সৌরভ গাঙ্গুলী বাংলাদেশে প্রথম এসেছিলেন ১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (নকআউট ট্রফি) খেলতে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সাত ম্যাচের সে ট্রফিতে গাঙ্গুলী খেলেছিলেন দুই ম্যাচ। করেছিলেন ৮৪ রান। এ ট্রফি অতীত হয়েছে প্রায় ১৬ বছর। এর মধ্যে কলকাতার মহারাজা প্রিয় উইলো তাকে উঠিয়ে রেখেছেন। উইকেট ছাড়লেও অবশ্য মাঠ ছাড়েননি। ধারাভাষ্যকার কিংবা ক্রিকেট বিশ্লেষক হিসেবে টিভি পর্দায় উপস্থিতিটা বরং আগের তুলনায় বেড়েছে। বিশ্বকাপ উপলক্ষে সৌরভ গাঙ্গুলী এখন ঢাকায়। গতকাল বিশ্বকাপ, ক্রিকেট, বাংলাদেশ, ভারত এসব বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলাপ করেছেন সাংবাদিকদের সঙ্গে।
'যে কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজনেই বাংলাদেশে কখনো কোনো সমস্যা হয়নি। আর বাংলাদেশের মতো অতিথিপরায়ণ দেশও কোথাও নেই।' সৌরভ গাঙ্গুলীর কাছ থেকে চমৎকার এক উপহার পেয়ে গেছে বাংলাদেশ। সার্টিফিকেটও বলা যায়। তবে প্রশংসা করেই থামেননি কলকাতার মহারাজ। কোচিং স্টাফ নির্বাচনে বাংলাদেশের ব্যর্থতাও পরোক্ষে দেখিয়ে দিয়েছেন। 'বাংলাদেশ স্পিনে ভালো। তরুণরাও স্পিনে ভালো করছে। সুতরাং কোচিং স্টাফ নির্বাচনের সময় এই বিষয়টা মনে রাখতে হবে।' সৌরভের মতে, বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা ধারাবাহিকতার অভাব। তামিম কিংবা এনামুল দারুণ ক্রিকেট খেলেছেন অতীতে। অথচ তাদেরকে এখন দেখাই যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে তিনি ধোনিদের উদাহরণ টেনে বলেন, 'ম্যাচের পর ম্যাচ এবং টুর্নামেন্টের পর টুর্নামেন্ট ভালো খেলে যেতে হবে। কেবল একটা সিরিজ ভালো খেললে হবে না।' বাংলাদেশের অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে বলে মনে করা হয়। সৌরভের মতে, অভিজ্ঞতা আর কিভাবে হবে। বাংলাদেশ তো প্রথম থেকেই টি-২০ ফরম্যাটে খেলছে। এখানে মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত নিয়মিত পারফর্ম করতে পারে এমন ক্রিকেটার তৈরি করা। সৌরভ জানিয়েছেন, বাংলাদেশ যদি তাকে কোচ হওয়ার প্রস্তাব দেয়, তবে তিনি ভেবে দেখবেন। এছাড়া চলতি বিশ্বকাপে ভারতের পারফরম্যান্স নিয়ে দারুণ খুশি সৌরভ। তিনি বলেন, 'ভারত এখন অনেক শক্তিশালী। বিশেষ করে স্পিন আক্রমণ আগের চেয়ে ভালো। তাছাড়া দলের মধ্যে ধারাবাহিকতাও রয়েছে।' এর কারণ হিসেবে সৌরভ বলছেন, ভারতে বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রিকেটার তৈরি হচ্ছে। এটাই সফলতার মূল কারণ।