শিরোনাম
প্রকাশ: ১৫:০৩, সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০

শেখ হাসিনা না এলে ইতিহাসের স্বপ্ন ভঙ্গ হতো

শ ম রেজাউল করিম
অনলাইন ভার্সন
শেখ হাসিনা না এলে ইতিহাসের স্বপ্ন ভঙ্গ হতো

ইতিহাসের গতি-প্রকৃতির বিবর্তনের ধারা বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, কাঙ্ক্ষিত একটি লক্ষ্য নিয়েই সময় ও কাল এগিয়ে চলে। পরিস্থিতি ও পারিপার্শ্বিকতাকে এগিয়ে নিয়ে যায় সময়ের সাহসী নেতৃত্ব। অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে স্বীকার করতে হয় বিপুল ত্যাগের। কিন্তু যার বা যাদের ত্যাগের সিঁড়ি বেয়ে গতিময় হয়ে উঠে পরিবর্তনের ধারা, তারা অনেকেই কাঙ্ক্ষিত সাফল্য দেখার সুযোগ পান না। তাদের ত্যাগের সিঁড়ি বেয়ে অভীষ্ট সাফল্য অর্জিত না হলে সেটাই হয় ‘ইতিহাসের স্বপ্ন ভঙ্গ’। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও পরবর্তী ঘটনা প্রবাহ তার থেকে ব্যতিক্রম নয়। ১৯৪৭ সালে ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র পাকিস্তান সৃষ্টির মধ্য দিয়েই পাকিস্তানের কবর রচনার পথ সূচিত হয়। যারা স্বপ্নের পাকিস্তান কায়েমে আগ্রহী ছিলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে তাদের মোহ ভঙ্গ হয়। স্বাধিকার ও স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তা অতি অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের কাছে অনুভূত হয়। দু-চারজন ব্যতিক্রমও ছিলেন অন্ধ দৃষ্টি নিয়েই। ১৯৪৯ সালে ২৩ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পূর্ব থেকেই উপলব্ধি ও প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। ভাষাভিত্তিক বাঙালি জাতির মাতৃভাষাকে কেড়ে নেওয়া, ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা ও সহজাত অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা পশ্চিম পাকিস্তান প্রকাশ্য ভাবেই শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা ভয়ঙ্করভাবে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ইতিহাসের নির্মোহ অনুসন্ধানে দেখা যায় মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, শামসুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকসহ অনেক নেতৃস্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিরা নানাভাবে পরিকল্পনা নিলেও সমন্বয়হীনতা, সিদ্ধান্তহীনতা, রক্ষণশীলতা এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সাহসের অভাব ছিল। এমনই এক পরিস্থিতিতে কারারুদ্ধ শেখ মুজিবুর রহমানকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করায় ইতিহাসের কাঙ্ক্ষিত পথ যাত্রার একটি সিঁড়ি সৃষ্টি হয়ে যায়। স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিনি অপ্রতিরোধ্য গতির অমিত শক্তি নিয়ে সামনের সারিতে চলে আসেন। বাঙালির অধিকার আদায়ে তেজস্বীয় দীপ্ত সাহসী নেতা হিসেবে গোটা জাতিকে মুক্তির মন্ত্রে দীক্ষিত করার জাদুকরী ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। কারাগার ও রাজপথ হয়ে দাঁড়ায় তাঁর ঠিকানা। এভাবে ভাষা আন্দোলন, আইয়ুবের মার্শাল ল বিরোধী আন্দোলন, হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বাঙালির মুক্তি সনদ ৬ দফা ঘোষণা করেন। পশ্চিমারা ঠিকই বুঝেছিল যে, ৬ দফার আসল গন্তব্য কোথায়। সে কারণে বঙ্গবন্ধু মুজিবকে সমূলে বিনাশ করতেই আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে। কিন্তু ততক্ষণে শেখ মুজিব গোটা জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার মূর্ত প্রতীকে পরিণত হওয়ায় গণঅভ্যুত্থানের মুখে তাঁকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ১৯৭০ সালের নির্বাচনী ম্যান্ডেটে বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন যে, নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হলে ক্ষমতায় নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচন করা ছাড়া বিকল্প নেই। সে কারণেই বিশাল বিজয় লাভ করেন তিনি ও তাঁর দল। পাকিস্তানিরা বুঝতে পেরেছিল যে, কোনোভাবেই তাঁকে আর দাবিয়ে রাখা যাবে না। তখন মরিয়া হয়ে ওঠে তারা। নারকীয় হত্যাযজ্ঞ শুরু করে, বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে ফাঁসি দেওয়ার সব ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়। এদিকে নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে অবদমিত করতেও ব্যর্থ হয়। বাঙালির প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সশরীরে না থাকলেও তাঁর ৭ মার্চের ভাষণ ও ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণা গোটা জাতিকে মন্ত্রমুগ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধে জীবন বিসর্জন দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রেরণা  জোগায়। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যাওয়া ও বিশ্ব নেতৃত্বের চাপের মুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তানি জান্তারা। মুক্ত স্বাধীন স্বদেশে বিজয়ীর বেশে ফিরে আসেন বিজয়ের মহানায়ক। ফিরে এসে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনে বিবিধ কর্মসূচি হাতে নেন। ততক্ষণে এদেশের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা পাকিস্তানপন্থি দালাল চক্র, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারী ও প্রতিক্রিয়াশীল মহল সুপরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রতিটি নাগরিকের মনে শঙ্কা জন্মেছিল যে, তাদের লালিত স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে কার্যত বাংলাদেশকে পূর্ব পাকিস্তানে পরিণত করা হয়, কেবলমাত্র নামটি রাখা হয় বাংলাদেশ। হতবিহ্বল আওয়ামী লীগসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ কিছুটা দিশাহারা হয়ে পড়েন। এমন একটি সময়ে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে প্রবাসী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে ঐক্যের প্রতীক হিসেবে সভাপতি নির্বাচন করা হয়। কোনো কোনো বিশ্লেষক শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, তাঁর পিতার সপরিবারে নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর তিনি হয়তো নিজেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফিরে না-ও আসতে পারেন। কিন্তু সেই আশঙ্কা মিথ্যা প্রমাণিত করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরে আসেন। প্রচণ্ড বৈরী আবহাওয়া, ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা নগর পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে লক্ষ লক্ষ জনতা বঙ্গবন্ধুকন্যাকে সাদর সম্ভাষণ জানাতে দাঁড়িয়েছিল। সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান তাঁকে দেশে আসার অনুমতি দিতে চাননি, পরিস্থিতি বিপাকে এজন্য তিনি বাধ্য হয়েছিলেন। রাস্তায় লোকজনদের ভিড় না করার জন্য ফরমান জারি করা হয়েছিল। সব ফরমান উপেক্ষা করে শেখ হাসিনাকে বাঙালি জাতি সেদিন তাদের প্রিয় নেত্রীকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়ে গ্রহণ করেছিল। তাঁর ফিরে আসাটা ছিল প্রচণ্ড ঝুঁকিপূর্ণ। নিজ বাড়িতে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি, রাস্তায় দাঁড়িয়ে চরম অসহায় অবস্থায় পরিবারের নিহত সদস্যদের জন্য দোয়া করতে হয়েছে তাঁকে। হাত তুলে আল্লাহর কাছে বিচার প্রার্থনা করেছিলেন। দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, আমি সব হারিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি, আপনাদের মাঝেই খুঁজে পেতে চাই আমার হারানো স্বজনদের। এরপর শুরু হয় তাঁর কণ্টকাকীর্ণ দুর্গম পথের অভিযাত্রা। দলের অভ্যন্তরেও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয় তাঁকে। দলের বাইরে প্রায় সব রাজনৈতিক সংগঠন ছিল বৈরী অবস্থানে। সেনা শাসক, বঙ্গবন্ধুর খুনি, স্বাধীনতাবিরোধী মহল, প্রতিক্রিয়াশীল চক্র, বিদেশি শক্তিসহ অসংখ্য প্রতিকূল পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করতে হয় তাঁকে। গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে পায়ে হেঁটে, রিকশা, ভ্যান, নৌকা চড়ে পিতার মতো বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে নিরলসভাবে লড়াই করতে থাকেন। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের খুনি ও তাদের পৃষ্ঠপোষকরা বুঝতে পারেন যে, শেখ মুজিব বিনাশ হননি। তাঁর প্রতিচ্ছবি হয়ে সশরীরে আবির্ভূত হয়েছে তাঁরই সুযোগ্য উত্তরসূরি। তাই তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র শুরু হয়। অন্তত ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়। সর্বশেষ ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পরিবার ও সরকার সম্মিলিতভাবে শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা চালায়। আল্লাহর অসীম রহমতে প্রতিটি আক্রমণ থেকে তিনি রক্ষা পান। ২১ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে থাকা আওয়ামী লীগকে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এনে সরকার গঠন করেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটা সম্ভব হয়েছিল কেবলমাত্র শেখ হাসিনার মতো যোগ্য নেতৃত্বের কারণেই। ক্ষমতায় এসেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের জন্য জেনারেল জিয়ার করা ইনডেমনিটি আইন বাতিল করেন। এই বাতিল সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে খুনিরা হাই কোর্ট ও আপিল বিভাগে মামলা করে। সেখানেও আইনি লড়াই করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের প্রতিবন্ধকতা দূর করেন শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ২১ বছর প্রশাসনে, রাজনীতিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে, বিভিন্ন বাহিনীতে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল স্বাধীনতাবিরোধী ও প্রতিক্রিয়াশীল চক্র। দীর্ঘদিনের জমে থাকা জঞ্জাল রাতারাতি দূর করার অসম্ভবকে তিনি সম্ভব করে তোলেন। পদে পদে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয় তাঁকে। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে সুকৌশলে আওয়ামী লীগকে পরাজিত দেখানো হয়। ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে এগোতে থাকেন সামনের দিকে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের চূড়ান্ত বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের বিচারের পথ প্রশস্ত করে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিচার সম্পন্ন করে গোটা জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেন। ক্ষমতায় আসার স্বল্প সময়ের মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহের ভয়াবহ ঘটনা সংঘটিত হয়। নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে সেনাবাহিনীকে উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। অসীম ধৈর্য ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তিনি পরিস্থিতি মোকাবিলা করে বিডিআরের ঘটনার বিচার সম্পন্ন করেন। হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নেন। বড় বড় রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, দুর্নীতির মামলাসহ সব অপরাধীর বিচারের আওতায় নিয়ে আসেন। অবসান হয় দায়মুক্তির সংস্কৃতির। দুর্নীতির দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমানের কারাদণ্ড হয়। ২১ আগস্টের বর্বর গ্রেনেড হামলার ঘটনায় তারেক রহমানসহ বিএনপি সরকারের একাধিক মন্ত্রী, গুরুত্বপূর্ণ বাহিনীর প্রধানসহ অন্যান্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা পরিবর্তনের সাংবিধানিক বিধানকে সমুন্নত করেন। অবৈধ শক্তি এবং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যাতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে তার জন্য গোটা জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রস্তুত করেন। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী অবৈধ ঘোষিত হয়। সর্বোচ্চ আদালত জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদকে তস্কর, অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধী হিসেবে উল্লেখ করে ওই রায়ে। শুধু তাই নয়, তারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন, তাই তাদের কৃতকর্মকেও আদালত অবৈধ ঘোষণা করেন। এভাবে সামরিক বাহিনীর উচ্চাভিলাষী কর্মকর্তাদের ক্ষমতা দখলকে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অবৈধ ঘোষণা করার দ্বারা ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচিত হয়। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিরা ধাম্ভিকতার সঙ্গে বলতেন, তাদের কেউ কিছু করার ক্ষমতা রাখে না। সেই ধাম্ভিকতাকে চূর্ণ করে দিয়ে ইতিহাসে অনন্য নজির স্থাপন করেন শেখ হাসিনা। সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের পথ বন্ধ করতে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সকে আইনে পরিণত করে সংবিধানে সংযুক্ত করেন এবং বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে চাকরি দেন। অভিযোগ রয়েছে যে, ক্ষমতাকে নির্বিঘ্ন করতে খালেদা জিয়া জেনারেল জিয়া হত্যার বিচার করা থেকে বিরত থাকেন। শেখ হাসিনা রাজনীতিতে হঠাৎ করে আবির্ভূত হননি। পারিবারিকভাবেই রাজনীতিতে শিশুকাল থেকেই তাঁর হাতেখড়ি। পিতার রাজনীতির ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য ছিল তাঁর, বাসায়, সভা-সমাবেশে, রাজপথে এবং কারাগারের গেটে। ছাত্রজীবনে ইডেন কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। বিশ্বাসে, বাস্তবতায় ও ধমনিতে ধারণ করেছেন যোগ্য পিতার শুধু রক্তের উত্তরসূরি নন, আদর্শেরও উত্তরসূরি। তাইতো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পিতার অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নে অগ্রযাত্রার অপ্রতিরোধ্য গতি নিয়ে বিধ্বস্ত ও দারিদ্র্য পীড়িত বাঙালি জাতিকে উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতিতে পরিণত করতে অনন্য উচ্চতার নেতৃত্বে অধিষ্ঠিত করেছেন নিজেকে। নারীর ক্ষমতায়ন, অসহায়দের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, আমার বাড়ি আমার খামার, পরিবেশ সুরক্ষা, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, বিনিয়োগ বিকাশ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের মতো অসংখ্য কর্মসূচি গ্রহণ ও সাফল্যের মধ্য দিয়ে দেশকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন। ৬৭ বছরের ঝুলে থাকা ছিটমহল সমস্যা সমাধান করেছেন শান্তিপূর্ণ উপায়ে। বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের প্রায় সমপরিমাণ এলাকায় সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত করেছেন সেরা কূটনীতির মধ্য দিয়ে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু নিজেদের অর্থে, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ঢাকা মেট্রোরেল, সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, পায়রা সমুদ্রবন্দর নির্মাণ। ১০০টির বেশি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিটি জেলায় একটি করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, পর্যায়ক্রমে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা তাঁর অনন্য অসাধারণ সাফল্যের পরিচয় বহন করে। অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি, মাথাপিছু গড় আয় বৃদ্ধি, গড় আয়ু বৃদ্ধি, শিশু ও মাতৃ মৃত্যুহার কমিয়ে আনা, গড় প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করা, জিডিপির আনুপাতিক হার প্রতিবেশী অনেক দেশের চেয়ে অনেক বেশি বৃদ্ধি করাসহ সাফল্যের সংখ্যা ও পরিমাণ বিপুল পর্যায়ে পৌঁছেছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট আকাশে উৎক্ষেপণ, যা ছিল অকল্পনীয় তা বাস্তবতায় পরিণত করেছেন। বিশ্ব পরিমণ্ডলে তিনি মানবতার জননী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করায় তাঁকে উন্নয়নের জাদুকর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সততা ও পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে বিশ্বের ৩ জন সেরা রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে অন্যতম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। বিভিন্ন কর্মে সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে চ্যাম্পিয়ন অব দি আর্থ, স্টেটম্যান, ডটার অব ইস্ট, মাদার অব হিউম্যানিটি, ভ্যাকসিন হিরোসহ ৪০টির ঊর্ধ্বে পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন মর্যাদাপূর্ণ দেশ ও সংগঠন থেকে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিক তহবিলে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার অনুদান ও ৫টি বাস্তবতাসম্মত প্রস্তাব তাঁকে বিশ্বে নতুন উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছে। দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা, শিক্ষা ও আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার সব সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করে জাতির জনকের অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নে নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। যারা তাঁর পিতার খুনিদের প্রশ্রয় দিয়েছিল, এমনকি তাঁকে হত্যার চেষ্টা করেছিল, তেমন একজন প্রতিপক্ষকে উচ্চ আদালত কর্তৃক কারাদণ্ড দেওয়ার পরও নিজ বাসায় মুক্ত জীবনে থাকার সুযোগ করে দিয়ে যে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন তা ইতিহাসে বিরল। তিনি দলীয় নেতা, সরকারের প্রধানমন্ত্রী এসব পরিচয়ের ঊর্ধ্বে এখন আন্তর্জাতিক পরিসরে বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, দূরদৃষ্টি, সততা, নিষ্ঠা, পরিশ্রম মহানুভবতায় অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাওয়া শেখ হাসিনা ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ৭৪ বছরে পা রাখবেন। স্বজন হারানোর বেদনা এবং বয়সের ভার কোনোভাবেই তাঁকে দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পাদনে কখনো ক্লান্ত করতে পারেনি। দলের নেতা-কর্মীদের কাছে তিনি অনন্য অসাধারণ নেত্রী, সরকারে তিনি ইতিহাসের সবচেয়ে সফল প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের আশা-আকাঙ্ক্ষার একমাত্র আশ্রয়স্থল। বিশ্ব পরিমণ্ডলে তিনি সফল রাষ্ট্রনায়ক এবং দেশবাসীর কাছে তিনি মমতাময়ী মায়ের আসনে সুপ্রতিষ্ঠিত। শেখ হাসিনা ফিরে না এলে ইতিহাসের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হতো না, ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায় ইতিহাসের স্বপ্ন ভঙ্গ হতো। শেখ হাসিনাই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, শেখ হাসিনাই বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি, শেখ হাসিনাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আশা-আকাঙ্ক্ষার একমাত্র ভরসাস্থল। বয়সের হিসাবে ৭৪-এ পৌঁছালেও কর্মস্পৃহা, দায়িত্ববোধ, নিষ্ঠা, সততা ও দেশপ্রেমের মন্ত্রে দীক্ষিত শেখ হাসিনা পৃথিবীর অন্যতম সেরা পরিশ্রমী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রমাণ করছেন যে, বয়স তাঁকে স্পর্শ করতে পারে না। অদম্য সাহসী ও শক্তির আধার শেখ হাসিনারই বাঙালি জাতির সব অন্ধকারের আলোকবর্তিকাবাহী দুঃসাহসী অভিযাত্রী। দীর্ঘজীবী হোন শেখ হাসিনা।

লেখক : মন্ত্রী

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
সর্বশেষ খবর
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারত সফরে যাবে না পাকিস্তান
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারত সফরে যাবে না পাকিস্তান

১ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

ভাতেও মিলল আর্সেনিক, এশিয়ানদের জন্য সতর্কবার্তা
ভাতেও মিলল আর্সেনিক, এশিয়ানদের জন্য সতর্কবার্তা

৬ মিনিট আগে | হেলথ কর্নার

ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়ানো ৭০০ কোটি মানবিক হৃদয়ের দায়িত্ব
ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়ানো ৭০০ কোটি মানবিক হৃদয়ের দায়িত্ব

৭ মিনিট আগে | জাতীয়

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে যেমন হতে পারে বাংলাদেশের একাদশ
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে যেমন হতে পারে বাংলাদেশের একাদশ

১৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

হুতির হামলায় সবচেয়ে অত্যাধুনিক ২০টি ড্রোন হারিয়ে বিপাকে যুক্তরাষ্ট্র
হুতির হামলায় সবচেয়ে অত্যাধুনিক ২০টি ড্রোন হারিয়ে বিপাকে যুক্তরাষ্ট্র

১৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রীকে পশ্চিম তীর সফরের অনুমতি দিল না ইসরায়েল
ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রীকে পশ্চিম তীর সফরের অনুমতি দিল না ইসরায়েল

২৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফের হাজারো মানুষের বিক্ষোভ
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফের হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

৩১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের অনীহা সত্ত্বেও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে চায় ইসরায়েল
ট্রাম্পের অনীহা সত্ত্বেও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে চায় ইসরায়েল

৩৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৮ ঘন্টায় ৯০ জনেরও বেশি নিহত
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৮ ঘন্টায় ৯০ জনেরও বেশি নিহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার
একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ এপ্রিল)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ এপ্রিল)

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজনৈতিক বিষয়ে নববী প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা
রাজনৈতিক বিষয়ে নববী প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ে জীবনের বিপর্যয়
বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ে জীবনের বিপর্যয়

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ছেলেদের সামনের চুল বড় রাখা
ছেলেদের সামনের চুল বড় রাখা

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

হাজার বছরের যে প্রাচীন নগরী জয় করেন খালিদ (রা.)
হাজার বছরের যে প্রাচীন নগরী জয় করেন খালিদ (রা.)

৪ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

কাঁচা আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা
কাঁচা আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা

৪ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের
অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ
‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার
বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন
তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন

৭ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা
আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা

৭ ঘণ্টা আগে | পরবাস

গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর
গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর

৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন

৮ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!
যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়
৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের
দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার
সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান
পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’
‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির
ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন
গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন

২০ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ
ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান
‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী
মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী

২০ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান
সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি
কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি

১৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল
জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি
নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০
এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বকাপ নিয়ে পরিকল্পনা জানালেন মেসি
বিশ্বকাপ নিয়ে পরিকল্পনা জানালেন মেসি

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন

রকমারি

বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি

রকমারি

সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি
সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

সুফল মেলেনি ট্রানজিটে
সুফল মেলেনি ট্রানজিটে

পেছনের পৃষ্ঠা

জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের  সংসার
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের সংসার

রকমারি

সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র
সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র

প্রথম পৃষ্ঠা

ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি
ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে
হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার

রকমারি

মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট
মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট

নগর জীবন

নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন
নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে
আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে

রকমারি

১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট
১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট

প্রথম পৃষ্ঠা

শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা
শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে
স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে

নগর জীবন

অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ
অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ

শোবিজ

সিনেমা হলের এ কি হাল?
সিনেমা হলের এ কি হাল?

শোবিজ

প্রশংসিত নায়িকা বুবলী...
প্রশংসিত নায়িকা বুবলী...

শোবিজ

আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’
আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’

শোবিজ

রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা
রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা

মাঠে ময়দানে

মেহজাবীনের চাওয়া
মেহজাবীনের চাওয়া

শোবিজ

শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য
শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য

নগর জীবন

সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে
সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে

মাঠে ময়দানে

সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বাধীনতা কাপ ভলিবল
স্বাধীনতা কাপ ভলিবল

মাঠে ময়দানে

ঋতুপর্ণার চ্যালেঞ্জ
ঋতুপর্ণার চ্যালেঞ্জ

শোবিজ

ঢাকায় হুনানের গভর্নর
ঢাকায় হুনানের গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

জটিল সমীকরণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ
জটিল সমীকরণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে