মিস্টার ডিপেন্ডেবল তিনি। তবে বছরজুড়ে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। গত বৃহস্পতিবার একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে অর্ধশতক করে রানে ফিরেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবার নিজেকে নতুন করে চেনালেন সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ৩০ রানে দুই উইকেট পড়ে দল যখন ব্যাটিং বিপর্যয়ে, ঠিক তখন ব্যাট হাতে জিম্বাবুয়ের বোলারদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছেন মুশফিক। এরপর অপর প্রান্ত থেকে তামিম ও সাকিব ফিরে গেলেও নিজের স্বভাবসুলভ ব্যাটিং করে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ওয়ানডে সেঞ্চুরি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তণ করলেন মুশফিক।
রবিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথমটি ওয়ানডেতে টস হেরেও ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশে। এদিন সৌম্য সরকারের ইনজুরিতে থাকায় তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন লিটন কুমার দাস। কিন্তু অধিনায়কের প্রত্যাশার প্রতিদান দিতে ব্যর্থ হয়েছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ৬ বলে মোকাবেলা করে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর ব্যাটিংয়ে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তবে ২০ বলে মাত্র ৯ রান করে দলকে বিপদে ফেলে তিনিও সাজঘরে ফেরেন।
এই দুই জনের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ের আসেন সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তামিম ইকবালের সঙ্গে তার ৭০ রানের জুটিই বাংলাদেশকে ব্যাটিং বিপর্যয় থেকে রক্ষা করে। ৩ চার আর ২ ছক্কায় ৬৮ বলে ৪০ রান করে সাজঘরে ফেরেন টাইগার এই ড্যাশিং ওপেনার।
এরপর দ্রুত সাকিব ফিরে গেলে অল্প রানে অলআউট হওয়ার শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু সেখান থেকে সাব্বির রহমানের সঙ্গে জুটি গড়ে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার পাশাপাশি দল বড় সংগ্রহের পথে রাখেন এই দুই ব্যাটসম্যান। এরপর স্বভাবসুলভ ব্যাটিংয়ে নিজের চতুর্থ সেঞ্চরি তুলে নেন মুশফিক। ৭ম ব্যাটসম্যান হিসেবে রান আউট হওয়ার আগে ১০৯ বলে এক ছক্কা আর ৯ চারে ১০৭ রান করেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ নভেম্বর, ২০১৫/মাহবুব