বার্সেলোনাকে ধারাবাহিক জয়ের ছন্দ দেখিয়েছিল সাবেক কোচ টিটো ভিলানোভা। কিন্তু, মরনঘাতি ক্যান্সারের কাছে পরাজয় বরণ করতে হল নিজেকেই। ৪৫ বছর বয়সেই পৃথিবীর আলো-বাতাস ছেড়ে চলে গেলেন ‘টিকি-টাকা’ ফুটবল দর্শনে বিশ্বাসী মানুষটি।
ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য গত মৌসুমে কাতালান ক্লাব বার্সেলোনার দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়েছে ক্যান্সার। শুক্রবার বার্সেলোনা ভিলানোভার মৃত্যুর সংবাদটি নিশ্চিত করেছে।
পেপ গার্দিওলা দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর ২০১২-১৩ মৌসুমে বার্সেলোনার হাল ধরেছিলেন তিনি। এর আগে তিনি ছিলেন গার্দিওলার সহকারী। সহকারী কোচ থেকে প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়ে বার্সেলোনাকে ছন্দে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি।
গার্দিওলার সঙ্গে তিনিও ইতিহাস হয়েছেন। বার্সা সে সময় ৪টি মৌসুমের মধ্যে ৩টি লা লিগা শিরোপা জয় করে। সেই সঙ্গে জয় করা হয়েছিল ২টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা।
টিটোর অধীনে বার্সেলোনা অসাধারণ এক রেকর্ড গড়ে। মৌসুমে প্রথম ১৯ ম্যাচের ১৮টিতে জয় পেয়েছিল কাতালানরা। আর পরে শিরোপাও জয় করে। কিন্তু ক্যান্সারের চিকিৎসার সেই মৌসুমের মাঝে ভিলানোভা চলে যান। ভিলানোভা যখন ছিলেন না তখন জর্দি রৌরা দায়িত্বে ছিলেন।
গত মৌসুমের শেষে ভিলানোভা জানিয়েছিলেন, ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য তিনি আর দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। ফলে অব্যাহতি নেন।
বার্সেলোনা ক্লাবের ওয়েবসাইটে লিখেছে, ‘টিটো ভিলানোভা ৪৫ বছর বয়সে আজ মৃত্যুবরণ করেছেন। আজ বিকেলেই এটা হয়েছে। আমাদের সাবেক কোচ এই রোগ থেকে মুক্তিলাভ করতে পারেননি। যে লড়াই তিনি শুরু করেছিলেন ২০১১ থেকে।’
টিটোর চলে যাওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না লিওনেল মেসি। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘টিটো প্রথম মানুষ যিনি আমার ওপর ভরসা রেখেছিলেন। আমি বদলি খেলোয়াড় ছিলাম। এরপর তিনি আমাকে অনুর্ধ্ব-১৬ তে শুরু থেকে নামাতেন।’
উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালে জন্মেছিলেন টিটো ভিলানোভা।