দিনের পর দিন, মাসের পর মাস এবং বছরের পর বছর গড়িয়ে চলে এল আরও একটি বিশ্বযজ্ঞ। ফুটবলের এ বিশ্বযজ্ঞ শুরু হতে আর মাত্র ৬৩ দিন বাকি। এরই মধ্যে নিশ্চিত হয়ে গেছে বিশ্বকাপের পক্ষ-প্রতিপক্ষ। ৩২টি দল চূড়ান্ত মঞ্চে পারফর্ম করার তোড়জোড় শুরু করেছে। নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করার স্বপ্নে বিভোর ফেবারিট দলগুলো। ক্লাব ফুটবলের ফাঁকে ফাঁকে মাঝে মধ্যেই অনুশীলন ক্যাম্প করে ঝালাই করে নিচ্ছে নিজেদের।
ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচ দিয়ে ১২ জুন শুরু হবে বিশ্বকাপের মূল আসর। এরই মধ্যে ব্রাজিল মোটামুটি প্রস্তুতি সেরে নিয়েছে। সাউ পাওলোর এরিনা করিন্থিয়ানস এবং কুরিতিবার এরিনা বাইঙ্াডা ছাড়া বাকি ১০টি স্টেডিয়াম পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে অপেক্ষায় আছে বিশ্বকাপের। কুরিতিবার বাইঙ্াডা এরিনাতে বিশ্বকাপের চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ১৬ জুন মুখোমুখি হবে ইরান-নাইজেরিয়া। ২০ জুন হন্ডুরাস ও ইকুয়েডর। ২৩ জুন অস্ট্রেলিয়ার ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেন। ২৬ জুন আলজেরিয়া-রাশিয়া। তবে মাঠ পূর্ণ প্রস্তুত হতে ব্যর্থ হলে ফিফা ম্যাচগুলো অন্য স্টেডিয়ামে সরিয়েও নিতে পারে।
ব্রাজিলে ফুটবলকে ধর্ম জ্ঞান করা হয়। দুটো জড়িয়ে আছে ওতপ্রোতভাবে। বিশ্বকাপ যতই সামনে আসছে, রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে সবাই। বিশ্ববাসীকে আরও একবার বিস্ময় উপহার দেওয়ার আশায় দিন গুনছে তারা। কয়েক মাস আগে রাজপথে যে মিছিল মিটিং ছিল সরকারবিরোধী তার অনেকটাই কমে গেছে। বিরোধীরাও বিশ্বকাপকে সফল করার জন্য আন্দোলন থামিয়ে দিয়েছে। এই ঐক্যবদ্ধ ব্রাজিল ৬৪ বছর আগের দুঃস্বপ্নকে ভুলে যেতে চাইছে। ছয় দশক আগে ব্রাজিলেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্বকাপ ফুটবল। ছয় দশক আগের সেই ব্যর্থ কি এবার ভুলিয়ে দিতে পারবেন নেইমাররা!