বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতার অভাব কেন?
পাইলট : খেয়াল করলে দেখবেন তিন মাস আগেও ভালো ক্রিকেট খেলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এশিয়া কাপ ও টি-২০ বিশ্বকাপে ভালো খেলেননি ক্রিকেটাররা। অবশ্য এশিয়া কাপে বেশ কিছু ম্যাচে লড়াই করেছে। কিন্তু পারেনি পরিকল্পনার অভাবে।
তার মানে বাংলাদেশ কি অপরিকল্পিত ক্রিকেট খেলেছে এখন?
আমি সেটা বলব না। তবে সাফল্য পেতে হলে আপনার পরিকল্পনা থাকতে হবে। পরিকল্পনা হাতে থাকলে সামনে এগোতে সুবিধা হয়। টি-২০ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে হংকংয়ের কাছে আমরা যে ম্যাচটা হেরেছি, সেখানে ২১ বল কম খেলেছি। যদি পরিকল্পনা থাকত, তাহলে অবশ্যই দলের স্কোর আরও বেশি হতো এবং ম্যাচটি জিততেও পারত।
আপনি জাতীয় দলের হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন। এখন মাঠের বাইরে থেকে দেখছেন। ক্রিকেট কি সঠিক পথে এগোচ্ছে?
পাইলট : আমি বলব সঠিক পথে এগোচ্ছে না। বাংলাদেশের ক্রিকেট খুব এগোয়নি। ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর বাংলাদেশের ক্রিকেট যতটা এগোনোর কথা ছিল, ঠিক ততটা এগোয়নি। অন্যরা অনেক বেশি এগিয়েছে। আমাদের ক্রিকেট বোর্ডে অনেক ভালো ভালো লোক কাজ করছেন, করেছেন। আমি মনে করি তারা ভালো কাজ করার তেমন সুযোগ পাননি। ভালো লোকদের অবশ্যই কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। তাতে দেশের ক্রিকেটের লাভ হবে।
পরিকল্পনার অভাবে কথা বলছিলেন। বিশ্বকাপের আগে বিপিএল আয়োজনকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
পাইলট : আমি মনে করে বিশ্বকাপের আগে বিপিএল আয়োজন খারাপ নয়। ২০ ওভারের ম্যাচ হলেও ক্রিকেটাররা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলবেন টুর্নামেন্টে। যা বিশ্বকাপে ক্রিকেটারদের মানসিকভাবে চাঙ্গা করবে বলেই মনে করি। বিপিএলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কোয়ালিটি ক্রিকেটাররা খেলবেন, তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তারা আত্দবিশ্বাসী হবেন। ফলে আমি মনে করি না বিশ্বকাপের আগে বিপিএল আয়োজন করলে কোনো সমস্যা হবে। ২০১২ সালের এশিয়া কাপের আগে বিপিএল হয়েছিল। যা ক্রিকেটারদের মানসিকভাবে অনেক বেশি আত্দবিশ্বাসী করেছিল।
বিশ্বকাপের আগে তাহলে ৫০ ওভারের ম্যাচ প্রস্তুতি কি কম হবে না?
পাইলট : সাফল্য পেতে আপনার যেমন পরিকল্পনা থাকতে হবে। তেমনি আত্দবিশ্বাসীও হতে হবে। সেটা যে কোনো ম্যাচ খেলেই আত্দবিশ্বাসী হওয়া যায়। এছাড়া বিশ্বকাপের আগে বিসিবি ক্রিকেটারদের একটি প্রস্তুতি ক্যাম্পের আয়োজন করছে অস্ট্রেলিয়ায়। সেটা খুবই সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। ক্রিকেটাররা এতে উপকৃত হবেন। তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে টিম ম্যানেজমেন্টের, সেখানে যেন ম্যাচ প্রাকটিসটা হয় এবং সেগুলো যেন কোয়ালিটি দলগুলোর বিপক্ষেই হয়। কোয়ান্টিটি ম্যাচের চেয়ে কোয়ালিটি ম্যাচ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ আপনাকে আত্দবিশ্বাসী করে তুলতে।
বিশ্বকাপে কেমন দল গঠন করা উচিত?
পাইলট : সেখানকার কন্ডিশনের কথা মাথা রেখে দল গঠন করা উচিত। এখনও সময় আছে, কোন কোন ক্রিকেটার অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে সফল হওয়ার সামর্থ্য রাখেন, সেগুলো বিবেচনা করে এখনই একটি প্রাথমিক স্কোয়াড করে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত বোর্ডের। তাতে করে স্কোয়াড বাছাইয়ে সুবিধা হবে ম্যানেজমেন্টের।
বিশ্বকাপে কেমন ফল করবে দল?
পাইলট : পরিকল্পিত ক্রিকেট খেললে ভালো করার সম্ভাবনা থাকছে।