাস

শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা
শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’
‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির
ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন
গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন

২০ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ
ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান
‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী
মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী

১৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান
সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি
কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি

১৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল
জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি
নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০
এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বকাপ নিয়ে পরিকল্পনা জানালেন মেসি
বিশ্বকাপ নিয়ে পরিকল্পনা জানালেন মেসি

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন

রকমারি

সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি
সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি

রকমারি

সুফল মেলেনি ট্রানজিটে
সুফল মেলেনি ট্রানজিটে

পেছনের পৃষ্ঠা

জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের  সংসার
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের সংসার

রকমারি

সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র
সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র

প্রথম পৃষ্ঠা

ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি
ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে
হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার

রকমারি

মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট
মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট

নগর জীবন

নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন
নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে
আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে

রকমারি

১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট
১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট

প্রথম পৃষ্ঠা

শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা
শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে
স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে

নগর জীবন

অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ
অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ

শোবিজ

সিনেমা হলের এ কি হাল?
সিনেমা হলের এ কি হাল?

শোবিজ

আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’
আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’

শোবিজ

প্রশংসিত নায়িকা বুবলী...
প্রশংসিত নায়িকা বুবলী...

শোবিজ

রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা
রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা

মাঠে ময়দানে

মেহজাবীনের চাওয়া
মেহজাবীনের চাওয়া

শোবিজ

সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে
সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে

মাঠে ময়দানে

শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য
শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য

নগর জীবন

ঋতুপর্ণার চ্যালেঞ্জ
ঋতুপর্ণার চ্যালেঞ্জ

শোবিজ

স্বাধীনতা কাপ ভলিবল
স্বাধীনতা কাপ ভলিবল

মাঠে ময়দানে

ঢাকায় হুনানের গভর্নর
ঢাকায় হুনানের গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

জটিল সমীকরণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ
জটিল সমীকরণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে