মঞ্চ প্রস্তুত। শিরোপা প্রায় হাতেই! শুধু অঙ্কের মারপ্যাঁচে উৎসবের অপেক্ষায় ঢাকা বিভাগ। ১৫তম জাতীয় ক্রিকেট লিগ শিরোপা জয়ের জন্য ঢাকা বিভাগের দরকার ছিল চার পয়েন্ট (যদি রাজশাহী বোনাস পয়েন্টসহ জয় পায়)। কিন্তু কাল কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনা বিভাগকে ২৪৩ রানে অলআউট করে তিন পয়েন্ট অর্জন করে ঢাকা বিভাগ। আজ খুলনার ইনিংসকে পার করলেই শিরোপা উৎসবে মেতে উঠবে ঢাকা। তবে নাটকীয়ভাবে ২৪৩ রানের আগেই যদি ঢাকা বিভাগ অলআউট হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে ড্র কিংবা জয় পেলেই হবে। কিংবা অন্য ম্যাচে রাজশাহী যদি হেরে যায় কিংবা ড্র হয় তাহলে ঢাকার আর কোনো পয়েন্টই দরকার হবে না। কিন্তু নাটকীয় কিছু ঘটার সুযোগ যে নেই তা কাল ঢাকার ব্যাটসম্যান ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছে। দিন শেষে খুলনার বিরুদ্ধে এক উইকেট হারিয়ে ঢাকা করেছে ৭৫ রান।
ঢাকার অধিনায়ক মোহাম্মদ শরীফ আগেই বিজয়োল্লাস করতে চান না। গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, 'আমরা প্রায় ৯৯ ভাগ শিরোপা জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত। কাল (আজ) শুধু ২৫০ রান করতে পারলেই হবে।'
রাজশাহী বিভাগের শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। যদিও তারা ঢাকা মেট্রোর বিরুদ্ধে দারুণ শুরু করেছে। কাল প্রতিপক্ষকে মাত্র ১২৬ রানে অলআউট করে দিয়ে দিন শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে তারা করেছে ১৩৯ রান। কিন্তু এই ম্যাচে শুধু জয় পেলেই আর হবে না, রাজশাহী বিভাগের দরকার একটা 'মিরাকল'। ইতোমধ্যেই প্রথম ইনিংসের বোনাস পয়েন্টের কারণে ঢাকা বিভাগের পয়েন্ট হয়েছে ১১৪। যদি অলৌকিক কোনো কারণে ওই ম্যাচে ঢাকা আর কোনো পয়েন্ট না পায়, অন্যদিকে রাজশাহী যদি বোনাস পয়েন্টসহ মেট্রোকে হারায় সেক্ষেত্রে দুই দলের পয়েন্ট হবে সমান। তখন প্রথমে 'হেড টু হেড', তারপর নেট রানরেটের হিসাব হবে। সেক্ষেত্রে এগিয়ে রাজশাহী। কেননা ঢাকা বিভাগের বিরুদ্ধে রাজশাহীর ম্যাচটি ড্র হয়েছে। আর মোট নেট রানরেটে এগিয়ে রাজশাহী। তাই অলৌকিক কিছু কামনা করা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই রাজশাহীর সামনে।
কাল জাতীয় লিগের আরও দুটি ম্যাচ ছিল। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) সিলেট বিভাগের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বিপদে পড়ে চট্টগ্রাম বিভাগ। প্রথম ইনিংসে তারা মাত্র ২১৩ রানেই অলআউট হয়ে যায়। পরে সিলেট ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে করেছে ৭৫ রান। দিনের অন্য ম্যাচে ফতুল্লায় রংপুর বিভাগের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বরিশাল বিভাগ ২৮৯ রানে অলআউট হয়েছে। সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেছেন সোহাগ গাজী। ৫২ রান করেছেন কামরুল হাসান। দিন শেষে রংপুর ৮৯ রান করতেই হারিয়েছে দুই উইকেট। তবে রাজশাহী ও ঢাকার মধ্যে শিরোপা লড়াই হওয়ায় এই দুটি ম্যাচ হয়ে গেছে অনেকটা আনুষ্ঠানিকতা।