২০১১ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ক্রিকেটে চট্টগ্রাম মহানগরের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজে অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) কাছে ফাইল তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়। গতকাল দুপুরে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রামের উপ-পরিচালকের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি চসিকের মেয়র বরাবরে আসে।
চিঠিতে 'সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক ২০১০-১১ অর্থ বছরে ৪৮২ কিলোমিটার সড়কে ১৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কার্পেটিং ও মেরামত প্রকল্পের নানা অনিয়ম ও অভিযোগ' সংক্রান্ত নথিপত্র তলব করা হয়। আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র ও রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি দুদক কার্যালয়ে পাঠানের জন্য বলা হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয় 'চসিক কর্তৃক ২০১০-১১ অর্থবছরে আইসিসি বিশ্বকাপ উপলক্ষে স্টেডিয়াম সংলগ্ন রাস্তার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত ৮৬৯৪.০০ লাখ টাকার উন্নয়নমূলক কাজের প্রকল্প অনুমোদন সংক্রান্ত নথি, পত্রিকায় প্রকাশিত টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি, ঠিকাদার কর্তৃক দাখিলকৃত টেন্ডার ডকুমেন্ট, পিএস, টেন্ডার কমিটির সভার কার্যবিবরণী, বিল, এমবিসহ সংশ্লিষ্ট পূর্ণাঙ্গ নথি পাঠানোর জন্য বলা হয়।' দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মো. মোর্শেদ আলম বলেন, বিষয়টি অফিসিয়াল। তাই এ ব্যাপারে আমরা বেশি কিছু বলতে পারছি না। তবে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সময় নগরীতে চলা উন্নয়ন কাজের নানা অনিয়মের ব্যাপারে অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কাজের নথিপত্র চাওয়া হয়েছে চসিকের কাছে।
চসিক সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের আইসিসি বিশ্বকাপ উপলক্ষে চট্টগ্রামের প্রস্তুতি ছিল ব্যাপক। নগরীর সড়কসমূহ সংস্কার, উন্নয়ন, কার্পেটিং, বৃক্ষরোপণ, ২০১১ সালের ২৭ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী তিন মাস ধরে নগরীকে হকার ও ভিক্ষুক মুক্ত রাখা, হিজাড়াতের উৎপাত বন্ধের উদ্যোগ, নগরীর ৩০টি মোড়ে ঝর্ণা বসানো, ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় তিনটি বাঘ বসানো, নিমতলা মোড়ে বসানো হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ১৬ সদস্যের ভাস্কর্য, ছিল দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জা, ফোয়ারা, বেলুন, ফেস্টুন, রং-বেরঙের পতাকা।